হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ লাইলাতুল কদর জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান

Daily Inqilab শামসুল ইসলাম

২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। ‘কদর’ শব্দের অর্থ হল মর্যাদা, সম্মান, ভাগ্য, পরিমাণ বা নির্ধারণ করা। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুমিনদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।’ (সহীহ মুসলিম)। আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন। রমজানের তৃতীয় জুমায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের তিলধরার ঠাঁই ছিল না। মসজিদে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় অনেক মুসল্লি রাস্তার ওপর জুমার নামাজ আদায় করেছেন। নিজের গুনাসমূহ মাফ এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মসজিদে মসজিদে মোনাজাতে মুসল্লিদের মাঝে কান্নাররোল পড়ে যায়। রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে জুমার নামাজে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষীত হয়। মহিলাদের পৃথক নামাজের স্থানেও তিলধরার ঠাঁই ছিল না।

 

গাজীপুরের টঙ্গীস্থ পূর্ব আরিচপুর সরকার বাড়ি ঈদগাহ্ মস্জিদুল আক্সার খতিব মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, রমজানের একটি রাতের ইবাদত এক হাজার মাস বা ৮৪ বছর ইবাদতের চেয়ে উত্তম। কোরআনের আল্লাহ ইরশাদ করেন আমি এ কোরআন অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি কি জানেন লাইলাতুল কদর কী ? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ (সূরা কদর ঃ আয়াত ১-৩) শবে কদরের প্রথম পরিচয় হচ্ছে তা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। লাইলাতুল অর্থ রাত বা রজনী আর কদর অর্থ সম্মানিত, মহিমান্বিত আবার কদর অর্থ তাকদির বা ভাগ্য। সুতরাং লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা ভাগ্য রজনী। (সূরা কদর) হযরত আবু হুরায়রা (রাদি.) বলেন, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে ইবাদত করবে তার অতীতের গুণাহ্ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারী শরীফ ঃ হাদিস ৩৪ ই.ফা,) ইমাম মালিক (রাদি.) তার সংকলিত হাদিস গ্রন্থ মুআত্তায়ে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) কে একবার পূর্ববর্তী উম্মতের বয়সের বিষয়টি অবিহিত করা হলো। প্রিয় নবীর উম্মতের বয়স তার কাছে খুব কম মনে হলো। অন্য নবীগণের উম্মতের হায়াত দীর্ঘ হওয়ায় তারা যে পরিমাণ নেকি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে আমার উম্মত তো তাদের সমান পারবেনা। আল্লাহ্ সুবাহানাহু তার হাবিবকে সূরা কদর নাযিলের মাধ্যমে শান্তনা দিয়ে বলেন আমি আপনার উম্মতকে লাইলাতুল কদর দান করেছি যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। (মুআত্তা ঃ- হাদিস ৬৯৮)।

মর্যাদা পূর্ণ রাতটি এ উম্মতের জন্য মহান রবের পক্ষ থেকে এক বিশেষ উপহার। আর এই মহান নিয়ামত পেতে হলে রমজানুল মোবারকের শেষ দশকের প্রিয় নবী (সা.) ইতেকাফের নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত গুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ কর। (সহিহ বুখারী হাদিস : ২০১৭) লাইলাতুল কদর কবে তা আমাদের সু-ষ্পষ্ট জানানো হয়নি। বলা হয়েছে রমজানের শেষ দশকের যে কোন বিজোড় রাতে হতে পারে। তাই রমজানের শেষ দশকের ইতেকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদায় কিফায়া। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ইতেকাফ ৯ দিনও হতে পারে। কোরআন মাজিদে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, আমি ইব্রাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকদের জন্য পবিত্র কর যারা এখানে তাওয়াফ করবে, ইতেকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা করবে। (সূরা বাকারা আয়াত ঃ ১২৫) এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, ইতেকাফের বিধান ইব্রাহিম (আঃ) ও ইসমাইল (আঃ) এর জামানায় ছিল।

খতিব বলেন, এক হাদিসে এসেছে, উমর ইবনুল খাত্তাব যাহেলী যুগে মসজিদে হারামে একরাত ইতেকাফের মান্নত করেছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পরে নবীজী (সা.) কে এ বিষয়ে জানালে তিনি তা পূরণ করার নির্দেশ দেন। (সহিহ বুখারী ঃ হাদিস ২০২৩) ইতেকাফ আরবী শব্দ যার অর্থ হলো অবস্থান করা, নিবেদিত হওয়া, নিরবিচ্ছিন্ন হওয়া ইত্যাদি। ইতেকাফ তিন প্রকার ঃ

 

ওয়াজিব ইতেকাফ : মান্নতকৃত ইতেকাফ এবং সুন্নত ইতেকাফ ভঙ্গ হয়ে গেলে তা কাযা আদায় করা। নফল ইতেকাফ : রমজানের শেষ দশকে ১০ (দশ) দিনের কম সময়ে অথবা বছরের যে কোন সময়ে যতক্ষণ ইচ্ছা ইতেকাফের নিয়তে মস্জিদে অবস্থান করা। সুন্নতে মুয়াক্কাদা : রমজান মাসের শেষ দশকে ইতেকাফ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তা ৯ (নয়) দিন ও হতে পারে। সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইতেকাফ করতে ২০ রোজার সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্বেই নিয়তের সাথে এমন মস্জিদে অবস্থান করবে যেখানে ৫ ওয়াক্ত জামাতের সাতে নামাজ আদায় হয়। পুরুষের জন্য ইতেকাফের সর্বোত্তম স্থান মস্জিদে হারাম এরপর মস্জিদে নববী তারপর মস্জিদুল আকসা এবং যে কোন জামে মস্জিদ ও পাঞ্জেগানা মস্জিদ। তবে নারীদের জন্য ইতেকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোন স্থান (রদ্দুল মুহতার- ২/৪৬৯)। আল্লাহ সবাইকে ইতেকাফ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

 

খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা টাউন জামে মসজিদের খুলনা আলীয়া মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ্ আজ জুমার খুৎবায় বলেন, মহানবী (সা.) সর্বশেষ নবী। একইভাবে মহানবী (সা.) এর উম্মত সর্বশেষ উম্মত। কিন্তু সব উম্মতের শেষে এসেও এই উম্মতে মুহাম্মদীকে এমন কিছু সম্মাননা আল্লাহ দিয়েছেন, যা অন্য কোনো উম্মতকে দেননি। আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সূরা আল ইমরানের ১১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানবজাতির জন্য।’ প্রচীনতম এই মসজিদের ইমাম ইতেকাফ সম্পর্কে বলেন, রমজানের শেষ দশক তথা ২০ রমজানের সূর্যাস্তের আগে থেকে ঈদের চাঁদ দেখা পর্যন্ত ইতেকাফ করতে হয়। ইতেকাফের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সবকিছু ছেড়ে আল্লাহর সন্নিধানে চলে যায়। কোনো মসজিদ মহল্লায় কয়েকজন বা কোনো একজন আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হবেন। আর কেউই আদায় না করলে সবাই দায়ী থাকবেন। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে যিনি আদায় করবেন, শুধু তিনিই সওয়াবের অধিকারী হবেন। আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারার ১২৫ আয়াতে বলেন, যখন আমি কাবা গৃহকে মানুষের জন্য সম্মিলনস্থল ও শান্তির আলয় করলাম, আর তোমরা ‘মাকামে ইবরাহিম’কে নামাজের জায়গা বানাও এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, ইতেকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। আর যতক্ষণ তোমরা ইতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করো, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সঙ্গে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেয়ো না।’

 

খতিব খুৎবায় শবে ক্বদর সম্পর্কে বলেন, ‘শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, ভাগ্য ইত্যাদি। তাই এই রাতটি মুসলমানদের জন্য ভাগ্য রজনী হিসেবে সম্মানিত। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তার মানে সম্মানিত রাত। লাইলাতুল কদরের রাত হচ্ছে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত। পবিত্র কোরআনুল কারিম নাযিলের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমাদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত। আমরা আজ যে আলোচনা করলাম আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলেই এই আলোচনার উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিন আজ জুমার বয়ানে বলেন, সময় দ্রæত চলে যাচ্ছে। যাকাত এখনো দেননি গরিব আত্মীয় স্বজনের মাঝে আগে যাকাতের অর্থ বন্টন করতে হবে। রমজানের শেষ সময়টুকু বেশি বেশি তওবাহ ইস্তেগফারের মাধ্যমে গুনা মাফ চাইতে হবে। যে রমজান পেয়েও গুনা মাফ করে জান্নাত লাভ করতে পারলো না সে ধ্বংস হোক। রাসূল (সা.) এ প্রসঙ্গে আমিন বলেছেন। খতিব বলেন, কোরআনে ইরশাদ হয়েছে কদরের রাত হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। যারা রমজানের শেষ দশ দিন মসজিদে সুন্নতে ইতেকাফ করবে লাইলাতুল কদর তাদের নছিফ হবে। শেষ দশ দিনে বেজোড় রাতে কদর তালাশ করতে হবে। রাসূল (সা.) কখনো ইতেকাফ ছাড়েননি। মা- বোনদের ঘরের নির্দিষ্ট রুহেই ইতেকাফ করতে হবে। আল্লাহ সবাইকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের তৌফিক দান করুন। আমিন।

মাগুরার নিজনান্দুয়ালী বায়তুন-নুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা ওসমান গণী সাঈফী আজ জুমার খুৎবার বয়ানে বলেন, পবিত্র মাহে রমজানকে রহমত, মাগফেরাত ও নাজাত তথা তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দেখতে দেখতে রহমত ও মাগফেরাতের দিনগুলো অতিবাহিত করে আমরা একদিন পরেই প্রবেশ করব নাজাতের দশকে। রমজানকে বিদায় দিতে গিয়ে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এর এমনটি হয়ে থাকতো যে, আধ্যাত্মিক বসন্ত নিজের চমক দেখিয়ে যখন বিদায় নেয়ার ক্ষণে পৌঁছে যেত তখন তিনি কোমর বেঁধে নিতেন আর রমজানের কল্যাণরাজিতে নিজ ডালি ভরে নিতে কোনো ত্রæটি করতেন না। মহানবী (সা.) এর শেষ দশকের ইবাদত সম্পর্কে হজরত আয়েশা সিদ্দিীকা (রাযি.) আনহা বর্ণনায় একটি হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, রমজানের শেষ দশকে প্রবেশ করলে তিনি কি ভাবে রাতগুলো ইবাদতের মাধ্যমে জীবিত করতেন এবং তার পরিবার পরিজনকেও জাগাতেন। (বুখারি)। রমজানের শেষ দশকে হুজুর (সা.) ই'তিকাফে বসতেন এবং লাইলাতুল ক্বদরের অন্বেষণে রাতগুলো ইবাদতের মাধ্যমে জাগিয়ে রাখতেন। ই'তিকাফের আভিধানিক অর্থ হলো কোন স্থানে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্থান করা। ইসলামী পরিভাষায় ‘ইবাদতের সংকল্প নিয়ে রোজা রেখে মসজিদে অবস্থান করার নাম ই'তিকাফ।’ (হেদায়া) খতিব বলেন, রমজান মাসের শেষ দশকে ই'তিকাফে বসা সুন্নতসম্মত ইবাদত। হজরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাযি.) আনহা থেকে বর্ণিত এক হাদিস থেকে জানা যায়, হুজুর (সা.) এর মৃত্যুর পর মহানবী (সা.) এর পবিত্র স্ত্রীগণও এ সুন্নত অনুসরণ করতেন। (মুসলিম)।

মহানবী (সা.) রমজান মাসে ১০ দিনই ই'তিকাফে বসতেন। উল্লেখ্য, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনের শেষ রমজানে ২০ দিন ই'তিকাফ করেছিলেন। ২০ রমজান ফজরের নামাজের পর ই'তিকাফ আরম্ভ করা উচিত। এজন্য ১৯ রমজান বাদ মাগরিব ই'তিকাফস্থলে এসে যাওয়াই অনেকে ভালো মনে করে থাকেন। ই'তিকাফে বসে মুত্তাকিরা একাগ্রচিত্তে ব্যক্তিগত দোয়া ছাড়াও সবার জন্য সময়োপযোগী দোয়া করেন। ই'তিকাফের জন্য উপযুক্ত স্থান হলো জামে মসজিদ। এ প্রসঙ্গে কোরআনে উল্লেখ রয়েছে- ‘তোমরা মসজিদে ই'তিকাফ কর।’ (সূরা বাকারা: আয়াত : ১৮৭)। আল্লাহ সবাইকে ইতিকাফের সুযোগ কাজে লাগানোর তৌফিক দান করুন। আমিন।

দিনাজপুর গোর এ শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন,
আজ পবিত্র মাহে রমজানের তৃতীয় জুম্মা। রহমতের দশ দিন শেষ হয়ে মাগফেরাত শুরু হয়েছে। আগামী জুমা জাহান্নাম থেকে মুক্তির ১০ দিন শুরু হয়ে যাবে। এই শেষ দশকেই রয়েছে মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর। এই সম্মানিত রাতের মাহাত্ম্য সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা সূরা কদর নাযিল করেছেন। আল্লাহ তায়ালা এই মহিমান্বিত রাত সারা বছরের সমস্ত রাত অপেক্ষা সর্বাধিক মর্যাদাশীল, বৈশিষ্ট্যমন্ডিত, ও মহিমান্বিত বলে এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল কদর। যে ব্যক্তি এই রাত জাগরণ করে ইবাদত বন্দেগি কান্নাকাটি তওবা ইস্তেগফারের মাধ্যমে কাটায়, সেও মর্যাদাশীল এ রাতে মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাযিল হয়েছে। এরাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এরাতে হযরত জিব্রাইল আলাইহিস সালাম ফেরেশতাদের দল নিয়ে জমিনে অবতরণ করেন। রাসূল (সা.) বলেন তোমরা রমজানের শেষ দশকে বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ কর। আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা (রাযি.) বলেন হে আল্লাহর রাসূল আমরা যদি লাইলাতুল কদর পাই, তাহলে কি করব ? উত্তরে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেন তোমরা বলবে। হে আল্লাহ তুমি পরম ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ করো। কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে পূণ্যের আশায় ইবাদত করে, তার পূর্বের কৃত সমস্ত পাপ মাফ করে দেওয়া হয়। এহেন সম্মানিত মহিমান্বিত বরকতময় রাত পাওয়ার জন্য প্রত্যেক মুসলমানেরই প্রবল চেষ্টা করা উচিত। আর এর সর্বোত্তম পন্থা হলো শেষ দশকে ইতিকাফ করা। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন। যে ব্যক্তি রমজানের শেষ ১০ দিন ইতেকাফ করবে সে দুটি হজ ও দুটি ওমরা এর সওয়াব লাভ করবে এবং ৪০ দিন পর্যন্ত ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত পাহারাদারের সাওয়াব লাভ করবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে গুনাহ থেকে এভাবে পবিত্র করে দেন যেমন সত্য ভ‚মিষ্ঠ নবজাত শিশু। ইতেকাফ যেমন কোন ব্যক্তি কারো বাড়িতে অনশন করে তার দাবির জন্য। ঠিক আল্লাহর দরবারে মসজিদে এসে যাওয়া এবং আল্লাহর কাছে এই ফরিয়াদ করা আমি বাড়ি থেকে ক্ষমার আশায় তোমার দরবারে এসে গিয়েছি। ক্ষমাপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না। আল্লাহ সবাইকে ইতিকাফের সওয়াব নছিব করুন। আমিন।

 

ঢাকার ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ইতিকাফ : মহান আল্লাহ তায়ালা সাথে সম্পর্ক গড়ার একটি উত্তম উপায়। একজন মু’মিন বান্দা রমজানের শেষ দশদিন ইতিকাফ করে, এই দশদিন সে একেবারেই আল্লাহর খাস রহমাতে মধ্যে থাকে। সকল ধরনের পাপ থেকে মুক্ত থেকে, পার্থিব সকল ব্যস্ততা থেকে বিরত হয়ে একান্ত ভাবে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকেন। যার ফলে আল্লাহর সাথে তার সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরী হয়। দায়লামী শরীফে হযরত আয়শা (রাদি.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও সাওয়াবের আশায় ইতিকাফ করবে তার পূর্বের সকল গুনাহরাশি মাফ করা হবে। হযরত ইবনে আব্বাস (রাদি.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একদিন ইতিকাফ করবে জাহান্নাম তার থেকে তিন খন্দক দূরে যাবে। আর এক খন্দক সমান পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের দূরত্বের সমান। তাছাড়া ইতিকাফকারী শবে কদর থেকে মাহরূম হয়না। আল্লাহ তায়ালার সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাছাড়া বেশি বেশি দান করা দরকার। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাহ খুব বেশি দান করতেন। একান্ত ভাবে আল্লাহর দরবারে তাওবা করে নিজের গুনাহ-খতা মাফ চাইতে হবে। কেননা যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের গুনাহ-খতা মাফ করাতে পারল না যে, ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আল্লাহ সবাইকে রমজানের হক পুরোপুরি আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকার উত্তরা ১৪ নং সেক্টর বাইতুল মামুর মসজিদের খতিব মুফতি ওয়াহিদুল আলম আজ জুমার বয়ানে বলেন, রমজান মাস কোরআনের মাস, আত্মশুদ্ধির মাস, জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস ও আল্লাহর খাঁটি ওলী হওয়ার মাস। রমজানের শেষ দশক উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ সময়। বুখারী ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত আছে, হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেন যখন রমজানের শেষ দশক শুরু হতো, তখন রাসূল (সা.) রাতে জাগ্রত থাকতেন এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে জাগিয়ে দিতেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে লাইলাতুল কদর হাজার হাজার মাস ইবাদতের চাইতে শ্রেষ্ঠ। আর কদরের রাত শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে হয়।

 

বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে, নবী কারীম (সা.) রমজানের শেষ দশকে মৃত্যু পর্যন্ত ইতেকাফ করতেন। রমজানের শেষ দশকে সাদকাতুল ফিতর আদায় করতে হয়। উম্মতের গোনাহগারদের জন্য শেষ দশকে খালিস তওবা করা খুব বেশি জরুরি। কেননা নবী কারীম (সা.) এর ভাষ্যমতে রমজানের মধ্যে গুনাহ মাফ করাতে ব্যর্থ ব্যক্তির চেয়ে হতভাগা আর কেউ হতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে খাঁটি তওবা করার তৌফিক দিন। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নবী কারিম (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের মত রমজানের বাকি দিনগুলো অতিবাহিত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকার গাউছিয়া মার্কেট জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ইয়াহইয়া আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এর অর্থ "অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত। ‘কদর’ শব্দের অর্থ হল মর্যাদা, সম্মান, ভাগ্য, পরিমাণ বা নির্ধারণ করা। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ এই রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই একটি মাত্র রজনীর ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। প্রতিবছর মাহে রমজানে এই মহিমান্বিত রজনী লাইলাতুল কদর মুমিনদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবে কদর সন্ধান করো।’ (সহীহ মুসলিম)। এ রাতগুলো হলো ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯। আরবিতে দিনের আগে রাত গণনা করা হয়। অর্থাৎ ২০, ২২, ২৪, ২৬ ও ২৮ রমজান দিবাগত রাত্রসমূহ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাতে ইবাদত করবে; তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’ (সহীহ বুখারি)
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাযি.) রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব?’ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তুমি বলবে, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফা'ফু আন্নি।’ ‘হে আল্লাহ! আপনি অতিশয় ক্ষমাশীল, ক্ষমা করা পছন্দ করেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। (ইবনে মাজা) মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে লাইলাতুল কদর লাভ করে এ রাতে অধিক পরিমাণে ইবাদত করার তৌফিক দান করুন, আমিন।

রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর রহমতেয়া জামে মসজিদের খতিব মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন আজ জুমার বয়ানে বলেছেন, ১২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে ফজিলত পূর্ণ মাস হচ্ছে রমজান। আর রমজানের শেষ দশক আরো মর্যাদাপূর্ণ। কেননা শবে কদর শেষ দশকে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি বিশেষ দয়া করে লাইলাতুল কদর দিয়েছেন। যে রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমান অবস্থায় সাওয়াবের আশায় ইবাদত করে তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। কদর পাওয়ার সবচেয়ে উত্তম পন্থা হলো দশ দিন ইতেকাফ করা। প্রিয় নবী (সা.) মদিনায় আগমনের পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কখনো ইতেকাফ ত্যাগ করেননি। রাসূল (সা.) রমজানের শেষ দশ দিন এত অধিক পরিমাণ আমল করতেন যা বছরের অন্য সময় করতেন না। হযরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, রমজানের শেষ ১০ দিন রাসূল (সা.) অধিক আমল করার উদ্দেশ্যে লুঙ্গি ভালো করে বেঁধে নিতেন, রাত জাগতেন, আর ঘরবাসীদেরকেও জাগাতেন। তাই আমাদের উচিত কদরের রাতকে গনিমত মনে করে প্রতিটি মুহ‚র্ত জিকির, তেলাওয়াত ও ইবাদতে মগ্ন থাকা, দুনিয়ার অনর্থক কথা-কাজ থেকে বিরত থাকা, দান-সাদাকা করা, খাঁটি তওবা করে গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করা । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা অনেকেই রমজানের শেষ দিকে এসে কেনা-কাটা ও ঈদ আনন্দ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। গাফিলতি ও অলসতায় শেষ দশকের মহামূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের সকলকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের উদ্দেশ্যে ইতেকাফসহ বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করার তৌফিক দান করুন। আমিন।


বিভাগ : শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: সমালোচনার ঝড়

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: সমালোচনার ঝড়

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বনানী সেলস অফিস উদ্বোধন করলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বনানী সেলস অফিস উদ্বোধন করলেন সাদিয়া ইসলাম মৌ

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী ‘বিধ্বস্ত’ হেলিকপ্টারের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ হয়েছে

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী ‘বিধ্বস্ত’ হেলিকপ্টারের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ হয়েছে

'ভুয়া তথ্য' ছড়িয়ে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

'ভুয়া তথ্য' ছড়িয়ে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

এখনও নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এখনও নিখোঁজ ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনে নতুন রুট চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনগুলো

চীনে নতুন রুট চালু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইনগুলো

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা

বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা

কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সাত জনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সাত জনের মৃত্যুদণ্ড, সাতজনের যাবজ্জীবন

জাতীয় এসএমই মেলায় সোনালী ব্যাংকের অংশগ্রহণ

জাতীয় এসএমই মেলায় সোনালী ব্যাংকের অংশগ্রহণ

বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ

এখন প্রতি সপ্তাহে ২৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে

এখন প্রতি সপ্তাহে ২৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র কৃষি সহায়তা প্রকল্প

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি’র কৃষি সহায়তা প্রকল্প

কুমিল্লায় উপজেলা নির্বাচনে এমপির ভূমিকায় ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিতের আশঙ্কা

কুমিল্লায় উপজেলা নির্বাচনে এমপির ভূমিকায় ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিতের আশঙ্কা

শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন

শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন

মাঝে মাঝে তার নম্বর খোলা পাওয়া যাচ্ছে, মাঝে মাঝে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে : ডিবি প্রধান

মাঝে মাঝে তার নম্বর খোলা পাওয়া যাচ্ছে, মাঝে মাঝে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে : ডিবি প্রধান

এমপি আনোয়ারুল আজিমের ব্যবহৃত নম্বরটি খুলছেন আবার বন্ধ করছেন: ডিবি

এমপি আনোয়ারুল আজিমের ব্যবহৃত নম্বরটি খুলছেন আবার বন্ধ করছেন: ডিবি

লুটপাট করে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে আ'লীগ: প্রিন্স

লুটপাট করে গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে আ'লীগ: প্রিন্স

অ্যাকাডেমিক ব্যাংকিং সেবা ‘প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া’ চালু করলো প্রাইম ব্যাংক পিএলসি

অ্যাকাডেমিক ব্যাংকিং সেবা ‘প্রাইমঅ্যাকাডেমিয়া’ চালু করলো প্রাইম ব্যাংক পিএলসি

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুন সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএইর সভাপতি মামুন সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ