গাজা যুদ্ধে অবরুদ্ধ লোহিত সাগরে সুয়েজ খাল বিকল্প বানিজ্য পথ বাড়াতে পারে দ্রব্যমূল্যদ্য ইকোনোমিস্ট
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম

১৮৬৯ সালে উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে সুয়েজ খাল এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে বাণিজ্যকে নতুন রূপ দিয়েছে। গত বছর প্রায় ২৪ হাজার জাহাজ ভূমধ্যসাগর এবং লোহিত সাগরকে সংযুক্তকারী এই পথ ধরে ডাতায়াত করেছে, যা আয়তনের ভিত্তিতে বিশ্বের সমুদ্রবাহিত বাণিজ্যের ১০ শতাংশ বহন করে।
হুথিরা গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কয়েক ডজন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এটি পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে নৌ ও বিমান হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। ফলে, গূরুত্বপূর্ণ এই জলপথ ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্ঘাতের পরিধি বাড়ছে এবং বিশ্ব বাণিজ্যে ব্যাঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে।
জার্মান গবেষণা সংস্থা কিয়েল ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের মধ্যকার গড়ের ভিত্তিতে সুয়েজ খালে বানিজ্য জাহাজগুলির বর্তমান পরিমাণ প্রত্যাশিতের তুলনায় ৬৬ শতাংশ কম। জানুয়ারী মাসের মধ্যে মাত্র ২ লাখ মালবাহী জাহাজ এই জলপথ ব্যবহার করেছে, যা ২০২২ সালের ডিসেম্বরের করোনাকালীন প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার বানিজ্য জাহাজের তুলনায় সর্বনিম্ন। বিপি এবং ইকুইনরের মতো কয়েকটি জ¦ালানী সংস্থাও সাময়িকভাবে খালটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাঘাত।
ুলোহিত সাগর দিয়ে যাত্রা করার পরিবর্তে এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে যাতায়াতকারী জাহাজগুলি এখন আফ্রিকা এবং কেপ অফ গুড হোপ প্রণালী ব্যবহার করছে। এই দীর্ঘ বানিজ্য পথ অতিরিক্ত সময় যোগ করছে, উদাহরণস্বরূপ, সুয়েজ খাল এড়িয়ে সাংহাই থেকে রটারডাম যেতে অতিরিক্ত দশ দিন সময় লাগে। এই বিলম্বগুলি সরবরাহ শৃঙ্খলের বাকি অংশগুলির জন্য একটি চাপ তৈরি করে এবং বার্থ এবং বন্দরে বাধা সৃষ্টি করে।
সুয়েজ খাল এড়িয়ে দীর্ঘ ঘোরা পথে আরও জ্বালানির প্রয়োজন হচ্ছে জাহাজগুলির। এটি কুখ্যাতভাবে নোংরা শিল্পে দূষণ যোগ করছে এবং মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফ্রেইটস বাল্টিক ইনডেক্স (এফবিএক্স) অনুসারে ১৭ জানুয়ারী থেকে ৩০ দিনে একটি সাধারণ মালবাহী জাহাজের পরিবহন খরচ ১৪৬ শতাংশ বেড়েছে। উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান ড্রিউরি বলেছে যে, সাংহাই থেকে রটারডামের খরচ এই সময়ের মধ্যে ১৬০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এই খরচ আবারও দ্রব্যমূল্যের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

জুলাই আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার

লামায় জাল সনদ দিয়ে চাকুরী করছে প্রাথমিকের ৫ শিক্ষক, সরকারি টাকা আত্মসাৎ

সঙ্গে থাকা বাচ্চা মেরে কুকুরটি কামড়ালো বৃদ্ধ, শিশুসহ ছয়জনকে

তাহাজ্জুদ নামাজের পর বেতের পড়তে গিয়ে তাহাজ্জুদ বেতের দু’টোই মিস হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।

গুলিস্তানে মার্কেট দখল করতে গিয়ে গ্রেফতার

জামানত ছাড়াই ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘনিয়ে আসছে রাশিয়ার কুর্স্ক আক্রমণে ভরাডুবি কিয়েভের

ঢাকায় মার্কিন সিনেটর চার্লস পিটার্স

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে বিচার বিভাগের ওপর

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ আজ?

ড. ইউনূস এর মতো সরকার প্রধান পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার :জামায়াত নেতা ড. ইকবাল

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের কমিটি কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না

কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ টাকা জরিমানা

প্রেষনে বিমান বাহিনী থেকে লোকবল নিয়োগ বাতিল সহ ৪ দফা দাবীতে সিলেটে বেবিচক কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ

নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার, নিয়ন্ত্রণে কমলনগরের দুই নেতা!

ছাগলনাইয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে চারটি মোটরসাইকেল

বিএনপিকে আবার মিডিয়া ট্রায়ালে ফেলা হচ্ছে: তারেক রহমান

পাঠদান পদ্ধতির আধুনিকায়ন জরুরি

পিলখানা ম্যাসাকার তদন্ত কমিশন : রিপোর্টের জন্য জনগণের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা

অর্থনীতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে হবে