এত দিনে সমাধান হল কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অন্যতম বড় রহস্যের
১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৫ এএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৫ এএম
এত দিনে কোয়ান্টাম মেকানিক্সে রহস্যের পর্দা ফাঁস হল। ভারতের বেঙ্গালুরু ও কলকাতা এবং সুদূর ফ্রান্সে প্যারিসের সাত জন বিজ্ঞানী এই অসাধ্য সাধন করলেন। বেঙ্গালুরুতে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের লাইট অ্যান্ড ম্যাটার ফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপিকা উর্বশী সিনহা, তার তিন ছাত্রছাত্রী সূর্যনারায়ণ সাহু, সঞ্চারী চক্রবর্তী, সৌম্যরঞ্জন বেহেরা, কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরের সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোপার্টিকল ফিজিক্স অ্যান্ড স্পেস সায়েন্সের অধ্যাপক দীপঙ্কর হোম, তার ছাত্র সোম কাঞ্জিলাল এবং প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে ল্যাবরেতরি দ্য ফিজিক থিওরিক এত মদেলাইজেশন বিভাগের অদ্যাপক অ্যালেক্স মাতঝাকিন যে পরীক্ষা করলেন, তাতে রহস্যের পর্দা ফাঁক হল।
প্রায় একশো বছর আগে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের গুরু নিলস বোর বলেছিলেন, প্রত্যেক কণার তরঙ্গধর্ম আছে। আলো কী? প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে আইজাক নিউটন বিশ্বাস করতেন, আলো হল কণার সমষ্টি। আজ থেকে আড়াইশো বছর আগে জন্মানো টমাস ইয়ং তাকে ভুল প্রমাণ করেন। সামান্য একটি পরীক্ষা করে দেখান যে, আলো একটা তরঙ্গ। বোর বলেছিলেন, আলো কণা এবং তরঙ্গ দু’টোই। কিন্তু একটা ধর্ম দেখলে অন্যটা দেখা যায় না। এই যে কণার তরঙ্গ ধর্ম আছে— এবং একটা দেখলে অন্যটা দেখা যাবে না— এইটি কোয়ান্টামের মূল প্রহেলিকা।
এই প্রহেলিকা সমাধানের জন্যই সাত জন বিজ্ঞানী চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে তারা সফল। বেঙ্গালুরুতে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যে পরীক্ষা তারা করেছিলেন, তাতে তারা দেখিয়েছেন, আলোর কণা ফোটন কণা এবং তরঙ্গ একসঙ্গে দু’টোই। তাদের পরীক্ষার খবর বেরিয়েছে ‘কমিনিকেশনস ফিজিক্স’ জার্নালে, যা ‘নেচার’ গ্রুপের এক বড় পত্রিকা। তাদের গবেষণাপত্রের শিরোনাম হল, ‘আনঅ্যামবিগুয়াস জয়েন্ট ডিটেকশন অব স্প্যাশালি সেপারেটেড অব আ সিঙ্গল ফোটন ইন টু আর্মস অব অ্যান ইন্টারফেরোমিটার’।
রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে যে যন্ত্রটি তারা ব্যবহার করেছিলেন, তা নেহাতই সাদামাটা। ইন্টারফেরোমিটার— যা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনেক এক্সপেরিমেন্টেই কাজে লাগে। এর দুই শাখা আছে। এক শাখায় ফোটনের কণা-ধর্ম, অন্য শাখায় তরঙ্গধর্ম দেখা যাবে বিশেষ ব্যবস্থায়।
উর্বশী বলছিলেন, ‘এ ধরনের পরীক্ষার কথা ২০১৩ সাল থেকে বলে আসছিলেন বিজ্ঞানী আকির আহরানভ। তিনি প্রভাবটাকে বলেছিলেন ‘কোয়ান্টাম চেশায়ার ক্যাট’ এফেক্ট। লুই ক্যারলের ক্লাসিক উপন্যাস ‘অ্যালিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’-এর আদলে। যেখানে বলা হয়েছিল দাঁতকপাটি থাকবে, অথচ বেড়াল থাকবে না। প্রায় দশ বছর ধরে অনেকেই ওই কোয়ান্টাম চেশায়ার ক্যাট এফেক্ট দেখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কেউ পারছিলেন না। আমরাই প্রথম সফল হলাম।’ অ্যালেক্স বলছিলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম, কোয়ান্টামের মৌলিক সমস্যা নিয়ে কাজ করব। এত দিনে সফল হলাম।’ সূত্র: এবিপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকারে খুলেছে সচিবালয়, ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয়ের কাজ চলছে অন্যত্র
কেশবপুরের পল্লীতে নারকেল গাছ থেকে পড়ে মৃত্যু
জকিগঞ্জে বাসের চাপায় স্কুলছাত্র আবিরের মর্মান্তিক মৃত্যু : শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ
ইলন মাস্কের উগ্র-ডানপন্থী সমর্থন নিয়ে বিতর্ক
বিজিবির সহায়তায় অবশেষে মুহুরী নদীতে সেচ পাম্প চালু
গাজায় নিহত ৩৬, হাসপাতালের পরিচালককে গ্রেফতারে বিশ্বজুড়ে নিন্দা
ইসলামি সংগীতে অনন্য মুজাহিদ বুলবুল
টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় সাদপন্থী হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
বিমান থেকে ছিটকেও যান কেউ কেউ! দ.কোরিয়ার দুর্ঘটনায় যেভাবে ১৭৯ জনের মৃত্যু
যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে প্রধানমন্ত্রী রয়!
শেরপুরে বাস ও সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫
কোন সাহসে হাসিনার গ্রাফিতি মোছে? ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি উমামার
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস শুরু
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
হিন্দু সেজে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নারীসহ গ্রেপ্তার ১০
তুরস্কে ৮ বছরের মেয়ে শিশু হত্যার ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
আটঘরিয়ায় বাঁশঝাড়ে কিশোরী খুন, টাঙ্গাইল আশেকপুর থেকে প্রধান আসামী গ্রেফতার
এখনও পুলিশের অনেক সদস্য দেদারসে ঘুষ খাচ্ছে : সারজিস আলম
সাভারে ছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার-২