বিশ্বের ৮২ দেশের মধ্যে পাকিস্তানে চীনের প্রভাব বেশি
১১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০২ পিএম
বিশ্বের যে ৮২টি দেশে চীনের প্রভাব রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পাকিস্তানে। তাইওয়ান-ভিত্তিক গুজববিরোধী গোষ্ঠী ডাবলথিঙ্ক ল্যাবের চায়না ইন দ্য ওয়ার্ল্ড (সিআইটিডব্লিউ) নেটওয়ার্ক পরিচালিত দ্য চায়না ইনডেক্স-২০২২ শিরোনামের এক সমীক্ষায় এমনটাই দেখা গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ওই সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র নীতি ও সামরিক খাতে চীনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
ইউনাইটেড স্টেট ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি)-এর সিনিয়র ফেলো সামীর লালওয়ানীর ২২ মার্চে প্রকাশিত অ্যা থ্রেসোল্ড অ্যালায়েন্স : দ্য চায়না-পাকিস্তান মিলিটারি রিলেশনশিপ প্রতিবেদনে ওই তিন খাতের প্রভাবের বিষয়টি দেখা যায়। তবে সামীরের প্রদিবেদনে বেইজিং-ইসলামাবাদের সামরিক সম্পর্কের গভীরতার বিষয়টিতে বেশি জোর দেওয়া হয়।
সামীর চীন-পাকিস্তানের সেই সম্পর্কের বিস্তৃত রূপে দৃষ্টি নিবন্ধ করেছেন এবং পাকিস্তানের উপর চীনা প্রভাব সম্পর্কে এই উদ্বেগ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকেও (সিপিইসি) কী গুরুত্বহীন করে তোলে কিনা সেই ব্যাপারেও কিছু প্রশ্ন তোলে।
ইউএসআইপির বিশেষ এ প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন-ভারত সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের তীব্র প্রতিযোগিতা গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। আর ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চীন ও পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে ঘনিষ্ট করেছে।
এর ফলে দেশ দুটির সেনা ও নৌবাহিনীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান হারে সরঞ্জাম বিনিময় বৃদ্ধি করেছে, যৌথ পরিশীলিত মহড়ায় নিযুক্ত হচ্ছে এবং কর্মী ও কর্মকর্তা বিনিময়ের মাধ্যমে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ করছে।
প্রতিবেদনে চীন ও পাকিস্তানের অস্ত্র হস্তান্তর, মহড়া এবং ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে কীভাবে সক্ষমতা বিনিময় করছে এবং নিজেদের মধ্যে আন্তঃপরিচালনা ক্ষমতা তৈরি করছে সে বিষয়টিতে দৃষ্টিপাত করা হয়। প্রতিবেদনে চীন-পাকিস্তান সামরিক সহযোগিতার তিনটি ক্ষেত্রের মাধ্যমে হয় বলে জানানো হয়। এই তিন ক্ষেত্র হলো- অস্ত্র হস্তান্তর এবং সহ-উন্নয়ন, সামরিক কূটনীতি ও অনুশীলন এবং সামরিক ঘাঁটি প্রস্তুতি এবং আনুষঙ্গিক পরিস্থিতি।
ইউএসআইপি বলেছে, চীনের আনুষ্ঠানিক জোট থেকে পাকিস্তান দূরে থাকা সত্ত্বেও, চীন-পাকিস্তান সামরিক অংশীদারিত্ব গত এক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে এবং একটি জোট গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর পরাশক্তির মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন। বেইজিং পাকিস্তানের প্রচলিত অস্ত্র ও কৌশলগত প্ল্যাটফর্মের প্রধান সরবরাহকারী এবং পাকিস্তানের ব্যাপক আক্রমণাত্মক আক্রমণ ক্ষমতার প্রধান সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের সামরিক কূটনীতি পরিমাণগত এবং গুণগতভাবে রাশিয়ার সঙ্গে তার সামরিক অংশীদারিত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে চীন ও পাকিস্তান যৌথ সামরিক মহড়ার গতি ত্বরান্বিত করেছে, যা জটিলতা ও আন্তঃকার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র : ইএফএসএএস কমেন্টারি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কাকরাইলে সাদপন্থিদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ইয়েমেনে হামলার সময় বিমানবন্দরে ছিলেন ডব্লিউএইচওর প্রধান
ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেন ও গাজায় ব্যাপক প্রাণহানি
হেলিকপ্টারে সফর নিয়ে বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ মাহমুদ
কুমিল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হলো সিসিটিভি ভিডিও
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা
টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডময় ৩৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্মিথ
জাহাজে ৭ খুন : লাগাতার কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা
লেস্টার সিটিকে হারিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে লিভারপুল
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং: ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ