আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে উইসকনসিনে এক সভা করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তিনি প্রথমবারের মতো সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে পূর্ণাঙ্গ সভা করেন। কমলা তার বক্তৃতায় বলেছেন, ট্রাম্প দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চান। তিনি ভয় এবং বিদ্বেষের রাজনীতি করেন। আমরা কি আইনের শাসন চাই না? সাম্য এবং স্বাধীনতার মধ্যে বাঁচতে চাই না? বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের নাম কার্যত নিশ্চিত। মার্কিন পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স এবং সিনেটের ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন তিনি ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছেন। আগামী আগস্টে ডেমোক্র্যাটদের কনভেনশনে তার মনোনয়ন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায়। কমলা আরও বলেন, যারা নারী নির্যাতন করেন, নারীদের সম্মান করতে জানেন না, যারা সাধারণ মানুষের টাকা নয়-ছয় করেন, নিজের স্বার্থে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেন, তেমন মানুষদের আমি চিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চরিত্র আমি জানি। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পও কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে, তিনি হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কে নামতে প্রস্তুত। অর্থাৎ, হ্যারিসকেই তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন। সম্প্রতি, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলন মাস্ক প্রতি সপ্তাহে আমেরিকা প্যাককে ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিচ্ছেন। এই আমেরিকা প্যাক হলো রিপাবলিকানদের প্রচার সংস্থা, যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ডোনেশন নিয়ে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের ব্যবস্থা করছে। মাস্ক এই অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, তিনি আমেরিকা প্যাককে অর্থ সাহায্য করেছেন, তবে রিপোর্টে উল্লেখিত অংকটি সঠিক নয়। এদিকে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর পরও এই প্রথম হোয়াইট হাউসে উপস্থিত হয়ে কমলা হ্যারিসের হয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাইডেন।