পপ গান ‘এপিটি’র কারণে দ.কোরিয়ায় সুনেউং পরিক্ষার্থীদের উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সুনেউং (Suneung) শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। এটি একটি আট ঘণ্টার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা।যা বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা হিসেবে পরিচিত।প্রতি বছর এই পরীক্ষার সময়, পুরো দক্ষিণ কোরিয়া এক ধরনের নীরবতার মধ্যে চলে যায়, যাতে পরীক্ষার্থীদের মনোযোগ বিনষ্ট না হয়।এই বছর, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নতুন ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।এবং তা তাদের জন্য বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সুনেউং হল এমন একটি পরীক্ষা, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।৫ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী দেশব্যাপী অংশ নেয় এই পরীক্ষায়।এই বছরের বিশেষ ঘটনা হলো, পরীক্ষার্থীরা এক গানের কারণে উদ্বিগ্ন, যেটি হল "এপিটি" (APT), একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় গান, যা ব্ল্যাকপিঙ্কের রোজে এবং ব্রুনো মার্সের কণ্ঠে তৈরি।

গানের মিষ্টি সুর এবং আকর্ষনীয়( catchy) রিদম তাদের মাথায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছে, যার ফলে তারা পরীক্ষার সময় মনোযোগ হারানোর চিন্তায় আছেন।এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমি চিন্তা করছি যে গানটি পরীক্ষার সময় আমার মাথায় বাজতে থাকবে।"

সুনেউং পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের বিভ্রান্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তাই পরীক্ষার সময় নীরবতা বজায় রাখতে বহু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।যেমন, সরকারি নির্দেশে প্লেনের উড়ান বন্ধ রাখা হয় এবং বাস ও ট্যাক্সি চালকদের হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।সুনেউং পরীক্ষা যেন নির্বিঘ্নে চলে, তা নিশ্চিত করতে ১০,০০০ এরও বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

তারা জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেন।এছাড়া দোকান এবং শেয়ারবাজার দেরিতে খোলা হয়, যাতে রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহন না থাকে।পরিবহন সময়সূচি সামঞ্জস্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ট্রেন প্রস্তুত রাখা হয়।

এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ডিসেম্বরে কিছু শিক্ষার্থী সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, কারণ এক ভুলের কারণে তাদের পরীক্ষার সময় ৯০ সেকেন্ড কমে গিয়েছিল। তবে এ বছর, সুনেউং পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পুনরায় অংশ নিচ্ছেন।

সুনেউং পরীক্ষা শুধুমাত্র একটি একাডেমিক পরীক্ষা নয়, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক কাঠামো এবং শিক্ষাব্যবস্থায় এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে। তথ্যসূত্র : বিবিসি

বিভাগ : আন্তর্জাতিক