বায়ুদূষণ ভারতীয় অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে উঠছে
১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বাইরে পা রাখা অস্বস্তিকর। প্রতি নিঃশ্বাসে দূষণ অনুভূত হয়। বছরের পর বছর ধরে চলা এ সমস্যা কেবল নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য নয়, অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর। অর্থনীতিবিদরা জানান, এ পরিবেশ ভারতের উৎপাদন ও বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ। বিশ্লেষকরা জানান, বায়ুদূষণের ফলে অসুস্থতায় চিকিৎসা পেতে নাগরিকদের অনেক টাকা খরচ করতে হয়। কর্মশক্তি কমে যায়। পর্যটন ও কৃষিকে প্রভাবিত করে। ব্যবসার জন্য কমপ্লায়েন্স খরচ হয়। বিশেষ করে বিশ্বে কাছে দেশের ভাবমূর্তিক্ষুন্ন হয়, যা সরাসরি বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কল্যাণে এ সমস্যার সমাধান জরুরি। সুইস প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে কয়েকটি ভারতে অবস্থিত। দেশটিতে বায়ুদূষণের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দূষণের প্রধান উৎস যানবাহন থেকে নির্গমন, কারখানার ধোঁয়া, নির্মাণকাজের ধুলা ও ফসলের মাঠে খড় পোড়ানো। বছরের এ সময় দিল্লিতে দূষণ আরো খারাপ হয়। কারণ ঠাণ্ডা বাতাস দূষণকণা আটকে রাখে। নভেম্বরে দীপাবলির ছুটির সময় সাধারণত দূষণের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এ সময় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অনেকে আতশবাজি পোড়ায়। আইকিউ এয়ারের হিসেবে চলতি মাসে বাতাসের মান বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে। রাজধানীতে বিদ্যালয় বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় শহর মুম্বাইয়ের বায়ুর মানও খারাপ। মুম্বাইকে ভারতের আর্থিক রাজধানী বলা হয়। বৃহৎ নির্মাণ প্রকল্পের কারণে এবার এখানে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ন্যাশনাল ইউনিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের চেয়ারপারসন মনিকা সূদ বলেন, ‘এটা ঠিক যে বাইরের কাজের কারণে বায়ুদূষণ ঘটে। তবে কল সেন্টারের মতো ঘরে পরিচালিত কাজও এর ক্ষতিকারক প্রভাব এড়াতে পারে না। এ দূষণ জাতির আর্থিক সুস্থতার জন্য হুমকি।’ গ্রেটার নয়ডার শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক হরি শঙ্কর শ্যাম জানান, বায়ু দূষণ দিল্লি ও মুম্বাইয়ের মতো শহরগুলোয় ব্যবসা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ব্যক্তি ও সংস্থা উভয়ের খরচ বাড়িয়ে দেয়। ফলে কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি, উৎপাদন হ্রাস ও শ্রমশক্তির অপচয় হয়। ন্যাশনাল নিউজ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার