দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস ভারতে
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ এএম | আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ এএম
ভারতের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। দেশটির সরকার এয়ারপোর্ট, সেতু, সড়ক ও পরিচ্ছন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। চলতি বছর দেশটি ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশা করছে। তবে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ বাড়ছে না। নতুন মেশিন ও কারখানায় বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা গেছে। ভারতের দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক বিনিয়োগ কমে এসেছে। দেশটির অর্থনীতি নিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার আগামীতে উন্নয়ন ব্যয় কমাবে। তখন যদি বেসরকারি কোম্পানিগুলো নতুন দীর্ঘমেয়াদি বৈদেশিক বিনিয়োগ আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করবে। তবে ভারতের জন্য শুধু ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন যথেষ্ট নয়। কারণ ভারত এখন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। দেশটির সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ লক্ষ্য অর্জনে বছরে দেশটিকে ৮-৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হার ধরে রাখতে হবে। বিনিয়োগের অভাবও ভারতের মোদি সরকারের জন্য অন্যতম একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও মোদি সরকার আসার পর থেকে আরো ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। বেশির ভাগ বিশ্লেষকই একমত, চীনের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির গতি ধীর হওয়ায় ভারতকে এ সুযোগ নেয়া উচিত। পশ্চিমের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার ফলে বিদেশী কোম্পানিগুলো ভারতে স্থানান্তর হতে পারে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট শ্রীরাম বিশ্বনাথন জানান, বিনিয়োগকারীরা চীনের সাপ্লাই চেইন ভেঙে যাওয়ায় উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে ভারতকে বেছে নিতে পারে। বিশ্বব্যাংক কভিড-১৯ মহামারী চলাকালে ভারতের অবকাঠামো খাতে ব্যয়ের প্রশংসা করেছে। এরপর থেকে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দেশটির সরকার সড়ক, বন্দর ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় অব্যাহত রেখেছে। তবে বিশ্বব্যাংক জানায়, সরকারের ব্যয়ের সঙ্গে অবশ্যই করপোরেট ব্যয়ও বাড়াতে হবে। বিশ্বব্যাংকের ভারতবিষয়ক পরিচালক অগাস্টে তানো কুয়ামে জানান, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে শুধু সরকারি বিনিয়োগই যথেষ্ট নয়। বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগের জন্য আরো ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন পড়বে। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকার অন্যতম একটি কারণ হলো ভারতীয় সরকারের হস্তক্ষেপমূলক ভূমিকা। গত আগস্টে ভারত সরকারের ল্যাপটপ আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে। ফলে আমদানিনির্ভর ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাক্তন সরকারি উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামানিয়াম জানান, ভারতে বড় প্রতিষ্ঠান না হলে নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করা বেশ কঠিন। বিদেশী কর্মকর্তাদের মতে, সরকারি অফিসের দুর্নীতি এখনো বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। দুর্নীতিবিষয়ক আইনি মামলাগুলো অত্যন্ত ধীর গতিতে এগোচ্ছে। ভারতের বেশির ভাগ মানুষই বর্তমানে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় কঠোর নীতি অবলম্বন করছে। যে কারণে ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের কম ঋণ দিচ্ছে। অরবিন্দ সুব্রামানিয়াম ৬ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী। তিনি মনে করেন, উন্নত অবকাঠামো এখনো বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারে। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার