ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অনাস্থা ভোটে টিকে গেল ম্যাক্রোঁর সরকার

Daily Inqilab ইনকিলাব

২১ মার্চ ২০২৩, ১০:০৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম

পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ বছর করায় সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুলেল ম্যাক্রোঁর সরকার। তবে খুবই অল্প ব্যবধানে টিকে গেছে বর্তমান সরকার। গতকাল সোমবার (২০ মার্চ) দু’টি অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় ম্যাক্রোঁকে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধি নিয়ে ফ্রান্সের রাজপথে গত এক সপ্তাহ যাবত বিক্ষোভ হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোয় এখন পর্যন্ত ১০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁর সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা ভোটটি উত্থাপন করেন মধ্যপন্থী এমপিরা। এই ভোটে ম্যাক্রোঁর প্রতি অনাস্থা জানান ২৭৮ জন এমপি। তার সরকারের পতনের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮৭টি ভোট।
যদি অনাস্থা ভোটে হেরে যেতেন তাহলে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে নতুন সরকার গঠন করতে হতো অথবা নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হতো।
এছাড়া মেরিন লঁ পেন্সের উগ্রডানপন্থি ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টির উত্থাপিত দ্বিতীয় অনাস্থা ভোটও সফল হয়নি। এখন যেহেতু অনাস্থা ভোট ব্যর্থ হয়েছে, ফলে ম্যাক্রোঁর পেনশন বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি দ্রুত সময়ে আইনে রূপ নেবে।
সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির কারণে ক্ষীপ্ত হন দেশটির বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৯:৩ ধারার ক্ষমতাবলে কোনো ভোট ছাড়াই এ বয়সসীমা বৃদ্ধি করেন।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষকেও ক্ষীপ্ত করে তোলে। রাজধানী প্যারিসসহ ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে অবস্থান নেন তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। এছাড়া রাস্তায় ব্যারিকেড দেন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার অনাস্থা ভোট ব্যর্থ হলে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
তবে অনাস্থা ভোট ব্যর্থ হলেও যারা এর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তারা সংসদের ভেতর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা দাবি করেন, পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। সংসদের ভেতর একজন এমপি একটি প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। সেখানে লেখা ছিল ‘আমরা রাস্তায় মিলিত হব।’
এদিকে ফ্রান্সে আগে ৬২ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করলেই পেনশন মিলত। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন ৬৪ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে হবে। এ বিষয়টি তরুণদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে সোলা নামের একজন শিক্ষার্থী রাজধানী প্যারিস থেকে বলেছেন, ‘মানুষ মনে করে এ বিষয়টি আমাদের চিন্তার উদ্রেগ করে না, কিন্তু আসলে এটি করে। যদি আমাদের দাদা-দাদী বা নানা-নানীদের আরও দুই বছর কাজ করতে হয়। আমরা জানি পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হবে।’
ম্যারি নামের অপর এক শিক্ষার্থী এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করছি, কারণ আমাদের পরিত্যক্ত করা হয়েছে, আমাদের উপেক্ষা করা হয়েছে। কারণ এ সরকার আমাদের নিয়ে ভাবে না।’
সংসদে প্রথম অনাস্থা ভোট উত্থাপনকারী চার্লস দে কার্সন বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট বন্ধ করা সম্ভব।’
অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ দাবি করেছেন, পূর্বে যে পেনশন ব্যবস্থা ছিল, সেটি ফ্রান্সের বর্তমান বার্ধক্যগ্রস্ত জনগণ অসাধ্য করে দিচ্ছে। সূত্র: বিবিসি


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ
তীব্র হচ্ছে ইসরাইল-হেজবোল্লাহ সংঘাত, নিহত ১৭
সমকামীদের বিয়ের অনুমোদন থাইল্যান্ডে
গাজায় লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা
বিশ্বের বৃহত্তম সাপকে গুলি করে হত্যা
আরও

আরও পড়ুন

প্রফেসর জিয়া রহমানের স্মরণে আগামীকাল ঢাবিতে দোয়া মাহফিল

প্রফেসর জিয়া রহমানের স্মরণে আগামীকাল ঢাবিতে দোয়া মাহফিল

রাজাপুরে নিখোজের দুই দিন পর নদী থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

রাজাপুরে নিখোজের দুই দিন পর নদী থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

কাঁঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেপ্তার

কাঁঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেপ্তার

সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপোস্ট হতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপোস্ট হতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

তীব্র হচ্ছে ইসরাইল-হেজবোল্লাহ সংঘাত, নিহত ১৭

তীব্র হচ্ছে ইসরাইল-হেজবোল্লাহ সংঘাত, নিহত ১৭

রাজবাড়ীতে শাশুড়ীকে জবাই করে হত্যার দায়ে পুত্রবধুসহ ২জনের যাবজ্জীবন কারাদ-

রাজবাড়ীতে শাশুড়ীকে জবাই করে হত্যার দায়ে পুত্রবধুসহ ২জনের যাবজ্জীবন কারাদ-

চট্টগ্রামের খুলশি হতে পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কাপ্তাই থানা

চট্টগ্রামের খুলশি হতে পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কাপ্তাই থানা

গোপালগঞ্জে বড় ভাইয়ের মিথ্যা মামলার জালে সাবেক সেনা সদস্য, পরিবারসহ বাড়ি-ঘর ছাড়া

গোপালগঞ্জে বড় ভাইয়ের মিথ্যা মামলার জালে সাবেক সেনা সদস্য, পরিবারসহ বাড়ি-ঘর ছাড়া

সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা একটিও পণ্য

সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা একটিও পণ্য

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলা মামলায় ৭জন কারাগারে

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলা মামলায় ৭জন কারাগারে

ফেনীর মসজিদ-মাদ্রাসার খেদমতে কাজ করছেন নিজাম উদ্দিন হাজারী

ফেনীর মসজিদ-মাদ্রাসার খেদমতে কাজ করছেন নিজাম উদ্দিন হাজারী

সাতক্ষীরায় হাজরা সাধুর গোডাউন থেকে ১৯৯ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও জরিমানা

সাতক্ষীরায় হাজরা সাধুর গোডাউন থেকে ১৯৯ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও জরিমানা

কটিয়াদীতে জমির ড্রেন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

কটিয়াদীতে জমির ড্রেন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

আইসিইউ মানে জানেন না ডা. মুনিয়া, যা বলছেন নেটিজেনরা

আইসিইউ মানে জানেন না ডা. মুনিয়া, যা বলছেন নেটিজেনরা

সমকামীদের বিয়ের অনুমোদন থাইল্যান্ডে

সমকামীদের বিয়ের অনুমোদন থাইল্যান্ডে