ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ৯ মাঘ ১৪৩১

গাজায় ২ হাজার ৪ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক : জাতিসংঘ

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম

বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতির পর গত ৩ দিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে ২ হাজার ৪ শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক। এর মধ্যে ৮৯৭টি ট্রাক ঢুকেছে গতকাল মঙ্গলবার। আগের দিন সোমবার ৬৩০টি এবং বিরতির প্রথম দিন রোববার ৯১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছিল গাজায়। গাজা এবং পশ্চিমতীরে জাতিসংঘের সহায়তা প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তা মুহান্নাদ হাদি রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন এ তথ্য। তিনি জানান, প্রবেশকৃত ট্রাকগুলোর মধ্যে ৫০টি ছিল জ্বালানিবাহী ছিল। বাকিগুলোতে ছিল ময়দা, শাকসবজি, মাংস, ওষুধ, চিকিৎসা উপকরণ, তাঁবু প্রভৃতি উপকরণ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখ-ে হামাস যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার পর গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৫ মাস ধরে চলা সেই ভয়াবহ অভিযানে গাজায় নিয়মিত ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়নি আইডিএফ। প্রসঙ্গত, ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজা উপত্যকায় বসবাস করেন প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনি। উপত্যকায় বেকারত্ব প্রকট এবং বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের এক তৃতীয়াংশই জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা দেশ ও সংস্থার পাঠানো খাদ্য ও অর্থ সহায়তার ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। সামরিক অভিযানের সময় আইডিএফ গাজায় ত্রাণের প্রবেশ সংকুচিত করায় মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েন গাজার বাসিন্দারা। গত ১৫ মাসে গাজায় যে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের একাংশের প্রাণহানির কারণ খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব। অভিযানের ১৫ মাসে গাজায় ত্রাণের ট্রাক লুটপাটের বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে। তবে গত ৩ দিনে কোনো লুটপাট হয়নি বলে জানিয়েছেন মুহান্নাদ হাদি। “বিভিন্ন এলাকায় মৃদু হট্টগোলের সংবাদ আমরা পেয়েছি। যেমন কয়েকটি স্থানে বাচ্চারা ট্রাকের ওপর উঠে খাবারের বাক্স নেওয়ার চেষ্টা করেছে। কয়েকটি এলাকায় লোকজন কিছু পানির বোতল নিয়ে গেছে। এগুলোকে সংগঠিত অপরাধ বা লুটপাটের পর্যায়ে ফেলা যায় না,” রয়টার্সকে বলেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। ১৫ মাস ধরে অভিযান চালিয়ে ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস্তূপে পরিণত করার পর সেখানে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল। গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার কার্যকর হয়েছে এ বিরতি। রয়টার্স।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?
মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি
অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবাহ-বিতর্কিত আইন সংশোধন ইরাকে
বহুবিবাহ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধি জারি ইন্দোনেশিয়ায়
স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে
আরও

আরও পড়ুন

ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?

ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?

রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে জাপান

রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে জাপান

প্রবাসী উপদেষ্টার আশ্বাসে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের আন্দোলন স্থগিত

প্রবাসী উপদেষ্টার আশ্বাসে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের আন্দোলন স্থগিত

মহার্ঘভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা

মহার্ঘভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা

পুরো বইমেলা মনিটরিং হবে ড্রোনে-ডিএমপি কমিশনার

পুরো বইমেলা মনিটরিং হবে ড্রোনে-ডিএমপি কমিশনার

যানবাহন চালক-পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

যানবাহন চালক-পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা

মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি

মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি

মৃত বাবার রেখে যাওয়া ঋণ পাওনাদার নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে?

মৃত বাবার রেখে যাওয়া ঋণ পাওনাদার নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে?

খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকশিত হয় -ডিসি তৌফিকুর রহমান

খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকশিত হয় -ডিসি তৌফিকুর রহমান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক

জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেটজুড়ে স্বস্তি

অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেটজুড়ে স্বস্তি

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী

৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী

মাদারীপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্কবিষয়ক কর্মশালা

মাদারীপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্কবিষয়ক কর্মশালা

রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর

রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর

মাদারীপুরে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন

মাদারীপুরে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন

এক বছরে উখিয়া-টেকনাফে ১৯২ জন অপহরণ

এক বছরে উখিয়া-টেকনাফে ১৯২ জন অপহরণ

‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ দেয়ালে লিখে হত্যার হুমকি

‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ দেয়ালে লিখে হত্যার হুমকি

বিমানের এই কর্মকা- সহ্য করার মতো নয় -সিলেট সুধীজন

বিমানের এই কর্মকা- সহ্য করার মতো নয় -সিলেট সুধীজন

বাণিজ্যমেলায় শেষ মুহূর্তে নিত্যপণ্য কেনাকাটার ধুম

বাণিজ্যমেলায় শেষ মুহূর্তে নিত্যপণ্য কেনাকাটার ধুম