ইসরাইলের বোমাবর্ষণ ও স্থল অভিযানের মধ্যেই ভারী বর্ষণ নতুন উদ্বেগ ও সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে ফিলিস্তিনিদের। মঙ্গলবার ভারী বর্ষণের ফলে অস্থায়ী তাঁবুতে বসবাসরত হাজারো ফিলিস্তিনিদের জীবনে আরও দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বৃষ্টির কারণে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এতে ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ বিরাজ করছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া ফায়েজা স্রাউর বলেছেন, আমাদের কংক্রিটের বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন আমরা তাঁবুতে বাস করছি। বন্যা হলে তাঁবু দিয়ে রক্ষা পাওয়া যাবে না। মানুষ মেঝেতে ঘুমাচ্ছে। তারা কী করবে? কোথায় যাবে? আরেক বাস্তুচ্যুত করিম মেরেইশ বলেছেন, খান ইউনিস এলাকায় আশ্রয় নেওয়া মানুষের প্রার্থনা করছেন বৃষ্টি থামার জন্য। শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা টানা বৃষ্টি না হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছেন। টানা বৃষ্টি হলে আমাদের দুর্ভোগ কথায় প্রকাশ করা যাবে না। গত সপ্তাহে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় রোগ সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইসরাইলি বোমা হামলার কারণে অঞ্চলটিতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা এবং বিশুদ্ধ পানি সংকট ও আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে এই ঝুঁকি বেড়েছে। মঙ্গলবার সংস্থাটি বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস জেনেভায় বলেছেন, ইতোমধ্যে ডায়রিয়ার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সাধারণত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার হলেও এখন তা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। নরওয়েজিয়ান রিফুইজি কাউন্সিলের মুখপাত্র আহমেদ বায়রাম বলেছেন, সংঘাত শুরুর পর বৃষ্টির শুরুতে গাজাবাসীদের হয়ত সবচেয়ে কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে। ভারী বর্ষণের কারণে মানুষ ও উদ্ধারকর্মীদের চলাফেরা কঠিন হবে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া বা নিহতদের দাফন করা আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে। এমনিতেই উপত্যকায় জ্বালানির ঘাটতি রয়েছে। রয়টার্স।