ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার পছন্দ নিয়ে বিতর্ক ও অভিযোগ!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় মনোনীত কয়েকজনকে ঘিরে বেশ কিছু বিতর্ক ও অভিযোগ উঠেছে।ট্রাম্পের প্রচারণা দল এই প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন।যদিও সিনেট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে,তার প্রার্থীদের চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে কঠোর দ্বিপক্ষীয় শুনানি হবে।এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীতদের নিয়ে বড় ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে।
পেন্টাগন প্রধান পিট হেগসেথ:
হেগসেথের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে।যদিও তাকে গ্রেফতার করা হয়নি এবং তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।এছাড়া, তার হাতে খোদাই করা (Deus Vult) ট্যাটুটি চরমপন্থী গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত বলে সন্দেহ করা হয়েছে।তবে, হেগসেথ বলেছেন এটি কেবল একটি খ্রিস্টান নীতিবাক্য।
অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাট গেটজ:
গেটজের বিরুদ্ধে কংগ্রেসম্যান থাকাকালীন সময়ে যৌন অসদাচরণ,মাদক সেবন এবং প্রচার তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।যদিও ন্যায়বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেনি, কিন্তু এক সাক্ষী দাবি করেছেন গেটজ ২০১৭ সালে এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন। এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র:
কেনেডি ভ্যাকসিনবিরোধী বক্তব্যের জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।তার মনোনয়নে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা সংস্থাগুলোর শেয়ারদর নিম্নমুখী হয়েছে।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তাকে "ভুল পছন্দ" বলে অভিহিত করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য এই বিতর্কিত মনোনয়ন নিয়ে এখনো সরাসরি মন্তব্য করেননি।তবে, তার মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য এখনো এফবিআই পরিচালক এবং ট্রেজারি সেক্রেটারি সহ কয়েকটি পদ পূরণ বাকি।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভা গঠনের এই প্রক্রিয়া তার প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এই মনোনয়ন এবং এর ঘিরে থাকা বিতর্ক আগামী সময়ে বেশ প্রভাব ফেলতে পারে। তথ্যসূত্র : বিবিসি