‘কট্টর হিন্দুত্বে’ মোদির উত্তরসূরি তিনিই, সরযূতীরে প্রমাণ যোগীর
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪১ পিএম

‘সূর্য নমস্কারের প্রতিবাদ করলে ভারত ছাড়ার জন্য তৈরি থাকুন।’ নিন্দা, ধিক্কার আর সমালোচনায় সওয়ার হয়ে প্রচারের পাদপ্রদীপে এসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। প্রায় দুদশকের রাজনীতিতে দলের মধ্যে নিজেকে ‘কট্টর হিন্দুবাদী’ হিসাবে প্রমাণ করার পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০১৭-য়। মাত্র ৪৪ বছর বয়সে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য তাকেই বেছে নিয়েছিল বিজেপি।
সাতবছর পর সরযূতীরে প্রমাণ হল, হিন্দুত্ববাদে নরেন্দ্র মোদির যোগ্য উত্তরসূরি তিনিই– যোগী আদিত্যনাথ। এমনকী, দলের দ্বিতীয় কমান্ড-ইন-চিফ অমিত শাহকেও পিছনে ফেললেন তিনি। সোমবার অযোধ্যায় বহু প্রতীক্ষিত রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে বহুদূরে শাহ যখন দিল্লির মন্দিরে আরতি করছেন, তখন তাকে সরিয়ে মোদির পাশে নিজের উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রমাণ করতে ব্যস্ত যোগী। মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি। ইনি সেই যোগী, যিনি তার রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে রামমন্দির গড়ার প্রধান কারিগরই নন, পুরো অনুষ্ঠানটিকে সফল করারও কমান্ড-ইন-চিফ।
যারা রাজনীতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, একবাক্যে স্বীকার করছেন, ভবিষ্যতে মোদির একমাত্র বিকল্প যোগী আদিত্যনাথ। আর এদিন অযোধ্যাতেই তা আরও স্পষ্ট হল। হবে না-ই বা কেন, ২৬ বছরের সংসদীয় রাজনীতিতে নিজেকে যোগ্য সংগঠক হিসাবে তো আগেও প্রমাণ করেছন তিনি। হিন্দুত্ববাদের হাত ধরে উত্থান যে দলের, আজকের পর তাদের কাছে জরুরি ‘আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদ’। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গুডবুকে এসে গিয়েছেন যোগী।
বিজেপিতে প্রথমে নেতৃত্বে ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আদবানি। বাজপেয়ী উদারমনা হলেও আদবানিকে সবাই কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসাবেই জানে। এরপর নেতৃত্ব দিয়েছেন আদবানি আর নরেন্দ্র মোদি। দুজনেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত। এখন দলের নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। তারা দুজনেই কট্টর হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচিত। কিন্তু আরও কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসাবে যদি একজনকে বাছতে হয়, তিনি ‘ফায়ার ব্র্যান্ড’ যোগী।
গোরক্ষপুরের প্রধান পুরোহিতের রেকর্ডই সে কথা বলে। ২০১৫ সালে সংখ্যালঘুদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘সূর্য নমস্কারের প্রতিবাদ করলে ভারত ছাড়ার জন্য তৈরি থাকুন।’ এই যোগীই তার দশ বছর আগে শুদ্ধিকরণের ডাক দিয়েছিলেন। ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের হিন্দুধর্মে পুনর্ধর্মান্তরকরণ। ২০০৭ সালে মহরমের দিন ‘অহিংস’ ধরনায় বসে পড়েছিলেন গেরুয়াধারী আগাগোড়া সন্ন্যাসী এই রাজনৈতিক নেতা। ক্রমে বিজেপির হিন্দুত্বের মোড়কে উন্নয়ন কর্মসূচির ম্যাসকট হয়ে ওঠেন তিনি। এই যোগীর বিরুদ্ধে দাঙ্গায় প্ররোচনার অভিযোগ রয়েছে। ২০০২ সালে যোগী প্রতিষ্ঠা করেন হিন্দু যুব বাহিনী। একে সামাজিক-সাংস্কৃতিক মঞ্চ হিসাবে তুলে ধরা হলেও, আসলে এর সদস্যরা অস্ত্রপ্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, গো-রক্ষা ও ‘লাভ-জিহাদ’ রুখতে কাজ করে। সর্বত্র তাদের অদৃশ্য উপস্থিতি। নিজেকে হিন্দুত্ববাদী বলে তুলে ধরতে চাইলেও, প্রমাণ করার জন্য যোগীর মতো এত ‘কৃতিত্ব’ শাহর নেই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কমিটি গঠন

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ তথ্য উপদেষ্টার

করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি

শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলামের ১৬৩ ব্যাংক হিসাবে ৬ কোটি টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ

যুক্তরাজ্য থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানিসহ ক্রয় কমিটিতে ৭ প্রস্তাব অনুমোদন

আদালত চলতো হাসিনার নির্দেশে, মামলার রায় আসতো গণভবন থেকে: নুর

সার্টিফিকেট ইস্যু না করায় রিট জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক প্রথম চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’

দোহারের কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজার শহরে উচ্ছেদের মুখে আতঙ্কগ্রস্থ হাজারো নারী-পুরুষ ঘরবাড়ি ও জমি রক্ষায় মানববন্ধন

কর্পোরেট জবাবদিহিতা ও পরিবেশগত ন্যায়বিচারের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

মার্কিন গোয়েন্দা প্রধানের মন্তব্যে তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

বাংলাদেশে ট্রান্সন্যাশনাল এডুকেশন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪১৩

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে

জ্বালানি সচিব-তিতাসের এমডিকে আদালত অবমাননার নোটিশ

নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র!

সোনার দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১৫৪৯৪৫ টাকা

ঢাবিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আনোয়ারায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত-জড়িতদের বসতঘরে জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

বার্জার ও সিএমপি-এর উন্নত কোটিং প্রযুক্তি যমুনা রেল সেতুকে দিচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা