অনন্য প্রতিভার অধিকারী কাজী নজরুল ইসলাম
২৭ জুলাই ২০২৩, ০৯:০০ পিএম | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০২ এএম
অনন্ত সৃষ্টির স্রষ্টা যেন নজরুল। তিনি শুধু কবি নন, তিনি গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক এবং অনুবাদক। সবচেয়ে বড় কথা নজরুল একজন পূর্ণ সংগীত ব্যক্তিত্ব। তিনি গীতিকার, গীতিনাট্য রচয়িতা, গায়ক, সুরকার, সুরস্রষ্টা , সংগীত শিক্ষক ও সংগীত পরিচালক। তাঁর জীবনের অর্ধেকের বেশি সময় কেটেছে সংগীত জগতে। জন্ম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে। অর্থ্যাৎ ১৩০৬ বাংলার ১১ জ্যৈষ্ঠ। দেখা যায়, সৃষ্টিশীল জীবনের ১৯২০ সালের মার্চ মাস হতে ১৯৪২ সালের ৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ২২ বছর ৩ মাস তার কেটেছে সংগীত নিয়ে। ১৯৪২ সালের কথা যখন বলছি, তখন বলতে হচ্ছে , ওই সালের ১০ জুলাই বেতারের শিশুদের আসরে দশ মিনিটের একটি কথিকা প্রচারের সময়ই নজরুল রোগাক্রান্ত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ১৯৪১ সালের আগস্টে রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুসংবাদ শুনে মধ্যাহ্নই লেখেন ‘রবিহারা’ কবিতা এবং সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসাবে সেটি তিনি বেতারে প্রচার করেন। কবিতাটি ছিল,‘ঘুমাইতে দাও শান্ত রবিরে’। দেখা গেছে ১৯৪২ সাল কবির পক্ষে খুবই খারাপ সময় ছিল। কবি ও কবিপতœী দু’জনই শয্যাশায়ী ছিলেন। আয়ের উৎস ছিল না, চরম আর্থিক অনটন চলছিল। বাড়ি ভাড়া-চিকিৎসা ছিল চালানো অসম্ভব ব্যাপার। এমতাবস্থায় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পাঁচশো টাকা কবির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কবি ওই সালেই মানসিক ভারসাম্য হারালে অক্টোবরে মুম্বিনী পার্ক মানসিক চিকিৎসালয়ে ডা. নগেন্দ্রনাথ দে ও ডা. গিরীন্দ্রশেখর বসু কবির চিকিৎসা করেন। কবির আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ১৯৪৩ সালে ‘নজরুল সাহায্য কমিটি’ গঠন করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ হয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, যুগ্ম সম্পাদক সুফি জুলফিকার হায়দার ও সজনীকান্ত দাস।’
যাক, এখন আবার ফিরে যাচ্ছি কবি নজরুল ও গীতিকার নজরুলের আলোচনায়। অবশ্য বলতে হয় কবিতা ও গানের মধ্যে আদৌ কোনো বিরোধ নেই। উভয়ের জন্ম একই ভাবাবেগ থেকে। অন্তরস্থ সৃষ্টিশীল আবেগের বাণীমূর্তি জাগো সংগীতে আবার কাব্য ও সংগীতের মৌলিক, উপাদান হল ধ্বনি। দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের মধ্যেই উৎকৃষ্ট কবিতা ও শ্রেষ্ঠ সংগীতের আশ্চর্য সমন্বয় ঘটেছিল। নিশ্চয় এ বাংলা সাহিত্যের এক দুর্লভ সৌভাগ্য। আরো বড়ো কথা হল- বাংলা সংগীতের ক্ষেত্রে দুই দিকপালই ছিলেন রবীন্দ্র এবং নজরুল যেন সংগীত আকাশে চন্দ্র সূর্য। নজরুলের বেলায় বলা চলে, নজরুল কখনও কোনো ঘাটে তাঁর সৃষ্টির তরি নিয়ে দীর্ঘকাল অবস্থান করেননি। প্রথমে লেখা শুরু করলেন গল্প, সেটিত্যাগ করে শুরু করলেন কবিতা, প্রবন্ধ। চলল কিছুদিন। তারপর উপন্যাস। নাটক নিয়েও সময় ব্যয় করলেন। কিন্তু এ সবের মধ্যে সংগীতচর্চা চলল সমানে। সজ্ঞান অবস্থার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সংগীতের সোনার ফসলে তাঁর তরি পূর্ণ হয়ে উঠল।
নজরুলের জীবনধারায় দেখি ১৯০৩ থেকে ৮ সাল পর্যন্ত গ্রামের মক্তবে পাঠ শুরু। কিন্তু পাঠ শুরু করলে কী হবে পিতা কাজি ফকির আহমদের মৃত্যু হল কবির মাত্র নয় বছর বয়সে। অর্থ্যাৎ ১৯০৮ সালে। বাধ্য হয়ে কবি ১৯১০ সালে লেটো দলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করলেন। আবার ১৯১১ সালে মাথরুন গ্রামে নবীনচন্দ্র ইন্সটিটিউটে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলেন। আবার স্কুল ত্যাগ। লেটো দলে যোগদান। লেখেন দাতাকর্ণ মেঘনাদ বধ, শকুনি বধ, কবি কালিদাশ, আকবর বাদশা প্রভৃতি পালাগান। গান শুনে মুগ্ধ গার্ড সাহেব কবিকে তাঁর খানসামার চাকরি দেন। বেশীদিন সে চাকরি কবি করলেন না। চাকরি ত্যাগ করে আসানসোলে এম বখশের রুটির দোকানে এক টাকা বেতনে বয়ের চাকরি নিলেন। পুলিশ সাব ইন্সপ্টেক্টর কাজি রফিজ উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী শামসুন্নেসা খানমের দৃষ্টি পড়ায় তাঁদের বাড়িতে পাঁচ টাকা বেতনে গৃহভৃত্যের কাজে যোগ দিলেন। অবশ্য সাব-ইন্সপেক্টরের সহায়তায় আবার সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হলেন। ১৯১৭ সালে দশম শ্রেণীর প্রি-টেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি পেলেন।
দেখা যায় ১৯১৮-১৯ সালে ব্যাটালিয়ন কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পদে পদোন্নতি হবার পর সাহিত্যচর্চা শুরু। গল্প-কবিতার প্রকাশ। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা ‘মুক্তি’। সেটি ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় সাহিত্য পত্রিকায় ওই সময়েই প্রকাশিত হয়। ১৯২০ সালের মার্চে ৪৯নং বাঙালি পল্টন ভেঙে দেওয়া হলে কবি এসে উঠেন শৈলজ নন্দের বাসায়। পরে বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির অফিসে। ১৯২২ সালের অক্টোবরে প্রথম কবিতার বই ‘অগ্নিবীণা’ এবং প্রথম প্রবন্ধের বই ‘যুগবাণী’ প্রকাশিত হবার পর সরকার বইগুলি বাজেয়াপ্ত করে। অবশ্য সেপ্টেম্বরে ‘অর্ধ সাপ্তাহিক ধুমকেতু’ প্রকাশের পরই তাঁর গ্রেফতারী পরোযানা জারি হয়। অবশেষে ওই সালের নভেম্বরে কবিকে গ্রেফতার করা হয় কুমিল্লা থেকে। ১৯২৩ সালের জানুয়ারীতে হয় বিচার। বিচারে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়। জেলে বসেই কবি রচনা করেন ঐতিহাসিক ‘ রাজবন্দীর জবানবন্দী’।
এভাবেই ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে চলল কবির সাহিত্য সাধনা। এল ১৯৩০ সাল। বড়ো করুণ ওই সাল। বড়ো মর্মান্তিক। কবির আধ্যাত্মিক দিকে পদচারণা শুরু হয় ওই সাল থেকে। ওই সালের মে মাসে কবির প্রিয় পুত্র বুলবলের মৃত্যু বসন্তরোগ। মাত্র চার বছর বয়সে। ওই সালের রুবাইয়া-ই-হাফিজ গ্রন্থটির অনুবাদপত্রে পিতার আর্জি ছিল, ‘বাবা বুলবুল। তোমার মৃত্যুশিয়রে বসে ‘বুলবুল-ই-সিরাজ’ হাফিজের রুবাইতের অনুবাদ আরম্ভ করি, যে দিন অনুবাদ শেষ করে উঠলাম ; সেদিন তুমি আমার কাননের বুলবুলি উড়ে গেছ, যে দেশে গেছ তুমি সেকি বুলবুলিস্তান ইরানের চেয়েও সুন্দর।
কবির জীবন ধারা দেখে বিস্মিত হতে হয়। অফুরন্ত দুঃখ-কষ্টের মধ্যে অফুরন্ত সৃষ্টি কিভাবে সম্ভব হল ভাবি। যাই হোক, ১৯৬৯ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি প্রদান করেন। আবার ১৯৯২ সালের ২৪ মে মুজিবুর রহমানের প্রচেষ্টায় কবিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ২৫ মে সারা বাংলাদেশব্যাপী বিপুল উঃসাহ উদ্দীপনায় কবির ৭৩ তম জন্মজয়ন্তি পালন করা হয়। কবির সুখ-শান্তির জন্য বাড়ি-গাড়ি-ডাক্তার-নার্স সব কিছুর ব্যবস্থা করে। কিন্তু সুখ কি কবির কপালে ছিল? দুঃখ- যন্ত্রণা যার চিরসাথী তা কে খন্ডাবে? জন্মের পর খেকেই চলছে যন্ত্রণার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। এ সংগ্রাম যেন কবির পিছু ছাড়ে নি। আবার সেই মানসিক যন্ত্রণাদায়ক ১৯৭৪ সাল। ওই সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাত্র ৪৩ বছর বয়সে কনিষ্ঠ পুত্র কাজি অনুরুদ্ধের মৃত্যু হয়। পিতার বুক চুরমার হয়ে গেল। অসিম পুত্রশোকে কবি বাকরুদ্ধ হলেন। ওই সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিকে সম্মানসূচক ডি.রিট উপাধি প্রদান করে। ১৯৭৫ সালের ২২ জুলাই কবির স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে ঢাকার পিজি হাসপাতালের ১১৭ নং কেবিনে কবিকে স্থানান্তরিত করা হয়।
এল মহাকবির মহা প্রস্থানের সেই ১৯৭৬ সাল। ওই সালের জানুয়ারীতে কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার ‘২১ শে স্বর্ণপদক’ প্রদান করে সম্মান কবিকে জানানো হয়। এগিয়ে এল ২৪ মে নজরুল জন্মউৎসব। সেনাবাহিনীর প্রদান মুজিবুর রহমান হয়তো শেষ সম্মান জানানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বলেই হাসপাতালে গিয়েই কবিকে সেনাবাহিনীর ‘আর্মি ক্রেস্ট’ প্রধান করলেন।
২৪ মে-র পরই কিন্তু সময় কড়া নাড়তে শুরু করে দেয়। শয্যাশায়ী কবিকে নিয়ে যাবে মহাপ্রস্থানের পথে। এল ২৭ আগস্ট শুক্রবার বিকাল। দেহের উত্তাপ বৃদ্ধি পেতে লাগল। ২৮ আগস্ট শনিবার উত্তাপ ক্রমশ বেড়ে গেল। ডাক্তাররা জানালেন ব্রস্কো-নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কবি। কোনো রকমে পার হল ওই দিন-রাত। ২৯ আগস্ট রবিবার দেহের উত্তাপ বেড়ে ১০৫ ডিগ্রিতে পৌছল। শুরু হল শেষ চেষ্টা। অক্সিজেন দেওয়া। সাকশন প্রথায় ফুসফুস থেকে কফ বের করার চেষ্টা করলেন ডাঃ নুরুল ইসলাম ও ডাঃ নাজিমুদ্দৌলা চৌধুরী ও নার্স সামসুন্নাহার। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কবির যাত্রা শুরু হয়ে গেল মহাপ্রস্থানের পথে। চিরস্তব্ধ দেহ পড়ে রইল বিছানায়। প্রচারিত হল কবির মৃত্যু সংবাদ। সাড়ে চারটায় লাখো মানুষের ঢল নামল রমনার সবুজ প্রান্তরে। এ যেন জনসমুদ্র। রাষ্টপতি, সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, কবি-সাহিত্যিকরা এবং লাখো লোকের উপস্থিতিতে রমনার সবুজ প্রান্তরে নামাজে জানাজা সম্পন্ন হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ প্রান্তরে সমাহিত করা হল কবিকে। মরদেহ কবরে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে লাখো কন্ঠে উচ্চারিত হল কালেমা শাহাদাত।
নিশ্চয়ই কবির এত দু:খ কষ্টের সার্থকতা এখানে। বাংলাদেশ সরকার কবিকে ঢাকায় এনে শুধু জন্ম জয়ন্তী পালন করেনি, কবিকে রাজকীয় সম্মানও দেয়।
নজরুল এক বিস্ময়। যখনই তাকে নিয়ে ভাবি তখনই মনে হয় ওই বিস্ময়পুরুষ বাংলা সাহিত্য ও বাংলা সংগীতকে যেবাবে জাগরিত করেছেন তা শুধু বাঙ্গালির গর্ব নয়, ভারতের গর্ব কিন্তু দুঃখ হয় মুষ্টিময় কিছু কায়েমি স্বার্থান্বেষীর কাছে নজরুল গীতি নাকি একদিন প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছিল দেখে। তথাকথিত অভিজাত মহল নজরুল গীতির অপপ্রচার করেছিল জেনে কষ্ট হয়। মাত্র তের বছরে যিনি রচনা করেছেন প্রায় পাঁচ হাজার গান, যা পৃথিবীর অন্য কোনো সংগীত রচয়িতার পক্ষে অসম্ভব ও অকল্পনীয়, সেই পরম সংগীত-বিস্ময় পুরুষকে পেছনে ফেলব বললেও পেছনে ঠেলে দেয়া যায় নি। যুগে যুগে প্রবল প্রতিকুলতা থাকা সত্ত্বেও নজরুল-সংগীত আপন মহিমায় ভাস্বর। রবীন্দ্রনাথ ২২০০ গান রচনা করেছেন প্রায় ষাটবছর ধরে,কিন্তু নজরুল মাত্র তের বছরে তাঁর দ্বিগুণের অধিক। তা-ও-গান রচনা করেছেন,সুরও দিয়েছেন নিজে গেয়েছেন। নতুন রাগ ও সুর সৃষ্টি তাঁর শ্রেষ্টতম অবদান। একসময় তো নাকি রবীন্দ্রনাথের গান চাপা পড়ে গিয়েছিল সুরের একঘেয়েমির জন্য।
জানতে পারি নতুন সুর সৃষ্টির সময় নজরুল জগৎ সংসার থেকে পৃথক হয়ে যেতেন। দরজা বন্ধ থাকত। ধ্যানমগ্ন হতেন। গভীর রাতেই চলত সুর সৃষ্টি। অনেক সময় তাঁর চেতনা থাকত না। নজরুলের রাগগুলো নাকি সপ্নে ও ধ্যানে পাওয়া। সংগীতের প্রতি অনুরাগ নজরুলের আবাল্য। একদিকে সংগীত রচনা করছেন অন্যদিকে করছেন সুর সংগ্রহ।
যাই হোক , পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বাধিক সংগীত রচয়িতার শিরোপা সহ সুরযোজনায় এবং নতুন সুর সৃষ্টিতে নজরুল যে অসামান্য অবদান রেখেছেন বাংলা সংগীতে তার কোনো দ্বিতীয় নজির নেই। আগামীতেও তাঁর এই রেকর্ড ভাঙবে কিনা সন্দেহ।
‘তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় নাকো কভুূ।।’
আমরা অবোধ অন্ধমায়ায় তাই তো কাঁদি প্রভু।।’
কবির কথা ও সুর আপন মনে চর্চা করে নিজেকে টেনে নিয়ে যাই অসীম মহাবিশ্বের মহানন্দ ভরা মৃত্যুহীন যাত্রা পথে। সেই সঙ্গে ভাবি কেন এত হানাহানি। যাকে হানাহানিতে নিঃশেষ করে দিতে চাই ,যাকে বিচ্ছেদ করে আত্মসুখ ভোগ করি , সব প্রানই তো থেকে যায় মহাবিশ্বে। কিছুইতো হারায় না। নিজে নিজেকে যেখানে হারাতে পারি না,সেখানে অন্যকে বা অণ্য কিছুকে হারানো যে যায় না তা তো নজরুল বলেই দিয়েছেন। অপূর্ব জীবনবোধ। নজরুলের সাহিত্য ও সংগীত চর্চা এগিয়ে চলুক। জীবনবোধ বাড়বে অভিজাত মহল থেকে খেটে খাওয়া মানুষের মনকে ছঁতে পারে একমাত্র নজরুল গীতিই। এখানেই নজরুল গীতির ঐশ্বর্য এবং নজরুল একজন পূর্ন সংগীতব্যত্তিত্ব কথাটির প্রমাণ।
বিভাগ : সাহিত্য
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
১৭ বছর পর ফিফার বর্ষসেরা একাদশে নেই মেসি
ফের ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক মার্তিনেজ
ফিফার বর্ষসেরা ভিনিসিয়ুস
আইয়ুব-সালমানের রেকর্ড জুটিতে জয় দিয়ে শুরু পাকিস্তানের
পঞ্চদশ সংশোধনী রায় জনগণের প্রত্যাশা পূরণে একধাপ অগ্রগতি
বন্দরে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালন
নির্বাচিত সরকারই সংসদে পরিপূর্ণ সংস্কার করবে : আমীর খসরু
সাংবাদিক সামাদের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
টানা তৃতীয়বার সিডিপির সদস্য হলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
ছিনতাইকারীর কবলে সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি
খেলাফত প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষ পাবে মৌলিক অধিকার
সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমে ইইউ’র পূর্ণ সমর্থন রয়েছে
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেল সাবেক ডিবি প্রধান হারুন ও জাহাঙ্গীর-তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রেল যাত্রীদের ভোগান্তি
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি কমেছে, বেড়েছে ভিয়েতনাম-ভারত থেকে
বাংলাদেশে অংশীদারিত্বে বড় সম্ভাবনা দেখছি সুইডেনের : নিকোলাস উইকস
এশীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নেই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে
স্টিভ ব্যাননের দাবি : ট্রাম্প তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হবেন
‘সমগ্র বিশ্ব রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে রয়েছে’ : রাশিয়ার পারমাণবিক সুরক্ষা বাহিনীর প্রধান নিহত