আজারবাইজানে জলবায়ু সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশেগুলোর জন্য তহবিল বৃদ্ধির দাবি
১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আজারবাইজানে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের ২৯তম জলবায়ু সম্মেলন (COP29) যেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি কেন্দ্র করে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।প্রতি বছর এই সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ অংশগ্রহণ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
এবারের সম্মেলনটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে শুরু হয়েছে।দুই সপ্তাহব্যাপী এই ফোরামে,অংশগ্রহণকারী দেশগুলো একটি নতুন বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য নির্ধারণে মনোযোগ দিচ্ছে।বিশ্বের অনেক অঞ্চলে ঘটে যাওয়া নানা জলবায়ু দুর্যোগের পর,উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের জন্য প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি জোরালো করেছে।
তাছাড়া, সম্মেলনের উপর যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাবও ছায়া ফেলেছে,কারণ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কার্বন নির্গমন হ্রাসের প্রতিশ্রুতিতে পরিবর্তন আনার হুমকি দিয়েছেন।
জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক প্রধান সাইমন স্টিয়েল তার উদ্বোধনী ভাষণে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন,যাতে তারা প্রমাণ করেন যে বৈশ্বিক সহযোগিতা এখনও কার্যকর রয়েছে।তিনি বলেন, "বাকুতে আমাদের একটি নতুন বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।
যদি বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দেশ দ্রুত কার্বন নির্গমন কমাতে সক্ষম না হয়, তবে সবাইকে এর জন্য বড় মূল্য দিতে হবে।"আলোচনার শুরুতেই বক্তব্যে আজারবাইজানের পরিবেশ মন্ত্রী এবং জলবায়ু সম্মেলন (COP29)-এর সভাপতি মুখতার বাবায়েভ বলেছেন, "জলবায়ু পরিবর্তন ইতিমধ্যে আমাদের উপর প্রভাব ফেলছে।" তিনি জানান, COP29 একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়,যেখানে সবাই মিলে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করতে সক্ষম হব।
বিগত বছরগুলোর গরম আবহাওয়ার রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার ফলে ২০২৪-এর বার্তাও সম্মেলনটির গুরুত্ব বাড়িয়েছে।আল-জাজিরার সাথে একটি সাক্ষাৎকারে,জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি দামিলোলা ওগুনবিই বলেন,তার অন্যতম প্রত্যাশা হলো জলবায়ু অর্থায়নের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করা।বর্তমানে শুধুমাত্র ১৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি বিনিয়োগ গ্লোবাল সাউথে যায়।
প্রসঙ্গত,ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন আলোচনার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে,কারণ তার প্রশাসন প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থান ঘটানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে।এতে অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মানসিকতা কমে যেতে পারে।
আয়োজক দেশ হিসেবে আজারবাইজানের সামনে বড় দায়িত্ব হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে একটি নতুন বৈশ্বিক অর্থায়ন লক্ষ্যে সম্মত করা।উন্নয়নশীল দেশগুলো ও চীনের মতো দেশগুলো এই বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পদক্ষেপ তাদের দৃঢ়তাকে নাড়া দিতে পারবে না বলে তারা মনে করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।জলবায়ু সম্মেলন (COP29)-এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অর্থায়ন কাঠামো প্রণয়ন করে সবার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া এখন সময়ের দাবি। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আগামীকাল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস
ব্যারিস্টার খোকনসহ ৬৬ জন আইনজীবীকে অব্যাহতি
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা আইসিটি মামলা বাতিল
একজন বিকৃত রুচির সমাজবিধ্বংসীকে উপদেষ্টা হিসেবে জনগণ দেখতে চায় না
শ্যামনগরে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে অফিসে ঢুকে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা
ইসলামি দেশগুলোতে ইরানের রপ্তানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে
শুধু মুসলিম যাত্রীদের ‘হালাল ফুড’ দেবে এয়ার ইন্ডিয়া
মানদণ্ড রেখে কাজ করলে সাধারণ প্রবাসীদের জন্য সুফল বয়ে আনবে
বাঘায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক
ন্যায়পরায়ণ, আল্লাহভীরু শাসক ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না -কক্সবাজারে বিশাল সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই
ময়মনসিংহে শহীদ সাগরের কবর জিয়ারত করলেন নতুন বিভাগীয় কমিশনার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ময়মনসিংহে ৩ মাস পর আন্দোলনে নিহত দুজনের মরদেহ উত্তোলন
গাজীপুরে শ্রমিক ছাটায়ের প্রতিবাদে কর্মবিরতিঃ পুলিশের উপর হামলা
ময়মনসিংহে কৃষক হত্যা মামলায় মা ও ছেলের যাবজ্জীবন
মওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে আলোচনা সভায় দুই উপদেষ্টা
যশোরে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আর্মি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
জো নেশানহুডের ডাক দিয়ে বিতর্কে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী
দুই যুগ পর মুক্তি পেতে যাচ্ছে কালজয়ী সিনেমা "গ্লাডিয়েটরের দ্বিতীয় সিক্যুয়েল"
আলিয়া মাঠে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনে বক্তারা "যারা হজরত মুহাম্মদ সা. কে সর্বশেষ নবী মানেন না তারা কাফের"