বঙ্গবাজার এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ
০৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম
বঙ্গবাজার এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। অগ্নিকান্ডের ৪র্থ দিনে গতকাল আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপনের ঘোষনা দেয় ফায়ার সার্ভিস। আর এর পরেই সেখানে চলছে ধ্বংস¯ু‘প সরানোর কাজ। এসব ধ্বংসস্তূপ ৪০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে মেসার্স বুশরা ট্রেডার্স। তারা এই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী বসার ব্যবস্থা করার কথা বলা হচ্ছে। এদিকে ধ্বংসস্তুপের সামনে দাড়িয়ে নিজের পুরোনা স্মৃতি স্মরণ করে চোখের পানি ছাড়ছেন অনেক ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, আদর্শ, মহানগরী, গুলিস্তান ও বঙ্গ হকার্স এই চার মার্কেট নিয়ে ছিল বঙ্গবাজার কমপ্লেক্্র। গত মঙ্গলবারের আগুনে ঢাকার এই জনপ্রিয় কাপড়ের মার্কেট পুরোপুরি পুড়ে মিশে গেছে। সারি সারি দোকানের পরিবর্তে এখন সেখানে পড়ে আছে কয়লা। সঙ্গে আছে পোড়া কাঠ, টিন ও লোহালক্কড়। এই ধ্বংসস্তূপে আধপোড়া পোশাকও আছে। বিক্রয়যোগ্য কোনো কাপড় পাওয়ার সম্ভাবনাই নেই, তবুও যদি কিছু অক্ষত মেলে এই আশায় আংশিক পোড়া কাপড়-চোপড় হাতরে দেখছেন অনেক ব্যবসায়ী। পোড়া টিন, সাটার উল্টেপাল্টেও দেখছিলেন কেউ কেউ। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপে এসেছেন। তারা পুড়ে যাওয়া টিন, লোহা, সাটার ভাঙারি পণ্য হিসেবে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ পোড়া দোকান দেখাতে এনেছেন স্বজনদের। অনেক ব্যবসায়ী পোড়া দোকানের সামনে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো বঙ্গবাজার এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ।
দীর্ঘ ৭৫ ঘণ্টা পর গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় বঙ্গবাজার আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘোষণার পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আর তখন অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রবেশ করেন ব্যবসায়ীরা। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। এ বিষয়ে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্্র দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অনুমতিক্রমে মেসার্স বুশরা ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে আগুনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ দেওয়া হয়েছে। এসব ধ্বংসস্তূপ ৪০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে মেসার্স বুশরা ট্রেডার্স। তারা এই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী বসার জায়গা করে দিবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্্র দোকান মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. নাজমুল হুদা বলেন, পুড়ে যাওয়া মার্কেটটি দুই তলা, তিন তলা ছিল। এখন খোলা জায়গায় সব ব্যবসায়ীকে তো বসার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও আমরা একটি দোকানে দুইজন করে বসার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, আসলে এখানে তো ব্যবসায়ীরা অনেক বেশি ব্যবসা করার জন্য বসবে না। ঈদের আগে তারা যদি এখানে একটু বসতে পারে, তাহলে দেনাদার ও পাওনাদারের কিছুটা সহানুভূতি পাবে। পাশাপাশি কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মালিকদের তালিকার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মালিকদের তালিকা করার কাজ চলছে। আগামী রোববার আমাদের ব্যবসায়ীদের বৈঠক আছে। সেখানে আমরা চূড়ান্ত তালিকাটি উপস্থাপন করবো।
######
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার