মোদির মন্ত্রিসভায় এবারও কোনো মুসলিম নেই
১০ জুন ২০২৪, ০১:২৩ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা প্রায়ই দাবি করতেন, সংখ্যালঘু মুসলমানদের একাংশও নাকি এখন তাদের ভোট দিচ্ছেন। আবার অনেকেই এই দাবিকে ‘ফাঁকা আওয়াজ’ হিসেবে অবিহিত করেন। তবে শুভেন্দুদের দাবি যদি সত্য বলে ধরে নেওয়া হয় তাহলে তার প্রতিফলন কোথায়?
হিসেব অনুযায়ী, মোট ভোটারের ১৪ শতাংশ ভোটার মুসলিম। তবুও মোদির নবগঠিত মন্ত্রিসভায় নেই কোনো সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। রোববার (৯ জুন) রাষ্ট্রপতি ভবনে নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন শপথগ্রহণ করেন। এই ৭২ জনের মধ্যে কোনো মুসলিম নেই। এমনকি শরিক দল তেলেগু দেশম বা জনতা দল ইউনাইটেডও কোনো মুসলিম প্রার্থীকে মন্ত্রী করেনি।
এই ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা বর্তমান সরকারে ধারাবাহিকভাবে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি নেই। এক্ষেত্রে কেউ বলছেন, ‘নো ভোট-নো পোস্ট।’ অর্থাৎ সংখ্যালঘুরা বিজেপি বা তাদের শরিকদের ভোট দেয়নি, তাই তারা মন্ত্রিসভায় নেই।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার যে প্রবণতা তা নতুন নয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই সেই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। গোধরা কাণ্ডের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। ভারেতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীও তা বুঝতেন। তিনিও জানতেন যে, মুসলিমদের আস্থা অর্জন করা বিজেপির জন্য কঠিন। তবু বাজপেয়ীর সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি ছিল। মোখতার আব্বাস নকভিকে ১৯৯৮ সালে মন্ত্রী করেছিলেন বাজপেয়ী। তিনি প্রথমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
বাজপেয়ী যুগের অবসানের পর বিজেপির রাজনীতিতে লালকৃষ্ণ আদভানি বিজেপির সভাপতি হন। তার লক্ষ্য ছিল ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে ওঠা। সম্ভবত ভারতে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ‘কায়েদ এ আজম’ মহম্মদ আলি জিন্নাহর প্রশংসা করেছিলেন আদভানি। তিনি বলেছিলেন, জিন্নাহ ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন। সেই মন্তব্যের জন্য দলের সভাপতির পদ ছাড়তে হয় আদভানিকে।
তবু প্রথাগত ভাবে হলেও বিজেপিতে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। ২০১৪ সালেও মোদি মন্ত্রিসভায় দুইজন সংখ্যালঘু ছিল। নাজমা হেপতুল্লাহ ও মোখতার আব্বাস নাকভি। কিন্তু মোদির দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে মন্ত্রিসভায় আর ঠাঁই মেলেনি সংখ্যালঘু প্রতিনিধিদের। এবারও পুনরানৃত্তি ঘটাল মোদি
১৪০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। দেশটির হিন্দু জনসংখ্যার তুলনায় তা অনেক কম হলেও সংখ্যাটি অল্প নয়! পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাই ২০ কোটির কম। এত বিপুল সংখ্যক মানুষের কোনো প্রতিনিধি এবারও কেন্দ্রীয় সরকারে না থাকায় ভারত ছাড়িয়ে এই আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্বে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
উত্তরায় ব্যবসায়ীর অফিসে ঢুকে লুটপাটের অভিযোগ
দুপুর থেকে গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
আশুলিয়ায় ৪৬ লাশ পোড়ানো : ট্রাইব্যুনালে পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল
রিজওয়ান রহমান, ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসি-এর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত
৫ আগস্টের আগে-পরে কোনো হত্যাকাণ্ডের দায়মুক্তির সুযোগ নেই : ভলকার তুর্ক
ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত স্পেন, মৃত্যু বেড়ে ৯৫
বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন নাহিয়ান রহমান রোচি
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে রেকর্ড ১৫৭৪ টাকা
বিক্রয় আয়োজিত ‘প্রাইম ব্যাংক প্রপার্টি ফেয়ার ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই প্রপার্টি গাইড’ শুরু
১১ বলে ৪ উইকেট নেই!
দেশে এলো চীনের আইমা ব্র্যান্ডের মোটরবাইক, চলবে একবার চার্জে সারাদিন
শিল্পকলার জমকালো আয়োজনে আগামীকাল থেকে ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে যাত্রাপালা
পাপনসহ বিসিবির ১১ পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল
বাসচাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত, বাসে আগুন-অবরোধ
ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন কং-রে,ভয়াবহ তাণ্ডবের আভাস
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-স্থাপনার নাম থেকে মুছে দেয়া ইসলামি শব্দ প্রতিস্থাপনের দাবিতে সোচ্চার নেটিজেনরা
ঢাকার আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ‘মাস্টারমাইন্ড’ ওসি সায়েদ গ্রেফতার
চট্টগ্রামে ধর্মঘট প্রত্যাহার শ্রমিকদের, পণ্য পরিবহন শুরু
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় মোজাম্বিকে নিহত ১০
বর্জ্য অপসারণের সময় বিস্ফোরণ, আহতদের দেখতে হাসপাতালে উপদেষ্টা