ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ৯ মাসে ৩০ হাজারের বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে
০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম

গত ৯ মাসে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। গত ৪ এপ্রিল, ১৫৪ জন অভিবাসী ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছান, এবং এ নিয়ে ২০২৫ সালের শুরু থেকে ৬ হাজার ৭৯৬ জন অভিবাসী দেশটিতে আসেন। সরকারের তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ বছর আগের বছরের তুলনায় অভিবাসীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ বৃদ্ধির পেছনে যে মূল কারণগুলো রয়েছে, তা নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকার এবং কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।
কিয়ার স্টারমারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণই সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অবৈধ অভিবাসীদের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত, গত বছরের তুলনায় অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাজ্য সরকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অতীতে পশ্চিম বলকান রুট ব্যবহার করে ২২ হাজার অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন, যারা এখন ইংলিশ চ্যানেল পারাপারের চেষ্টা করছেন।
তবে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য সরকারের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে সরকার নানা দেশ, বিশেষত সার্বিয়া এবং কসোভো সরকারের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করছে। এসব দেশগুলোর সাথে তথ্য আদান-প্রদান এবং অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধ মোকাবেলায় চুক্তি সই করা হয়েছে। এই চুক্তিগুলোর মাধ্যমে ব্রিটেন ও সার্বিয়া যৌথভাবে মানবপাচারকারী চক্রগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। এর পাশাপাশি, মেটা, টিকটক, এক্স-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর সাথে কাজ করে অবৈধ অভিবাসন সংক্রান্ত প্রচারণাগুলো বন্ধ করা হবে।
যুক্তরাজ্য সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলকান সফরের সময় উল্লেখ করেছেন যে, পশ্চিম বলকান দেশগুলোতে অপরাধী চক্রগুলি অভিবাসনের অনিয়মিত প্রবাহ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। এটি ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ল্যামি জানিয়েছেন যে, যুক্তরাজ্য এই অঞ্চলের উন্নতির জন্য সবার সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন যে, আগের সরকারের মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে। তবে তার সরকার এখন সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া এবং অভিবাসীদের শোষণকারী চক্রগুলোকে ভেঙে ফেলা। তিনি বলেন, "আমরা কখনও থামব না যতক্ষণ না মানবপাচারকারী চক্রগুলোর কার্যক্রম বন্ধ না হয়।"
এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে, অভিবাসীদের নিরাপদে পারাপারের জন্য সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, এবং অভিবাসী শোষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। সরকার বিশেষ করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে। সেসঙ্গে, মিথ্যা আশ্রয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিবাসীদের নৌকায় তোলার মতো অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরও কঠিন শাস্তির প্রস্তাব রয়েছে।
যুক্তরাজ্য সরকার মনে করছে যে, মানবপাচারকারী চক্রগুলো শুধু অভিবাসীদের জীবনই বিপন্ন করছে না, বরং পুরো দেশের নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সরকারের লক্ষ্য, এই চক্রগুলো ভেঙে সুষ্ঠু অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তথ্যসূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ডিএসই’র লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

সড়ক করতে গিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম করা যাবে না

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করছে তুরস্ক’

এনসিপির শৃঙ্খলা কমিটির নিরপেক্ষ তদন্ত প্রশংসায় পঞ্চমূখ

নিউইয়র্ক ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’র নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠন

নষ্ট হয়েছে অনেক নথি

এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮% হতে পারে: আইএমএফ

সফররত ওমানের সুলতানের সঙ্গে বৈঠক পুতিনের

প্রদীপের বিরুদ্ধে ডেথ রেফারেন্স শুনানি আজ

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল আজ

ভারতে সেনা অফিসারকে পেটানোর ঘটনায় নতুন মোড়, উত্তেজনা বাড়ছে

৩ মাসে আয় ৯৯ কোটি টাকা আয়ের অর্ধেকই মুনাফা!

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

হাসিনার ডিগ্রি বাতিল করতে পর্যালোচনা করছে অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটি

আ. লীগের দোসররা ড. ইউনূসের চারপাশে সক্রিয় : জয়নুল আবদিন ফারুক

হত্যা মামলায় গাজীপুর আদালতে আ.লীগের শীর্ষ ৬ নেতা

নারী কমিশনের প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ ঢাকায়

মাতারবাড়ি বন্দর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

মে দিবসে ঢাকায় বড় সমাবেশের ঘোষণা বিএনপির

সাবেক এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা