জাপানি জাহাজকে ‘অবৈধভাবে’ বিতর্কিত জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগ করেছে চীন

অনলাইন ডেস্ক

১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম

পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চীন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বহুদিনের ঘটনা।২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে উওৎসুরি দ্বীপের কাছে একটি চীনা উপকূলরক্ষী জাহাজ এবং জাপানি উপকূলরক্ষী জাহাজ দেখা যায়। এই দ্বীপটি জাপানে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ এবং চীনে দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ নামে পরিচিত বিতর্কিত দ্বীপগুলোর অংশ।

চীনের প্রতিক্রিয়া
চীনের উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে যে, ১৫-১৬(অক্টোবর)২০২৪ তারিখে জাপানের একটি মাছ ধরার নৌকা চীনের দাবিকৃত দ্বীপপুঞ্জের চারপাশে জলসীমায় "অবৈধভাবে" প্রবেশ করেছে।চীনা উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন যথাযথ আইনি পদক্ষেপ তারা নিয়েছে, নৌকাটিকে সতর্ক করে সেখান থেকে চলে যেতে বলেছে।তারা জাপানকে তাদের জলসীমায় "অবৈধ কর্মকাণ্ড" বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।

জাপানের অবস্থান
জাপান এই ঘটনায় এখনও কোনো মন্তব্য করেনি, তবে তারা চীনের দাবীকৃত দ্বীপগুলো দাবী মানে না।সেনকাকু/দিয়াওয়ু দ্বীপগুলি ছোট এবং জনবসতিহীন, তবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বীপের আশেপাশের সমুদ্রতলে মূল্যবান তেল ও গ্যাসের মজুত থাকতে পারে।এই কারণে, জাপান ও চীন উভয়েই দ্বীপগুলোতে তাদের নিয়ন্ত্রণ চায়।

চলমান বিরোধ
চীন ও জাপানের মধ্যে এমন সংঘর্ষ নতুন নয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, চীন জাপানি সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে,যদি জাপানি সংসদ সদস্যরা দ্বীপগুলির চারপাশ পর্যবেক্ষণ ড্রোন ব্যবহার করে তাহলে তা চীন "উস্কানি" হিসেবে নিয়েছিল। ২০২৪ সালের জুন মাসে, জাপান চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় যে চীনা জাহাজ যেগুলোতে অস্ত্র বহন করছিল যা জাপানের দাবি করা জলসীমায় প্রবেশ করেছিল।

চীন দক্ষিণ চীন সাগরে অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গেও বিতর্কে জড়িত।গত দেড় বছরে ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। ২০১৬ সালে, হেগের স্থায়ী সালিশি আদালত রায় দেয় যে, দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশ অংশের উপর চীনের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

জাপানের উদ্বেগ
জাপান চীনের সাম্প্রতিক সামরিক কার্যকলাপ বাড়ার বিষয়েও উদ্বিগ্ন বিশেষ করে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনার ব্যাপারে।তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপ, কিন্ত চীন নিজের অংশ বলে দাবি করে আসছে । সূত্র : আল জাজিরা

বিভাগ : আন্তর্জাতিক