ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

মা ডাক শুনতে চাইছেন না ৪২ শতাংশ জাপানি মহিলা!

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১১ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৩ এএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৩ এএম

২০০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন এমন বহু জাপানি মহিলা কোনও দিন সন্তানের জন্ম না-ও দিতে পারেন। যা জাপানের সামাজিক পরিস্থিতির পরিপন্থী হয়ে উঠতে পারে। এমনটাই বলছে জাপানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

 

জাপানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৫ সালে জন্ম নিয়েছেন অথচ কোনও দিন ‘মা’ ডাক শুনতে চান না, এমন তরুণীর সংখ্যা প্রায় ৪২ শতাংশ। জাপানে ২০০৫ সালে জন্ম নেয়া প্রায় ৪২ শতাংশ তরুণী তাদের জীবদ্দশায় কখনওই সন্তানধারণ করতে চান না। জাপানের সরকারি গবেষণার অনুমানকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যম ‘নিক্কেই’। আর এর ফলে জাপানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে চলে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

 

‘নিক্কেই’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ’ একটি গবেষণা চালিয়ে দাবি করেছে, ২০০৫ সালে জন্ম নেয়া মহিলাদের ৪২ শতাংশ কখনও মা হতে চান না। পরিস্থিতি মোটামুটি থাকলে, সেই সংখ্যা হবে ৩৩.৪০ শতাংশ। পরিস্থিতিতে খুব ভাল হলে আশা করা যাচ্ছে সংখ্যা হবে ২৪.৬০ শতাংশের কাছাকাছি।

 

রিপোর্ট অনুযায়ী জাপানে পুরুষদের মধ্যেও বিয়ে না করার প্রবণতা বাড়ছে। ১৮ বছর বয়সিদের অর্ধেকই নাকি জানিয়েছেন যে, তারা বাবা হতে চান না। জাপানের পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে সন্তান জন্ম দেয়ার অনীহার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

 

সংখ্যায় অনেক কম হলেও অনুরূপ প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। গবেষণা বলছে, প্রথম বিশ্বের দেশগুলি অর্থনীতির দিক থেকে ফুলেফেঁপে উঠলেও তাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিয়ে না করার এবং সন্তান জন্ম না দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলিতে, ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণকারী মহিলাদের প্রায় ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ সন্তানধারণ করেননি। জাপানে এই সংখ্যা ২৭ শতাংশের কাছাকাছি।

 

কয়েক বছরের মধ্যে জাপানের এ সংখ্যা পশ্চিমি দেশের তুলনায় দ্বিগুণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ব্রিটেন এবং জার্মানির মতো দেশগুলিতে এই প্রবণতা কিছুটা কমেছে। ওই দুই দেশের বেশির ভাগ দম্পতি অন্তত একটি সন্তানধারণে ইচ্ছুক। জাপান সরকারও তরুণ প্রজন্মকে সন্তানধারণের জন্য উৎসাহিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুরুষদের বিয়ে করার বিষয়েও উৎসাহ জোগানোর চেষ্টা করছে সরকার।

 

হিটোতসুবাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইকোনমিক রিসার্চের অধ্যাপক তাকাশি ওশিও বলেন, ‘পেনশন তোলা থেকে চিকিৎসা করানো— অনেক ক্ষেত্রেই অবিবাহিতদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর তা ছাড়া এ ভাবে তরুণ প্রজন্ম বিয়ে এবং সন্তানবিমুখ হয়ে গেলে জাপানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে চলে যাবে।’ জাপানে জন্মহার বছরের পর বছর ধরে কমে যাওয়ার কারণে সরকার বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২২ সালে সে দেশে জন্মহার ছিল সব থেকে কম।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা