ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

আত্মহত্যা রুখতে অবশেষে...

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩ এএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৩ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যা রুখতে একটি ব্রিজে লাগানো হয়েছে স্টিলের নেট। ১৯৩৭ সালে খুলে দেওয়ার পর থেকে প্রায় ২ হাজার মানুষ সেখান থেকে নদীতে লাফ দিয়েছে। অর্থাৎ নির্মাণের ৮৭ বছর পর আত্মহত্যা রুখতে সেতুটিতে নেট লাগানোর কাজ সম্পন্ন হলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজে আত্মহত্যা প্রতিরোধ জাল লাগানোর কাজ অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মার্কিন এই শহরে ১৯৩৭ সালে সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর থেকে প্রায় ২ হাজার লোক তাদের মৃত্যুর জন্য ব্রিজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে জানা যায়। বিবিসি বলছে, যে পরিবারগুলো ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার কারণে প্রিয়জনকে হারিয়েছে তারা কয়েক দশক ধরে এই সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়ে এসেছে। আর এরপরই আত্মহত্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থ- যা নেট নামেও পরিচিত- ১.৭ মাইল (২.৭ কিলোমিটার) দীর্ঘ সেতুটির প্রায় ৯৫ শতাংশজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে। গোল্ডেন গেট ব্রিজ হাইওয়ে অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন ডিস্ট্রিক্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নেট লাগানোর উদ্দেশ্য হলো ব্রিজ থেকে লাফ দেওয়ার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর সংখ্যা কমানো। নেট একটি প্রমাণিত ব্যবস্থা যা লোকেদের লাফ দেওয়া থেকে বিরত রাখে। এটি হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের যতœ ও আশার প্রতীক হিসাবে কাজ করে এবং প্রয়োজনে লোকেদের (বেঁচে থাকার) দ্বিতীয় সুযোগ দেয়।’ ব্রিজটিতে স্টেইনলেস স্টিলের নেট লাগানোর সিদ্ধান্তটি ২০১৪ সালে অনুমোদিত হয়েছিল। কিন্তু তার চার বছর পরেও সেই কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অনেকে এটির বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, এই পদক্ষেপ সেতু থেকে নদীর দৃশ্য দেখাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং এটি খুব ব্যয়বহুল পদক্ষেপ। ব্রিজ থেকে লাফ দেওয়ার পরে বেঁচে থাকা প্রায় ৪০ জনের মধ্যে একজন হচ্ছেন কেভিন হাইন্স। তবে নিজের সেই ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মহত্যা প্রতিরোধে সক্রিয় কর্মী হয়ে উঠেছেন। হাইন্স নিজেও সেতুতে নেট লাগানোর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন। হাইন্স অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ‘যদি সেখানে নেট থাকত, তাহলে আমাকে পুলিশ থামিয়ে নিয়ে যেত এবং অবিলম্বে আমার প্রয়োজনীয় সাহায্য পেতাম এবং কখনোই আমার পিঠ ভাঙত না, কখনও আমার তিনটি কশেরুকা ভেঙে ফেলতাম না।’ বিবিসি, এপি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন