প্রশ্ন : মিথ্যা বলা কেমন পাপ? মিথ্যার জন্যে পরকালে কিরূপ শাস্তি হবে? কোনো লজ্জাজনক কথা যেমন, ধূমপান করা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে মিথ্যা বললে কি পাপ হবে?
০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। বলা হয়, মিথ্যা বলা সকল অপকর্মের শিকড়। একটা মানুষ যদি মিথ্যা বলা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক অনেক পাপ ও অন্যায় কর্ম এমনিতেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। কেননা, মিথ্যা বলার সুযোগ নিয়েই মানুষ অনেক অপরাধ করার সাহস পায়। শরীয়তের একটি মূলনীতি রয়েছে, ‘সত্য মুক্তি দেয় আর মিথ্যা ধ্বংস ডেকে আনে।’ পরকালে মিথ্যা বলার সাজা হবে খুবই কঠোর। কোনো লজ্জাজনক কাজ বা ভূমিকা প্রকাশ না পাওয়ার জন্যেও মিথ্যা বলা অপরাধ। এ ধরনের মিথ্যা কথার জন্যও আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে প্রকাশ করা জরুরী নয় এমন বিব্রতকর প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার বা দ্ব্যর্থবোধক কথা বলে নিজেকে রক্ষা করা ক্ষেত্র বিশেষে জায়েজ রয়েছে। এ স্থানগুলো জানার জন্য শরীয়তের বিশদ জ্ঞান থাকতে হয়। সাধারণ মানুষের জন্য লজ্জাজনক কাজেও মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ নেই। মানুষ লজ্জাজনক কাজ বা অপরাধ সংঘটিত না করুক, এ জন্যই তো মিথ্যা বলার দ্বার রুদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশ্ন : মসজিদে বসে কোন ধরনের পত্র-পত্রিকা পড়া যাবে? জনৈক ব্যক্তি বললেন, মসজিদে বসে পত্রিকা পড়া যাবে না। বিশদ জানতে চাই।
উত্তর : মসজিদ ইবাদত-বন্দেগি, জ্ঞানচর্চা ও সাধারণ সৎকর্মের জায়গা। এখানে অর্থহীন কথাবার্তা বলা ও বেহুদা কাজকর্ম করা নিষিদ্ধ। ইসলামি ভাবধারার নির্দোষ পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যেতে পারে। তবে প্রাণীর ছবিযুক্ত সচিত্র কোনো পত্রিকা মসজিদে বসে পড়া উচিত নয়। বাজে-বেহুদা কথা, সংলাপ ও সত্য-মিথ্যা সংবাদ সম্বলিত কোনো পত্রিকাও মসজিদে বসে পড়া ঠিক নয়। মসজিদে কেবল কোরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনি বই-পত্রই পড়া উচিত। দুনিয়াবি বই-পত্র নয়। এ অর্থে উল্লিখিত ‘জনৈক ব্যক্তি’ ঠিকই বলেছেন। সম্পূর্ণ দ্বীনি ও নির্দোষ তথ্য সম্বলিত পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যায়, তবে সতর্কতা হেতু এসব পড়াশোনা অন্যত্র বসে করাই উত্তম। কেননা, ভালো জিনিষের পাশাপাশি স্বল্পবুদ্ধির লোকেরা নিন্দিত ও নিষিদ্ধ বস্তুকেও মসজিদে নিয়ে যেতে পারে। এ থেকে ফেতনা-ফ্যাসাদের পথ উন্মুক্ত হওয়ার ভয় রয়েছে।
প্রশ্ন : ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের দায়িত্ব ও কর্তব্য কী কী?
উত্তর : সন্তান জন্মের পূর্বে হালাল খানা খাওয়া, নিজেদেরকে পবিত্র রাখা, দোয়া পড়া। পেটে আসার পর মা পর্দায় থাকা। আল্লাহর ধ্যানে ইবাদতে সময় কাটানো। খারাপ চিন্তা, খারাপ কথা, খারাপ দৃশ্য থেকে দূরে থাকা। শিশু জন্মের পর আজান ও ইকামত শোনানো। সুন্দর নাম রাখা। সঙ্গতি থাকলে আকিকা দেয়া সুন্নত। কথা বলতে শুরু করলে প্রথম ‘আল্লাহু’ বলানো। আদর ও শাসনে বড় করা। সুশিক্ষিত করা। সময়মতো বিয়েশাদি দেয়া। প্রয়োজন পরিমাণ সম্পদ পাওয়ার ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। বিশেষত দ্বীনি মেজাজ তৈরি করা, যেন বাবা-মায়ের সাথে দুনিয়াতে সদাচরণ ও মৃত্যুর পর দোয়া করে।
বিভাগ : ইসলামী প্রশ্নোত্তর
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বাইরে বিস্ফোরণ,নিহত ১
পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে প্রতারণা : অ্যাটর্নি জেনারেল
ঝালকাঠিতে আমির হোসেন আমুসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে চায়: এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা
আ.লীগ নেতাদের ক্ষমা চাইতে হবে: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল
সিসিকের সাবেক কাউন্সিলর ও আ'লীগ নেতা মতিউরকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯
মালয়েশিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী দাইম জয়নুদ্দিন আর নেই
সংস্কৃতি উপদেষ্টার আশ্বাসে প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করলো গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন
শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশ্বাস, হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-বাইডেন বৈঠক
ভারত-পাকিস্তান বিরোধ: আইসিসিকে যে পরামর্শ দিলেন রশিদ লতিফ
পুরস্কারের অর্থ এখনও বুঝে পাননি অনেক ক্রিকেটার
গাজায় যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিৎ : অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন
আবারও ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান
শীতে এই ৫টি জিনিস ব্যবহারে ত্বক দেখে মুগ্ধ হবে সবাই!
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছাড়লেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই
প্রতিরক্ষামূলক টানেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ করবে ইরান
আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তার ঘটনায় জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
তারুণ্যের প্রভিভা অনুসন্ধানে আসছে রক রিয়েলিটি শো "দ্য কেইজ"
মন্দ কাজের সমালোচনায় সরব থাকবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বশির-ফারুকীকে অপসারণসহ ৯ দাবি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের