সাইমন রাইট একজন পেশাদার ব্রিটিশ ভিক্ষুক যিনি প্রতি বছর ভিক্ষা করে ৫০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশি টাকা) উপার্জন করেন। ২০১৩ সালে তাকে একটি অসামাজিক আচরণের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কারণ তার আর্থিক অসুবিধার কারণে তাকে লন্ডনের রাস্তায় লোকেদের কাছে হাত পাততে নিষেধ করেছিল। কারণ, পরিস্থিতি ততটা খারাপ ছিল না। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের কয়েক সপ্তাহ পর তাকে আবারও লন্ডনের লেস্টার স্কোয়ারে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। নির্ভীক ভিক্ষুক আবার গ্রেফতার হলেও পরে জামিনে মুক্তি পান।
২০১৩ সালের জুন মাসে ডেইলি মেইল সংবাদপত্র রিপোর্ট করে যে, ৩৭ বছর বয়সী লোকটিকে দক্ষিণ লন্ডনের পুটনি হাই স্ট্রিটের ফুটপাতে ন্যাকড়া পরিহিত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে। কাছাকাছি একটি কার্ডবোর্ডের টুকরোতে তিনি নিজের হাতে লিখেছিলেন, ‘গৃহহীন এবং ক্ষুধার্ত’, কিন্তু সত্যটি হল, তিনি প্রতি রাতে ফুটপাথ থেকে উঠে পাশের ফুলহ্যাম এলাকায় ৩ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি ৪ লাখ ১৬ লাখ টাকা প্রায়) মূল্যের কাউন্সিল এস্টেটে তার মালিকানাধীন ফ্ল্যাটে রাত্রিযাপন করেন।
ওয়েস্টমিনস্টারের কমিউনিটি সুরক্ষা কাউন্সিলর নিকি আইকেন বলেছেন : ‘এটি লজ্জার যে, দুই বা তিনবার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও কেউ তাদের খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে না। এ ধরনের লোকদের নজরদারি করার জন্য আমরা রাস্তার ওয়ার্ডেনদের একটি দল নিয়োগ করেছি। অনেক লোক যারা সহানুভ‚তিতে সাইমন রাইটকে অর্থ দেয় তারা নিজেরাই বছরে ৫০ হাজার পাউন্ড উপার্জন করতে পারে না। শুধু সাইমন ভিক্ষুক নন, তার মতো অনেক নিঃস্ব মানুষ আছে রাস্তায়। সেজন্য আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি যেন এ ধরনের লোকদের টাকা না দেওয়া হয়।
আদালতকে আরো বলা হয় যে, সাইমন প্রায়ই তার নোট পরিবর্তন করতে কাছাকাছি দোকানে যেতেন এবং দোকানদাররাও তাকে সহানুভ‚তিতে অতিরিক্ত দুই থেকে তিনশ’ পাউন্ড দিয়ে দিতেন। সূত্র : হাঙ্গামা এক্সপ্রেস।