বৃষ্টির পরেও স্বস্তি ফিরছে না দিল্লিতে
১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১০ এএম
দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান আবার কমতে শুরু করেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির। দেশটির দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ (সিপিসিবি)-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৪০০-র কাছাকাছি রয়েছে। বেশ কয়েক দিন আগে বাতাসের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু আবার দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দিল্লির অধিকাংশ এলাকায়। বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দিল্লির আরকে পুরম এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪১৭, আনন্দ বিহার এবং নারেলা এলাকায় একিউআই-এর মাত্রা ৪৩০, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪০৩, পঞ্জাবি বাগ এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪২৩। বাতাসের এই মান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির মুখ দেখেছিল দিল্লি। পরিবেশবিদেরা অনুমান করেছিলেন বৃষ্টি হলেই রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান উন্নত হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছিল। দূষণের মাত্রায় বিশেষ হেরফের না হলেও বিষধোঁয়ার চাদর অনেকটা কেটে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। ১৩ নভেম্বর থেকে দূষণ পরিস্থিতির কথা ভেবেই গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার। এই প্রসঙ্গে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বৃষ্টির ফলে রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হয়েছে। তাই এখনই এই পথে হাঁটছে না তারা। তবে পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে যে, দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান কেমন থাকে সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা উচিত কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দীর্ঘ দিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। একাধিক বার করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, ধোঁয়াশা ও দূষিত বাতাসের কারণে দু’মাস আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া সোনিয়ার বুকে ফের সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্টও। দিল্লির ভয়াবহ দূষণের ফলে অসুস্থতা বৃদ্ধি পেতে পারে, তাই চিকিৎসকেরা তাকে আপাতত রাজধানী ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ মেনেই ভোটমুখী রাজ্য রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে যাচ্ছেন তিনি। পিটিআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার