ভূগর্ভের উত্তাপ জ্বালানি হিসেবে বেশি নির্ভরশীল
১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
সূর্য বা বাতাস না থাকলে সৌর বা বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন বন্ধ রাখতেই হয়। কিন্তু ভূপৃষ্ঠের গভীরের উত্তাপ কাজে লাগাতে পারলে সেই বিঘ্নের আশঙ্কা থাকে না। জার্মানির মিউনিখ শহরের কাছে ঠিক তেমনই এক উদ্যোগ চলছে। মিউনিখ শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি জায়গায় ১৮০০ মিটার গভীরে খননের কাজ চলছে। আপাতত ১৮০০ মিটার গভীরে পৌঁছানো গেছে। কিন্তু এর দ্বিগুণই হলো লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক এই টিম সাধারণত পেট্রোলিয়াম ও গ্যাসের সন্ধান করে। এ ক্ষেত্রে তাদের গরম পাথরের স্তর পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। জিওথার্মাল জ্বালানি উপদেষ্টা হিসেবে রায়ান ক্রস বলেন, ‘আমাদের একশো থেকে ৮ হাজার মিটার পর্যন্ত খননের অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজের গতি বাড়ছে। জিওথার্মাল খননের জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, সেটা অনেকটা শেল গ্যাস সন্ধানের প্রযুক্তির মতো।’ শেল গ্যাসের সন্ধানে খননের ব্যয় কমে গেছে। সে কারণেই ইয়াভর কোম্পানির জন্য জিওথার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লক্ষ্যে মাটির গভীরে খনন করা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়ে উঠেছে। কোম্পানির কর্ণধার ডানিয়েল ম্যোল্ক জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বে এটাই প্রথম এ ধরনের প্লান্ট। তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে আমরা সাড়ে চার হাজার মিটার গভীরে পৌঁছাচ্ছি। তাপমাত্রা ও সঠিক পাথরের স্তরের জন্য এতটা গভীরে যেতে হচ্ছে। সেই স্তরে পৌঁছানোর পর আমরা একাধিক গর্ত খুঁড়ে মাটির নিচে এক ধরনের রেডিয়েটর তৈরি করব।’ সেই গভীরতায় পৌঁছানোর পর ‘ইনক্লাইন্ড পজিশন’ থেকে আরও ৪০০০ মিটার গভীরে খনন শুরু করা হবে। সেখানে পাথরের স্তরের তাপমাত্রা ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খননের যন্ত্রগুলো চৌম্বক সংকেতের মাধ্যমে পরস্পরকে খুঁজে পায় এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করে। এভাবে পাতাল জগতে এক পানি-ভরা ‘হিট এক্সচেঞ্জার’ সৃষ্টি হয়। প্রায় বিনামূল্যে উত্তাপের অনন্ত চক্র চলতে থাকে। দশ থেকে বিশ টন চাপ দিয়ে ড্রিল বিট পাথর ভেদ করে খনন করে চলে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডায়ামন্ড দিয়ে সেগুলো চালানো হয়। মাঝের জেট ধুলাবালি ওপর দিকে চালনা করে। ডানিয়েল ম্যোল্ক বলেন, ‘এই ড্রিল বিট দিয়ে আমরা ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ মিটার খনন করতে চাই। মাঝে সেই গর্ত পরিষ্কার করে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়। চার দিনে আমরা ২৪০০ মিটার গভীরে পৌঁছতে চাই।’ খননের সময় বর্জ্য হিসেবে গরম বেলেপাথরের কাটিং ওপরে উঠে আসে। লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছলে ফুটন্ত গরম পরিবেশ সামলাতে হবে। পরে বিশেষ ধরনের পাইপের মাধ্যমে গর্তগুলো ইনসুলেট করা হয়। মাটির নিচে ‘হিট এক্সচেঞ্জার’-এর কাজ সম্পূর্ণ করতে তিন বছর খননের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। সাইটে ২০০ জন পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মী কাজে ব্যস্ত। দুটি গর্তের জন্য দুটি টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা কাছের এক খামারে বাস করছেন। একই সঙ্গে তারা বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের পরিকল্পনাও করছেন। এক বছরে সেটি গড়ার কাজ শেষ হবার কথা। প্রকল্পের ম্যানেজার ফাব্রিসিও সেজারিও বলেন, ‘বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার জন্যও আমরা জিওথার্মাল খননের প্রক্রিয়া কাজে লাগাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা শহরে উত্তাপের ব্যবস্থা করছি।’ শেষে বিদ্যুতের এক জেনারেটর দশ হাজার বাসার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। সেই প্লান্ট ৮০ হাজার পর্যন্ত বাসার জন্য হিটিংয়েরও ব্যবস্থা করবে। রক ডিপ জিওথার্মাল এনার্জি অবিরাম জ্বালানি সরবরাহ করে, সৌর বা বায়ুশক্তির ক্ষেত্রে যেটা সম্ভব নয়। ডিডব্লিউ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার