চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এল নিনোর পরিস্থিতি বিরাজ করার ৯৫ শতাংশেরও বেশি আশঙ্কা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া বিভাগ বৃহস্পতিবার দেয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশে তাপপ্রবাহ এবং বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে।

আবহাওয়ার ঘটনা, পূর্ব ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার উষ্ণতা, ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের উদ্রেক করছে, যেখানে উদীয়মান বাজারের জন্য খাদ্য ও শক্তির দামের দরপতনের কারণে আরও বেশি ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। মার্কিন ক্লাইমেট প্রেডিকশন সেন্টারের (সিপিসি) সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, এ ঘটনাটি শীতকালে অব্যাহত থাকার ৯৫ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে।

আগের দিন, জাপানের আবহাওয়া ব্যুরো উত্তর গোলার্ধে শীতকালে এল নিনো থাকার আশঙ্কা ৯০ শতাংশ বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা মে মাসে সতর্ক করেছিল যে আবহাওয়ার ধরণ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে। ‘জুলাই মাসে, এল নিনো নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে সমুদ্র পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রার দ্বারা নির্দেশিত হিসাবে অব্যাহত ছিল,’ সিপিসি বলেছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে, পূর্বাভাসকারীরা এল নিনোর এবার আরও ‘শক্তিশালী’ থাকবে বলে মনে করছেন, যেখানে নভেম্বর-জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা প্রায় ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২ দশমিক ৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার বেশি বৃদ্ধি পায়। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এটি পশ্চিম আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে শুষ্ক আবহাওয়া এবং দক্ষিণ দক্ষিণ আমেরিকায় আর্দ্র পরিস্থিতি নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। সূত্র: রয়টার্স।