হিজাব পরা নিশ্চিত করতে গোপন ক্যামেরা বসাচ্ছে ইরান
০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২২ পিএম
প্রকাশ্য স্থানগুলোয় গোপন ক্যামেরা স্থাপন করতে শুরু করেছে ইরান। এগুলো দিয়ে হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করা হবে। ইরানের পুলিশ জানিয়েছে, যে নারীরা চুল ঢাকা কাপড় পরবেন না, তাদের ‘পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে’ লিখিত বার্তা পাঠানো হবে।
গত বছর হিজাব ঠিকমত না পরার অভিযোগ তুলে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নৈতিকতা রক্ষক পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হলে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর গ্রেপ্তারের ঝুঁকি থাকলেও ইরানে অনেক নারী হিজাব পরা ছেড়ে দিচ্ছেন, বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে।পুলিশের দাবি, হিজাব আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এর ফলে সেটি বন্ধ হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশ হওয়া পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথাকথিত এসব ‘স্মার্ট ক্যামেরা আর অন্যান্য যন্ত্র’ ব্যবহার করে হিজাব না পরা নারীদের শনাক্ত করা হবে। এরপর হিজাব আইন ভঙ্গ করা নারীদের ঠিকানায় কাগজপত্র এবং সতর্ক করে বার্তা পাঠানো হবে। ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী আইনগতভাবে নারীদের চুল এবং মুখমণ্ডল আবৃত করে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ওই বিপ্লবের একটা বড় লক্ষ্য ছিল নারীদের খোলামেলা সাজপোশাক বন্ধ করা। যদিও সেসময় ইরানের অনেক নারীই ইসলামি রীতি অনুযায়ী পোশাক পরতেন, কিন্তু পশ্চিমাপন্থী শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভিকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের আগে তেহরানের রাস্তায় নারীদের খাটো স্কার্ট পরে এবং মাথা না ঢেকে চলাফেরা করতে দেখা যেত। আয়াতোল্লাহ খোমেইনি ১৯৭৯ সালের ৭ মার্চ ডিক্রি বা নির্দেশনামা জারি করেন যে, সব নারীকে তাদের কর্মক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে হিজাব পরতে হবে এবং নারীরা মাথা না ঢাকলে তার বিচারে সেইসব নারী ''নগ্ন'' বলে গণ্য হবেন।
ওই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় পরদিনই বিক্ষোভ জানাতে তেহরানের রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন এক লাখের ওপর মানুষ, যাদের বেশিরভাগই ছিল নারী। এরপর ১৯৮১ সালে নারী ও কিশোরীদের ইসলামি রীতি অনুযায়ী আব্রু রক্ষা করার উপযোগী পোশাক পরা আইনত বাধ্যতামূলক করা হয়। তাতে বলা হয় নারীদের চাদর পরতে হবে অর্থাৎ তাদের পা অবধি পুরো শরীর ঢাকা ঢিলা পোশাক পরতে হবে এবং তার সাথে পারলে নিচে ছোট একটা স্কার্ফ পরতে হবে। অথবা পুরোদস্তুর হিজাব এবং তার সাথে লম্বা হাতা ওভারকোট দিয়ে শরীর ঢাকতে হবে।
শনিবার পুলিশের ওই বিবৃতিতে পর্দা করাকে ‘ইরানি জাতির সভ্যতার ভিত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বের সঙ্গে এই আইন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে ইরানের পুলিশ। গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে। তারপরেও শরিয়া আইন আরও জোরালোভাবে কার্যকর করার জন্য দাবি করে যাচ্ছে ইরানের কট্টরপন্থীরা। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল অভিষিক্ত বশ,চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা
চাঁদপুর মেঘনায় ড্রেজারসহ ২৮ জন আটক
হরিণাকুন্ডুতে যুবদল সভাপতির উপর গুলি অল্পের জন্য রক্ষা
চুয়াডাঙ্গায় স্যালোমেশিন ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানবাহনের ধাক্কায় এক কৃষক নিহত
কুড়িগ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবদল নেতা নিহত
সিলেটে সমাজ সংস্কারে আলেম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে যাচ্ছেন : আলহাজ্ব সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক
বিরলে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বড় পর্দায় প্রথম তাঁরা, কেমন ছিল অনুভূতি
সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা রয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা
সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়তে বললেন মসজিদের সভাপতি!
সময় টিভির সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি: ওই দিনের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলেন হাসনাত
চট্টগ্রামের প্রবীণ আলেম আল্লামা জালাল উদ্দীনের ইন্তেকাল
ইসকন নিয়ে পোস্ট: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
সংস্কার প্রশ্নে পিছপা হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
সদরপুরে জাসাসের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী ও শোভাযাত্রা
বেগমগঞ্জে যুবদল নেতা সুমনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে চরম অচল অবস্থা, সহিংস ঘটনার আশংকা
জকিগঞ্জে জামায়াতের সেক্রেটারিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ
থার্টি ফাস্ট নাইট নিষিদ্ধ করতে হবে আইন করে জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান