প্রতি রাতে অনাহারে ঘুমান প্রায় ৮৩ কোটি মানুষ
২৮ মে ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ, ও করোনা মহামারির বিরূপপ্রভাবে সারাবিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি রাতে বিশ্বের ৮২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ অনাহারে ঘুমান। যা সারা বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ। এক বছর আগে অনাহারে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার চেয়ে এখন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ কোটি ৬০ লাখ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দেয়া তথ্যে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বিশ্বের এই শতকরা ১০ ভাগ মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পায় না। এক দশকেরও বেশি সময়ে তাদের এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর অর্থ সারাবিশ্বে অনাহারি মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেসব মানুষ অনাহারে থাকেন অথবা রাতেক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যান তার মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। তাদের শতকরা ৮০ ভাগের বসবাস জলবায়ু পরিবর্তন প্রবণ এলাকায়। বৈশ্বিকক্ষুধার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে অলাভজনক সংগঠন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট ২৮ মে’কে ‘ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ডে’ হিসেবে পালন করে। অনলাইন আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।
ক্ষুধা হলো এমন একটা অবস্থা, যখন শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য থেকে প্রলম্বিত সময়ের জন্য বঞ্চিত হয়। দীর্ঘ সময়ের এই অবস্থায় স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা হতে পারে সারাজীবনের শারীরিক সমস্যা। খাদ্য সংকটের কারণে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের শরীরে শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক দশক ধরে এইক্ষুধা বা খাদ্যাভাব কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা আবার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫ কোটি। এর জন্য দায়ী যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক আঘাত ও করোনা মহামারি।
একই সঙ্গে খাদ্যের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স ৯৫ দশমিক ১ পয়েন্ট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩ দশমিক ৭ পয়েন্টে। এই ইনডেক্সে পরিমাপ করা হয় চিনি, মাংস, সিরিয়াল, ডেইরি এবং ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক মূল্যের পরিবর্তন। এফএও ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটস বিভাগের অর্থনীতিবিদ মোনিকা তোথোবা বলেন, বৈশ্বিক খাদ্য মূল্য বৃদ্ধি পেলেও তা দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন। এর কারণ বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো কোনো দেশ নির্বাচিত পণ্যের ক্ষেত্রে ভোক্তাদের জন্য ভর্তুকি দিয়েছে। মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বসবাস এশিয়ায়। এখানে ২০২১ সালে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারে কাটিয়েছেন। তবেক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। ওই বছর তাদের সংখ্যা ২৭ কোটি ৮০ লাখ। যেসব মানুষ খাদ্যের মারাত্মক সংকটে ভুগছেন, তাদের জীবন ও জীবিকা অত্যাসন্ন বিপদের মুখে পড়েছে। ২০২২ সালে চতুর্থ বছরের মতো তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস অনুযায়ী, এমন মারাত্মকক্ষুধার মুখে আছেন ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সুনামগঞ্জে ২২ লাখ টাকার ইলিশ জব্দ
ছাত্রজনতা হত্যার নির্দেশদাতা বিতর্কিত পুলিশ সদস্যরা এখনো লাপাত্তা
রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ‘রোবটের মতো’ কাজ করেছে লেবাননের যে চিকিৎসক
মোদীর সফরের আগে ভারত সরকারের নামে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা পান্নুনের
মিয়ানমার থেকে মণিপুরে অনুপ্রবেশ ৯০০ জঙ্গির, দাবি ভারতের
৪৩ দিন পর কাজে ফিরলেন আর জি করের জুনিয়র চিকিৎসকরা
গিল-পান্তের ব্যাটে পিষ্ট বাংলাদেশ
ফের মৃত্যুর খেলা! ‘স্কুইড গেম সিজন ২’র টিজারে বিপদের বার্তা
অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি কচুয়ায় যুবলীগ নেতার ৪টি দোকান পুড়েছে দুর্বৃত্তরা
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
লেবাননের বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
রাঙামাটিতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশের টহল, পরিস্থিতি শান্ত
পরমাণু দূষিত পানি নিয়ে চীন ও জাপানের কিছু ঐকমত্য
ঝিকরগাছায় বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুসহ ২১ নেতাকর্মী বহিষ্কার
হিজবুল্লাহর ভয়ে ইসরাইলিদের আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকার নির্দেশ
ভারতের ঘুম হারাম করে পাকিস্তানকে ভয়ঙ্কর হেলিকপ্টার দিচ্ছে চীন
পাকিস্তানে সেনানিবাসে আত্মঘাতি হামলা, সেনাসহ নিহত ১৮
জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩, আহত ২২ হাজার
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জুয়েল গ্রেফতার
বিচারবিভাগ নিয়ে আজ রোডম্যাপ দেবেন প্রধান বিচারপতি