ঢাকা   শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ | ১১ কার্তিক ১৪৩১

গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র

Daily Inqilab ইনকিলাব

০৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৪ এএম | আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৮ এএম

ঘোষণা অনুযায়ী বিপন্ন গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলতে শুরু করেছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসির সংবাদ অনুযায়ী, শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিমান থেকে গাজা শরণার্থী শিবির অধ্যুষিত  এলাকাগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী ফেলতে শুরু করেছে।এদিন দেশটির তিনটি সামরিক বিমানে ৩০ হাজারের বেশি 'তৈরী খাবারের' প্যাকেট ফেলা হয় বলে জানায় বিবিসি।

আমেরিকার সঙ্গে এই আকাশ থেকে এই ত্রাণ ফেলার কর্মসূচিতে সহায়তা করছে জর্ডানের বিমানবাহিনী।আগামী কয়েক দিনে আকাশ থেকে এই প্রাণ থাকার কার্যক্রম চালু রাখবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সদর দপ্তর থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে বলা হয়,সি-১৩০ পণ্যবাহিনী বিমান থেকে  গাজার সীমানরেখা ধরে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার প্যাকেট ফেলা হয়েছে।এতে উল্লেখ করা হয়,দেশটির এই ত্রাণ সামগ্রী ফেলার কার্যক্রম গাজায় দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের কাছে অপ্রতুল আন্তর্জাতিক মানবিক সাহায্য বর্ধিতকরণ প্রচেষ্টার অংশ। এর আগে বিপর্যস্ত গাজাবাসীর উদ্দেশ্য একই উপায়ে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে যুক্তরাজ্য,জর্ডান,ফ্রান্স ও মিশর।

যদিও গাজায় সেবা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলো আকাশ থেকে ত্রাণ ছোঁড়ার এই পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।এর বদলে অধিক ও সমভাবে সংকটে থাকা মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য ট্রাকে করে ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর কার্যক্রমে জোর দিতে বলেছে এসব সংস্থা।

প্রথম থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে জোর সমর্থন দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন অস্ত্র, অর্থ ও নজিরবিহীন কূটনৈতিক সমর্থনে গত কয়েক মাস ধরে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।ইসরায়েলী সেনাবাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে এখন পর্যন্ত  ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ,বাস্তচ্যুত হয়েছে ২০ লক্ষ গাজাবাসী।

আন্তর্জাতিক নিয়ম ভঙ্গ করে ইসরায়েলের ধারবাহিকভাবে চালানো এসব হামলায় তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হয় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ দৈনন্দিন জীবনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে বাস্তব গাজাবাসীর জীবনে। 

তবে গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বর্বরতা যেন আগের সব সীমাকে ছাড়িয়ে যায়। এদিন গাজায় ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা অসহায় মানুষের লক্ষ্য করে নির্বিচার গুলি চালায় ইসারেয়েলি সেনা সদস্যরা।যাতে প্রাণ হারান ১১২ জন।এতদিন নীরব থাকা ইউরোপের দেশগুলো এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন।নিরপরাধ মানুষের উপর এ ধরণের আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য বলে ফ্রান্স,যুক্তরাজ্যশ আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের কাছে এর নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুষ্ঠু  ব্যাখ্যা ও চায়।

এই ঘটনায় বরাবরের মতো ইসরায়েলের সরাসরি সমালোচনা না করলেও আকারে-ইঙ্গিতে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। সেদিনই দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন  গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা কার্যক্রম চালানোর কথা বলেন।

 

  

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ঐক্যভঙ্গ হলে আ'লীগ সুযোগ পাবে - রাশেদ প্রধান

ঐক্যভঙ্গ হলে আ'লীগ সুযোগ পাবে - রাশেদ প্রধান

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এমডি নিয়োগ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এমডি নিয়োগ নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র

হাবের কর্তৃত্ব দখলে মাঠে নামছে দু’টি গ্রুপ

হাবের কর্তৃত্ব দখলে মাঠে নামছে দু’টি গ্রুপ

জামায়াত মদিনার নয় মওদুদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়-আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী

জামায়াত মদিনার নয় মওদুদীর ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চায়-আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী

বাংলাদেশের বাজারে HERO Xtreme 125R আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

বাংলাদেশের বাজারে HERO Xtreme 125R আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

জামাতে নামাজের সময় ইমামের সাথে দোয়া দুরুদ শেষ করতে না পারা প্রসঙ্গে?

জামাতে নামাজের সময় ইমামের সাথে দোয়া দুরুদ শেষ করতে না পারা প্রসঙ্গে?

আ.লীগকে বৈধতা দেওয়ার যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা সবাই ফ্যাসিবাদের দোসর : সারজিস

আ.লীগকে বৈধতা দেওয়ার যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারা সবাই ফ্যাসিবাদের দোসর : সারজিস

বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি

বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি

গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম

গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম

অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি

ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি

প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’

প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’

নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু

নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু

প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি

প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি

গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত

গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত

সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর

সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর

জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা

বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ

বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ

সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম

সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম

এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য