ঈমানের গুণাবলি ও উপকরণ-২
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
মুমিন ওই ব্যক্তি, যাকে মানুষ বিশ্বাসী বলে মনে করে, মুসলিম ওই ব্যক্তি, যার রসনা ও হাত থেকে মানুষ নিরাপদ থাকে। মুজাহিদ ওই ব্যক্তি, যে পাপ পরিহার করেছে, ওই সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার প্রাণ নিহিত। কেউ ওই সময় পর্যন্ত বেহেশতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার প্রতিবেশী তার ক্রোধ হতে নিরাপদ না হবে। যে ব্যক্তি ঈমানের অধিকারী, তার উচিত নিজ মেহমানকে সম্মান করা। বেঈমান মুনাফিকের পরিচিতি চিহ্ন হচ্ছে তিনটি- (ক) কথা বললে মিথ্যা বলে। (খ) অঙ্গীকার করলে তা ভঙ্গ করে এবং (গ) তার কাছে আমানত রাখলে সে তাতে খেয়ানত করে।
উপরোল্লিখিত হাদিসগুলোর প্রত্যেকটি সম্পর্কে চিন্তা করা দরকার। এতে সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে, ইসলাম এবং ঈমানের নৈতিক চিন্তাধারা কতখানি উন্নত ও মার্জিত? প্রকৃতপক্ষে উত্তম নৈতিক গুণাবলির পরিপূর্ণ বিকাশ আমরা দেখতে পাই আল্লাহপাকের গুণাবলির মাঝে। এই গুণাবলি যখন মানব চরিত্রে পরিস্ফুট হয় তখন এর একটি প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া মানব জীবনকে করে তোলে পবিত্র ও উন্নত।
অসীম মানব জীবনে তার পরিসর যদিও সীমিত কিন্তু তবু এর অভিব্যক্তি ও বিস্তৃতি সুদূর প্রসারী। হাদিস শরীফে আছে, উত্তম চরিত্র আল্লাহপাকের শ্রেষ্ঠ নৈতিক নিদর্শন। আমরা ওইসব নৈতিক কর্মকাণ্ডকে উত্তম বলব, যেগুলো আল্লাহর গুণাবলির ছায়াস্বরূপ এবং ওইসব আখলাককে মন্দ বলে অভিহিত করব, যা আল্লাহর গুণাবলির পরিপন্থী। তবে একথাও সত্যি যে, আল্লাহপাকের কোন কোন সুনির্দিষ্ট গুণ এমনও আছে, যা কেবল তাঁরই সাথে সম্পৃক্ত। যেগুলোর অস্তিত্ব অন্য কারো মাঝে কল্পনা করা যায় না।
যেমন তাঁর একক ও অদ্বিতীয় হওয়া, খালেক বা স্রষ্টা হওয়া। তাছাড়া তাঁর এমন সব মাহাত্ম্যপূর্ণ গুণাবলিও আছে, যা মাত্র তাঁর মাঝেই শোভনীয়। যেমন তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, অসীমত্ব ইত্যাদি। এই শ্রেণীর গুণাবলির ক্ষেত্রে বান্দার চরিত্রে যা বিকশিত হওয়া বাঞ্ছনীয় তাহল এর বিপরীত গুণগুলো সার্বিকভাবে ফুটে উঠা। যেমন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও অসীমত্বের বিপরীত বান্দার চরিত্রে বাস্তবায়িত হবে দৈন্যতা ও একান্ত বিনয়সুলভ আনুগত্য।
আল্লাহর সুমহান বুযর্গী ও মাহাত্ম্যের পরিবর্তে বান্দার মাঝে দেখা দেবে হীনতা ও মুখাপেক্ষীতা। মোটকথা ইসলাম মানুষের রূহানী ও আত্মিক পরিপূর্ণতার উপায় ও উপকরণ হিসেবে উত্তম নৈতিকতাকে স্থিরিকৃত করেছে। কেননা এগুলোর দ্বারা আল্লাহর গুণাবলির উজ্জ্বল নূর বা আলো অর্জন করা যায়। আমরা সে সীমারেখা পর্যন্ত এই ফয়েজ ও বরকত লাভে উন্নতি করব, ঠিক ততখানি আত্মিক উন্নতির ধারা ও আমাদের মাঝে ফুটতে থাকবে।
আর এটাই হচ্ছে আমাদের আত্মিক জীবনের পরিভ্রমণের উপকরণ। আমরা তা অর্জনের ক্ষেত্রে যতটুকু উন্নতি ও অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছি অথবা ফয়েজ ও বরকত লাভ করতে পেরেছি অনুরূপভাবে আমাদের রূহানী উন্নতিও পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হতে থাকবে। রূহানী পরিভ্রমণের জন্য এর উন্নততর ব্যবস্থা কল্পনা করা যায় না।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত
কুরস্ক অঞ্চলের ৪০ ভাগ খোয়ানোর স্বীকারোক্তি ইউক্রেনের
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ চীনের সাথে কাজ করতে আগ্রহী: বাণিজ্য উপদেষ্টা
হাজীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন
শরীয়তপুরে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ কর্মী সভা
মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড নিহত
পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
১৫ দিন রিমান্ড শেষে কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক
লক্ষ্মীপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৫০ জন
নির্বাচিত সরকারই দেশকে পুনর্গঠন করতে পারে : তারেক রহমান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটিতে অচেনা ৭ জন
মৌলভীবাজারে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলা শুরু
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন
ব্রহ্মপুত্রে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু ব্যবসা
বাঘায় কৃষি শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা
কেশবপুরে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ
হামলার শিকার হয়েও মুখ খুলতে পারছে না বোয়ালমারীর বহু পরিবার
ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি
বিপিএলের প্রথম দিনই মাঠে নামছে বসুন্ধরা-মোহামেডান
সাগরে মিলছে না আশানুরূপ ইলিশ হতাশায় মীরসরাইয়ের জেলেরা