ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

গাজায় যুদ্ধ করতে গিয়ে ১২ হাজারের বেশি ইসরায়েলি সেনা ‘পঙ্গু’

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫ পিএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫ পিএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ করতে গিয়ে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ ইসরায়েলি সেনা ‘পঙ্গু’ হয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওত আহরোনোত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নিযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান মূলত এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যাদের সেনাদের হতাহতের বিষয়টি নিরূপণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত সেনার পঙ্গুত্ব বরণ করাকে ‘বিষন্ন পূর্ভাবাস’ হিসেবে অভিহিত করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

১২ হাজার ৫০০ সেনার পঙ্গু হওয়ার বিষয়টিকে সতর্কবার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে ইয়েদিওত আহরোনোত। হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পঙ্গু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ইসরায়েলি সেনারা যে আবেদন করছেন সেটি ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুনর্বাসন বিভাগ বর্তমানে ৬০ হাজার পঙ্গু সেনাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে কমপক্ষে ৫ হাজার সেনা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ সেনা।

যে ১২ হাজার সেনার কথা বলা হচ্ছে তারা কী শুধুমাত্র নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধে আহত হয়েছেন; সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ইয়েদিওত আহরোনোত।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সেনাদের হতাহত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটির সঙ্গে এ তথ্যের অনেক অসঙ্গতি রয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হতাহতের সংখ্যা ৩ হাজারে পৌঁছেছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ২ হাজার ৩০০ সেনা।

সেনাদের হতাহতের যে সংখ্যা সেনাবাহিনী প্রকাশ করছে সেটি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ সেনাবাহিনী দেওয়া তথ্যের তুলনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেনার সংখ্যা অনেক বেশি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে হুশিয়ারির সুরে বলা হয়েছে, সাবেক সেনা ইতজিক সাইদানের ঘটানো ঘটনার মতো এমন কিছু হয়ত ইসরায়েল আবারও প্রত্যক্ষ করবে। ইতজিক সাইদান ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষোভ থেকে ২০২১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাইরে নিজ গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার মনে হয়েছিল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা চুক্তির সবক্ষেত্রে ‘অপমান ও বঞ্চনার’ শিকার হয়েছিলেন তিনি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন