কৌশল পাল্টে ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতি অবলম্বন করছে হামাস
০৮ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ১২:০৪ এএম
মার্কিন ও ইসরায়েলি তিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানকে ব্যর্থ করতে সরাসরি হামলার পরিবর্তে হামাস এখন ‘হিট অ্যান্ড রান’ কৌশল অবলম্বন করছে। এ কৌশলে তারা নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীকে মোকাবেলা করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ওই কর্মকর্তারা দাবি করেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আট মাসের যুদ্ধে প্রায় অর্ধেক যোদ্ধা হারিয়েছে হামাস। যুদ্ধের আগে যেখানে হামাসের ২০-২৫ হাজার সদস্য ছিল, সেখানে এখন তাদের সদস্য সংখ্যা ৯-১২ হাজার। এর অর্থ হামাসের অর্ধেক যোদ্ধা এরই মধ্যে নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের পক্ষের ৩০০ সেনা নিহত হয়েছে। এ অবস্থায় হামাস যোদ্ধারা দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষ এড়িয়ে চলছে। বরং ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো গেরিলা পদ্ধতির হিট অ্যান্ড রান কৌশল ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারাও হামাসের পরিবর্তিত এ হামলা পদ্ধতি লক্ষ্য করেছেন। উইসাম ইব্রাহিম নামে গাজার এক বাসিন্দা জানান, আগে গাজায় ইসরায়েলি সেনা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই হামাস যোদ্ধারা বাধা দিত। কিন্তু এখন তারা কৌশলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। তারা ইসরায়েলি সেনাদের জড়ো হওয়ার জায়গায় আগে থেকেই লুকিয়ে থাকে এবং আকস্মিক হামলা চালিয়ে দ্রুত সে স্থান থেকে সরে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, এই ধরনের কৌশলের কারণে হামাস তাদের প্রতিরোধ আরও কয়েক মাস দীর্ঘায়িত করতে পারবে। কারণ এ পদ্ধতিতে সুড়ঙ্গ দিয়ে গাজায় পাচার করে নিয়ে আসা অস্ত্র, ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষেপিত অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক বা ইসরায়েলি সেনাদের কাছে থেকে জব্দ করা সামান্য অস্ত্র ব্যবহার করেই শত্রুবাহিনীর বিরাট ক্ষতি সাধন করা যায়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই ইসরায়েল বলছে, চলমান এ যুদ্ধ ২০২৪-এর শেষ নাগাদ পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। সূত্র : রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সিটির হারের রাতে জয় পেয়েছে ইউনাইটেড-চেলসি-লিভারপুল
আগের শিরোপা ‘বাই চান্স’ আসেনি,মেয়েরা প্রমাণ করেছে: সাবিনা
অকস্মাৎ মৃত্যু ইসলামে কাম্য নয়
হাসিনা পালিয়ে না গেলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতো: ইসমাইল সম্রাট
কেরানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ,আহত ১০
দস্তগীরের বানোয়াট প্রশ্নের সমুচিত জবাব দিলেন ম্যাথু মিলার
বাংলাদেশের মাটিতে যত খুন হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যকান্ড হয়েছে সবার বিচার এই মাটিতেই হবে; শামা ওবায়েদ
রাসুল সা. এর জীবনাদর্শই আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের একমাত্র চাবিকাঠি- সিলেটে জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা আফেন্দী
অলরাউন্ডারদের তালিকায় তিনে মিরাজ, শীর্ষ বোলার রাবাদা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাই সচেতনতা
শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলামী জ্ঞান-গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে
চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী মাছপাড়ায় অবৈধ ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে হবে
মানবাধিকারের নামে সমাকামিতা প্রমোট করা জনগণ মানবে না
ইসরাইলি হামলায় আরও ১০২ ফিলিস্তিনি নিহত
পর্তুগাল জমিয়তের উলামায়ে ইসলামের কাউন্সিল সম্পন
শিক্ষার সব স্তরে 'ইসলাম শিক্ষা' বাধ্যতামূলকসহ ৭ দাবি
আয়রন ডোমের আদলে তুরস্কের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ
ইরান সামরিক বাজেট তিন গুণ বাড়াবে
রহস্যঘেরা মায়া সভ্যতার শহরের খোঁজ মেক্সিকোয়