রাসূলুল্লাহ (সা.) নৈতিকতার মহান শিক্ষক-১
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
এই দুনিয়ায় নৈতিকতার বড় শিক্ষক পয়দা হয়েছেন, যাদের শিক্ষায়তনে এসে বড় বড় জাতিসমূহ আদব বা শিষ্টাচারের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়েছে এবং আদম ও আখলাকের ওই সবক শিক্ষা করেছে যা হাজার হাজার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। সত্য কথা হলো এই যে, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই যতটুকু উচ্চ চরিত্রের কোন নমুনা পাওয়া যাবে তা তাদেরই শিক্ষা গ্রন্থের একটি পাতা বিশেষ। কিন্তু এক্ষেত্রে নিরীক্ষাধর্মী দৃষ্টি দ্বারা এ প্রশ্ন অবশ্যই দেখা দিতে পারে যে, এই নৈতিকতা শিক্ষা দানকারী ওস্তাদগণের মাঝে পরস্পর সম্পর্ক কি? এবং তাদের নৈতিক শিক্ষাক্রমের তারতীর কি কি বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত? এবং তাদের সারা বিশ্বের সর্বশেষ শিক্ষক রাসূলেপাক (সা.)-এর কি কি বৈশিষ্ট্য গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদার অধিকারী?
এ পর্যায়ে মুখ্য উদ্দেশ্যকে খোলাসা করে বলার প্রয়োজন আছে। কারণ লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, রাসূলেপাক (সা.)-এর পূর্ববর্তী নৈতিক শিক্ষকদের দুটি শ্রেণি রয়েছে। তাদের একটি শ্রেণি নিজেদের শিক্ষার বুনিয়াদ পরজগতের ধর্মকর্মের উপর প্রতিষ্ঠা করেছে। যেমন- সাধারণভাবে নবী-রাসূলগণ ও কোন কোন ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাগণ পথ বেছে নিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় শ্রেণি যারা নিজেদের দর্শন, বিজ্ঞান এবং প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার উপর শিক্ষার ইমারত দাঁড় করিয়েছিলেন। আমরা এই শ্রেণিদ্বয়ের প্রথমটিকে আম্বিয়া এবং ধর্মীয় সংস্কারক হিসেবে এবং দ্বিতীয়টিকে হুকামা বা দার্শনিক হিসেবে অবিহিত করতে পারি।
এই উভয় শ্রেণিই নিজ নিজ শিক্ষা ও শিক্ষাদান পদ্ধতির পৃথক পৃথক তরীকা গ্রহণ করেছিলেন। পয়গাম্বরগণ এবং ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাগণ নিজেদের শিক্ষার উৎস আল্লাহর নির্দেশকে নির্ধারিত করেছিলেন। এই নির্দেশও ফরমানে ইলাহী ছাড়া তাদের শিক্ষা ও তালীমের দ্বিতীয় কোন বুনিয়াদ নেই। তাদের শিক্ষার মাঝে না কার্যকারণ সম্পর্কের সিলসিলা আছে, না নৈতিকতার সূক্ষ্ম রহস্যাবলির উদঘাটন আছে এবং না এই নির্দেশাবলি ও তালীমাতের নৈতিক উপযোগিতা ও উপকারিতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক হেকমতের বিশ্লেষণ আছে।
অপরদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির তালীম ও শিক্ষার মাঝে কার্যকারণ সম্পর্কের তথ্যানুসন্ধান জীবনধর্মী বৈশিষ্ট্যাবলির বিশ্লেষণ, নৈতিকতার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ ও ব্যবহারিক শক্তির সীমারেখা নির্দিষ্টকরণ সবকিছুই আছে। কিন্তু পর্যালোচনা ও অনুসন্ধিৎসার পূর্বে আমল বা ব্যবহারে দরজা ও মর্তবা শুধু রঙ্গিন প্রলেপ বিশেষ। আর এতে মর্যাদা যদি থেকেও থাকে তা সামগ্রিকভাবে নমুনাবিহীন ও বিস্বাদ ছাড়া কিছুই নয়। তবে এই দুটি লক্ষ্যমাত্রা অনুধাবন করতে হলে মনে রাখতে হবে যে, দুনিয়ার সর্বশেষ শিক্ষক রাসূলেপাক (সা.)-এর শিক্ষার মাঝে আল্লাহর নির্দেশাবলি এবং সূক্ষ্ম মননশীলতার প্রবাহ আছে। একই সাথে ফরমানে ইলাহী ও নৈতিকতার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ আছে। আরো আছে ঐশী নির্দেশ ও প্রাকৃতিক হুকুমের নির্যাস এবং কিতাব ও হিকমতের মধুর সংমিশ্রণ।
আম্বিয়া ও হুকামা বা দার্শনিকদের মাঝে যে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে তা এই যে, আম্বিয়াদের নৈতিক শিক্ষার সাথে সাথে তাঁদের পবিত্র জীবনাদর্শ, পরিচ্ছন্ন কর্মকাণ্ড এবং নির্মল প্রভাব ও প্রতিক্রিয়ার দিকটিও সমুজ্জ্বল থাকে। সেগুলোর ফয়েজ ও বরকত তাদের মুখ নিঃসৃত অমিয়বাণীর মাধ্যমে মঙ্গল ও কল্যাণের প্রস্রবণস্বরূপ বেরিয়ে আসে। এতে করে পবিত্রতাকামী তৃষিত অন্তরকে পরিতৃপ্ত ও অভিসিক্ত করে তোলে।
বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা
ফতুল্লায় হত্যা মামলার আসামি কেরানিগঞ্জে গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে বান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত
রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় পুলিশকে মারপিট, যুবক আটক
স্বাচিপ রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি ডা. জাহিদ, সম্পাদক ডা. অর্ণা জামান
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরীতে ইসলামী
খালেকুজ্জামানের বাড়ী সরকারিভাবে পুননির্মাণের দাবি - ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাবেক বিজেপি নেতা
সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: প্রেসিডেন্ট
বিক্ষোভ, গাড়ি ভাঙচুর, অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
কিরগিজস্তানে আহত বাংলাদেশি ছাত্রদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনুন
শিরোপার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা : শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে সিটি-আর্সেনাল
কোরবানির গোস্ত দিয়ে কোন অনুষ্ঠান করে টেবিল বসিয়ে টাকা বা উপহার নেওয়া প্রসঙ্গে।
মানিকগঞ্জ-ঢাকা রেললাইন প্রসঙ্গে
কমিউনিটি ক্লিনিক দাঁড়িয়ে আছে দোরগোড়ায়
ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বেপরোয়া লুটপাট
বেগম সুফিয়া কামাল এবং কবি ও সাহিত্য সমালোচক আবদুল কাদির নানাভাবে দেশের শিল্প-সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছেন : সেলিনা হোসেন
নগরমুখী জনস্রোত রোধ করতে হবে
২৪ ঘন্টা থেকে সাত দিনের মধ্যে মৃত বীমা দাবি পরিশোধ করবে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি