বর্তমান সরকারই সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা : ড. মোশাররফ
২৭ মে ২০২৩, ১১:৩০ পিএম | আপডেট: ২৮ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
ক্ষমতাসীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধক বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আপনারা কিছুদিন আগে দেখেছেন, আমেরিকার থেকে ঘোষণা দিয়েছে আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে নির্বাচন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ যে নির্বাচন হবে তাতে যারা বাধা দেবে তাদেরকে তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, ভিসা দেবে না। আমরা এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে অথবা জনগণের ভোটকে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে যারা বাধা দিয়েছে, দিচ্ছে তারা হচ্ছে বর্তমান সরকার। আজকে আমেরিকা যেভাবে বলেছে যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদেরকে তারাও ভিসা দেবে না অর্থ্যাৎ তারাও ওদেরকে (সরকার) প্রত্যাখান করেছে।
গতকাল শনিবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পরিবর্তিত ভিসা নীতির প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগের গায়েবি মামলায় গ্রেফতারসহ সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। এই সমাবেশে মহানগর ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসে। ১৯ মে থেকে শুরু হওয়া সারাদেশে মহানগর ও জেলায় চারদিনের যে সমাবেশের কর্মসূচি শুরু হয়েছিলো তা শনিবার ১৫ জেলার মধ্য দিয়ে শেষ হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি ‘আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক’ অভিহিত করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই লজ্জা কাদের জন্য? এই আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের জন্য এই লজ্জা বহন করে এনেছে।
তিনি বলেন, আমরা (বিএনপি) ঘোষণা করেছি, শেখ হাসিনার অধীনে অতীতে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। তাই বিএনপি এদেশের সবচাইতে জনপ্রিয় দল এবং আমাদের সাথে আন্দোলনে যারা আছে তারা শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচনে যাবো না। আন্তর্জাতিকভাবে যে দাবি উঠেছে যে, নির্বাচন হতে হবে অংশগ্রহনমূলক। আমরা যদি নির্বাচনে না যাই অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হবে না। অতএব আজ এই সরকার যত বেশি বলুক না কেনো এদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে শেখ হাসিনার অধিনে নির্বাচন নয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা ১০ দফার দাবিতে বলেছি, এই সরকারের পদত্যাগ, এই অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এছাড়া আগামী দিনে কোনো সমাধান এদেশে হবে না। তাই আমাদের আর নিরবতার সুযোগ নেই। এই সরকারকে হটাতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ প্রস্তুত। এই ধরনের স্বৈরাচারি সরকার নিজের থেকে আপোষে সরে দাঁড়াবে না। তাদেরকে সরাতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এই সরকারকে হটাতে হলে গণঅভ্যুত্থানের বিকল্প নেই। এদেশের মানুষ হোসেইন মো. এরশাদের স্বৈরাচার সরকারকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে হটাতে পেরেছে, তার স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছে। পাকিস্তান আমলে এদেশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আইয়ুব খানের মতো স্বৈরাচারকে হটাতে পেরেছে। ইনশাল্লাহ আমরা আশাবাদী জনগণ প্রস্তুত। অচিরেই গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় করতে হবে।
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা প্রশাসনের আছেন, যারা সশস্ত্র বাহিনী সদস্য- এই অবৈধ সরকার গায়ের জোরে সরকার তারা জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়, তাদের অন্যায় আবদার, অন্যায় নির্দেশ আপনাদের মানার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। অতীতে যারা এই সরকারের অবৈধ, অনৈতিক, বেআইনি হুকুম মেনেছে তাদেরকে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা নিয়েছে, র্যাবকে। আমরা চাই না আর কোনো নিষেধাজ্ঞা, আমরা এই বদনাম কুড়াতে চাই না। আপনারা যারা প্রশাসনে আছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যারা আছেন আপনারা জনগনের সেবক, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারি। আমি আপনাদের আহ্বান জানাই, আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সাধারণ মানুষরা বিভিন্ন দলের কর্মসূচি আসছে, সুষ্ঠুভাবে আসছে, আজকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে। সরকার বললেই, আপনারা মিথ্যা মামলা দেবেন, গ্রেফতার করবেন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, এই কাজগুলো করছে এখনো শেখ হাসিনা সরকারের যারা অতি উৎসাহী সমর্থক তারা, তাদের জন্য আমাদের দেশের প্রশাসন, পুলিশ বাহিনীকে আমরা ঢালাওভাবে দায়ী করতে চাই না, এদেশের মানুষ দায়ী করে না। অতি উৎসাহী হয়ে যারা আজকে সারা দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছেন আমরা তাদের কাছে আহ্বান করি আপনারা তাদের পক্ষ ত্যাগ করে জনগণের পক্ষে আসুন। আপনাদেরকে কেউ কিছু বলবে না।
মহানগর দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, সালাহ উদ্দিন আহমেদে, নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, যুব দলের সুলতান সাল্উাদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।###
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কারো কাছে থাকা আমানত চুরি হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে।
মাগুরায় ট্রাক চাপায় মোটর সাইকেল চালক নিহত
শেখ হাসিনার আমলে সীমান্তের কাঁটা তারে লাশ ঝুলন্ত, এখন পতাকা বৈঠক হয়--শাকিল উজ্জামান
পেকুয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় মাওলানা ইমতিয়াজ
থানা থেকে ছিনাইয়া নেওয়া যুবদল নেতা গ্রেফতার
শ্রীনগরে বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের ৩ কর্মী গ্রেপ্তার
মুকসুদপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা, প্রতিবাদ জানালো আ.লীগ
নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের বোলিং নিষিদ্ধ
এই সরকার বিপ্লবের চেতনাকে পুরোপুরি ধারণ করতে পারেনি: মাহমুদুর রহমান
শার্শা থানা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকদের মিলন মেলা
মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা!
সোনারগাঁওয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্র সংস্কারে ১৫ দফা প্রস্তাবনা: পৃথক শরীয়া আদালত প্রতিষ্ঠার দাবি
কলম্বিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১০
দেশের সংগ্রামের ইতিহাস-সংস্কৃতি বিশ্বে তুলে ধরার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ভারতে চার বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার
পথশিশুদের নিয়ে বিপিএলের ট্রফি উন্মোচন
তামিমকে বিসিবির ধন্যবাদ
গণহত্যাকারীদের বিচারিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে: সারজিস