সউদী আরববের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় ২০২৪ সালের হজ
১৩ জুন ২০২৪, ০২:৩১ পিএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
১৪ জুন থেকে শুরু হওয়া এই বছরের হজ পালনের উদ্দেশ্যে সউদী আরবে ভ্রমণকারী প্রায় ১শ’ ৮০টি দেশের প্রায় ২০ লাখ মুসলমানের জন্য শুধুমাত্র জীবনের অবিস্বরণীয় অভিজ্ঞতাই হতে যাচ্ছে না, অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে এটি তাদের জন্য কঠিন একটি শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জও হতে যাচ্ছে। বয়স্ক হজযাত্রীদের জন্য এবারের হজের সময় উচ্চ তাপমাত্রা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
সউদী আরবের আবহাওয়া কেন্দ্রের প্রধান আয়মান গোলাম গত সপ্তাহে সতর্ক করে বলেছেন যে, এ বছর হজের সময় গড় তাপমাত্রা মক্কা ও মদিনাতে স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি (সেলসিয়াস) বেশি থাকবে। পাঁচ দিনব্যাপী হজের কেন্দ্রস্থল মক্কাতে গড় তাপমাত্রা প্রায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১১১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌছাতে পারে।
সউদী কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশিত তাপমাত্রা প্রশমণের জন্য মক্কা এবং মদিনার সমস্ত প্রধান স্থানগুলোতে ঠান্ডা বাষ্প ব্যবস্থা এবং বহনযোগ্য পানির সরবাররহ রেখেছে। এছাড়াও, মক্কার মেঝে এবং আশেপাশের তাঁবু শীতল রাখার জন্য শীতাতপ ব্যবস্থা থাকবে।
তবে শুধুমাত্র শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে হজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। হজ সম্পন্ন করতে হলে অসহনীয় দাবদাহ সত্ত্বেও ৩০ ঘন্টা পর্যন্ত বাইরে থাকতে হবে, যার মধ্যে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মধ্যে একদিন আরাফাতের ময়দানে এবং অন্যান্য দিনে মক্কার উপকণ্ঠে কয়েক ঘন্টা হাঁটতে হবে। হজের পরিকল্পনার জন্য সউদী সরকার বলেছে যে, প্রচন্ড তাপ হজযাত্রার সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলির মধ্যে একটি।
২০২৩ সালে সউদী আরবের তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌছেছিল। স্থানীয় পত্রিকা সউদী গেজেট সে সময় লিখেছিল যে, প্রায় ৮হাজার ৪শ’ হজযাত্রী তাপজনিত চাপে ভুগেছেন। সম্প্রতি, জার্নাল অফ ট্রাভেল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, কম গরম দেশ থেকে আসা হজযাত্রীদের মৃত্যুর সম্ভাবনা স্থানীয়দের তুলনায় ৪.৫ গুণ বেশি হবে, যারা উচ্চ তাপমাত্রায় অনভ্যস্ত।
সউদী আরবের কিংলাহ ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে যে, দেশটিতে গত ৪০ বছরে প্রতি দশকে তাপমাত্রা ০.৪ ডিগ্রি বেড়েছে। গবেষকরা বলেছেন, ‘শতাব্দীর শেষ নাগাদ আরব উপদ্বীপটিতে তাপমাত্রা ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি ঘটতে পারে।’
হাইডেলবার্গ ইউনিভার্সিটির মানব ভূগোল বিভাগের গবেষক টোবিয়াস জুমব্রেগেল ডয়েচে ভ্যালেকে বলেছেন, 'বেশ কিছু নিদর্শন থেকে ধারনা করা হচ্ছে যে, এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ আরব উপদ্বীপের কিছু অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা অলাভজনক মাল্টিমিডিয়া ইয়েল ক্লাইমেট কানেকশনের মতে, এই অঞ্চলে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তাপমাত্রা দ্বিগুণ দ্রুততায় উষ্ণ হচ্ছে। জুমব্রেগেল বলেন, ‘দেশটি ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি যে পরিমাণে ভুগছে, তাতে আরও বালি ও বাতাসের ঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ইতিমধ্যে অতি শুষ্ক অঞ্চলে পানির স্তরের হ্রাস প্রত্যাশিত।’
বিভাগ : ইসলামী বিশ্ব
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ