দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই বন্দরে অপারেটর নিয়োগ হবে
১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করেই বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। তিনি গতকাল রোববার বন্দরের নতুন ইকুইপমেন্ট উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বন্দর জেটিতে বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন গ্লোবাল ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। আমাদের সক্ষমতা কোথায় গেছে সমগ্র বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের সক্ষমতা কোথায় গেছে। আমরা মেরিটাইম সেক্টরে জানিয়ে দিতে চাই আমাদের সক্ষমতা।
তিনি বলেন, আমরা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর করছি, পায়রা বন্দর করেছি। মোংলা পোর্ট আপডেটগ্রেশন করছি। চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের কার্যক্রম অনেকদূর এগিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আপডেট ইকুইপমেন্ট দিয়ে পণ্য ওঠানামা করানো হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে আমাদের সক্ষমতা। এই সক্ষমতায় আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সারা বিশ্বের সঙ্গে থাকতে চাই। বিশ্বের যে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য কাজ করতে চায় আমরা তাদের স্বাগত জানাবো। এটাই হচ্ছে সরকারের নীতি।
কর্ণফুলী টানেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবীই নৌপরিবহনে এগিয়ে যাচ্ছে। মেরিটাইমকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বা উন্নত বাংলাদেশ সম্ভব না। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেরিটাইমের ব্যাপক অগ্রগতির জন্য জোর দিয়েছেন। টানেল চালু হলে শুধু চট্টগ্রাম বন্দর নয় সারা দেশে এর সুফল পাবে। এসময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, সচিব মো. ওমর ফারুকসহ বন্দরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গ্যান্ট্রি ক্রেন, মোবাইল ক্রেন, কন্টেইনার মুভারসহ প্রায় চারশ কোটি টাকার ২৪টি যন্ত্রপাতি যোগ হয়েছে বন্দরে। নতুন সরঞ্জামের তালিকায় আছে, ২৪৩ কোটি টাকার চারটি কি গ্যান্ট্রি ক্রেন, ৭০ কোটি টাকার ছয়টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন, চারটি রিচ স্টেকার, চারটি ভেরিয়েবল রিচ ট্রাক, দুটি কন্টেইনার মুভার, দুটি ১০০ টনের মোবাইল ক্রেন এবং দুটি ৫০ টনের মোবাইল ক্রেনসহ মোট ২৪টি যন্ত্রপাতি। ২০২১ সাল থেকে চলতি বছরের এই সময়ের মধ্যে ১০৪টি ইকুপমেন্ট সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় এসব যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৯৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা দামের এসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে চীন, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম ও ফ্রান্স থেকে। ২০১৯ সালে নেয়া এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯১৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ৩০টি নতুন যন্ত্রপাতি আসবে চট্টগ্রাম বন্দরে। নতুন যন্ত্রপাতি উদ্বোধন শেষে খালেদ মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দরের অফিসার্স ডরমেটরি ভবন ও ট্রেনিং সিমুলেটর উদ্বোধন করেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন