প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক দিলো বাংলাদেশ
০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ এএম | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৫ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার নদনদী ও সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে অনুষ্ঠিত 'প্লাস্টিক-ফ্রি রিভার্স অ্যান্ড সীজ: এ ভিশন ফর সাউথ এশিয়া রিজিওনাল রাউন্ডটেববিল' এর “পলিসি অ্যান্ড রেগুলেটরি চ্যালেঞ্জেস অব ম্যানেজিং প্লাস্টিক ওয়েস্ট” শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এ আহ্বান জানান।
ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, “দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নদী ব্যবস্থার আবাসস্থল। এখানকার জলাধারে প্লাস্টিক সীমান্ত পেরিয়ে এসে জমা হয় এবং বাস্তুতন্ত্র ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে।” তিনি বলেন, “এই সমস্যার সমাধানে দরকার সমন্বিত আঞ্চলিক কৌশল—যেখানে সহযোগিতা, উদ্ভাবন ও টেকসই অর্থায়ন থাকবে।”
পরিবেশ সচিব বলেন, প্লাস্টিক দূষণ সমস্যা মোকাবিলায় তিনটি প্রধান বাধা রয়েছে— অপ্রতুল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, যেমন উন্মুক্তভাবে ফেলা ও পোড়ানো; দুর্বল আইন বাস্তবায়ন; তথ্য বিনিময় ও যৌথ পরিবীক্ষণে আঞ্চলিক সহযোগিতার ঘাটতি। তিনি একটি দক্ষিণ এশীয় বহু খাতভিত্তিক প্লাস্টিক কর্মপরিকল্পনা গঠনের প্রস্তাব দেন। এই পরিকল্পনায় থাকবে—বৃত্তাকার অর্থনীতির জন্য সমন্বিত নীতি, প্লাস্টিক উৎপাদন হ্রাসে অভিন্ন মানদণ্ড এবং গ্লোবাল প্লাস্টিকস চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতি। তিনি আঞ্চলিকভাবে বর্জ্য সংগ্রহ, আলাদা করা ও প্রক্রিয়াকরণে যৌথ উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিকর প্লাস্টিক ধাপে ধাপে বন্ধ করার পাশাপাশি নিরাপদ ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিকল্প ব্যবহারের আহ্বান জানান।
তিনি আঞ্চলিক প্লাস্টিক ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, হটস্পট পরিষ্কারের কর্মসূচি ও আইনের কঠোর প্রয়োগের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “আমাদের অঞ্চল উপযোগী গবেষণায় বিনিয়োগ করতে হবে। জনসম্পৃক্ততা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডিজিটাল পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাও দরকার।” তিনি এক্সটেন্ডেড প্রোডিউসার রেস্পন্সিবিলিটি (ইপিআর) মডেলের ওপর জোর দেন যাতে শিল্পকারখানাগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আর্থিকভাবে অংশগ্রহণ করে।পরিশেষে, তিনি বলেন, “আমাদের আলাদা চেষ্টা যথেষ্ট নয়। এখনই সময় সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার। আমরা সাহসী সিদ্ধান্ত নেব, প্লাস্টিকমুক্ত দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।”
ড. ফারহিনা আহমদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন—পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শামীমা বেগম এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম। এই গোলটেবিল বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধি, নীতিনির্ধারক ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা অংশ নিচ্ছেন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ডিএসই’র লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

সড়ক করতে গিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম করা যাবে না

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক’

এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির নিরপেক্ষ তদন্ত প্রশংসায় পঞ্চমূখ

নিউইয়র্ক ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন

নষ্ট হয়েছে অনেক নথি

এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ

সফররত ওমানের সুলতানের সঙ্গে বৈঠক পুতিনের

প্রদীপের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স শুনানি আজ

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল আজ

ভারতে সেনা অফিসারকে পেটানোর ঘটনায় নতুন মোড়, উত্তেজনা বাড়ছে

৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা আয়ের অর্ধেকই মুনাফা!

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

হাসিনার ডিগ্রি বাতিল করতে পর্যালোচনা করছে অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটি

আ. লীগের দোসররা ড. ইউনূসের চারপাশে সক্রিয় : জয়নুল আবদিন ফারুক

হত্যা মামলায় গাজীপুর আদালতে আ.লীগের শীর্ষ ৬ নেতা

নারী কমিশনের প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ ঢাকায়

মাতারবাড়ি বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

মে দিবসে ঢাকায় বড় সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

সাবেক এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা