ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

বিতর্কিত কোরীয় সীমান্তে আবারো উত্তেজনা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩ এএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩ এএম

 ২০১৮ সালের ভঙ্গুর একটি সামরিক চুক্তি লংঘন করে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিতর্কিত সমুদ্রসীমার কাছে সামরিক মহড়া চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এসময় আর্টিলারি রাউন্ড গুলি ছোঁড়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এই মহড়াকে প্ররোচনামূলক বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা। এর প্রতিক্রিয়ায় অনুরূপ একটি পাল্টা মহড়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এই খবর প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশটি প্রায় এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এ ধরণের মহড়া চালিয়েছে। এটি দুই কোরিয়ার মধ্যকার গুরুতর শত্রুতা আরও গভীর করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের বিতর্কিত পশ্চিম সমুদ্রসীমার উত্তরে জলসীমায় ২০০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েছে। যদিও এই মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে একে উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করেছে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, বিতর্কিত সীমান্তের কাছে এমন মহড়া পরিচালনার প্রতিক্রিয়ায় একটি অনুরূপ পদক্ষেপ নেবে তারা। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটি। এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার ফ্রন্ট-লাইন দ্বীপ ইয়নপিয়ংয়ের বাসিন্দারা বলেছেন, তাদেরকে দ্বীপ ছেড়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সামরিক বাহিনী। কেননা, তারা শুক্রবার বিকেলের দিকে সমুদ্রে ফায়ারিং মহড়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে। ১৯৯৯ সাল থেকে কোরিয়ার সমুদ্রসীমায়ে বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী আন্ত-কোরিয়ান যুদ্ধ হয়েছে। ২০১০ সালে ইওনপিয়ং দ্বীপে আর্টিলারি স্ট্রাইকও শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার চারজন নিহত হন। দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে ২০১৮ সালের একটি সামরিক চুক্তি সই করা হয়েছিল। ওই চুক্তিতে বলা হয়, দুই কোরিয়াকে তাদের সীমান্তে স্থাপিত নো-ফ্লাই এবং বাফার জোনে লাইভ-ফায়ার অনুশীলন এবং এরিয়াল নজরদারি বন্ধ করতে হবে। তবে নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া প্রথম সামরিক স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে দুই কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এতে করে সামরিক এই চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এপি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন