ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক টিমের ৫ দফার প্রেসক্রিপসন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির পর্যায়ক্রমে সাক্ষাৎ : এতোদিন পর আইনমন্ত্রী বলছেন, সংলাপে আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই : বিএনপি বলছে ‘দুই শর্তে সংলাপে রাজি’ আওয়ামী লীগের দাবি ‘শর্ত প্রত্যাহার করে আসুন’

সংলাপের দরজা খুলছে!

Daily Inqilab স্টালিন সরকার

১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

অবশেষে বরফ গলতে শুরু করেছে! বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি অনমনীয় যুদ্ধংদেহি অবস্থান থেকে সরে আসার বার্তা দিয়েছে। বাংলাদেশ সফরের পর মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল ‘বর্তমান বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবেশে নির্বাচনী বিশুদ্ধতায় উল্লেখযোগ্য বাধা রয়েছে’ উল্লেখ করে সংলাপসহ ৫ দফা সুপারিশ করেছে। এরপর মুখোমুখি অবস্থানে থাকা বড় দুই দলের নেতাদের বক্তব্যে বরফ গলতে শুরু করে। সংলাপের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও সংলাপ ইস্যুতে নমনীয় বার্তা দিয়েছে দুই দলই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘দুই শর্তে সংলাপে রাজী’ জানিয়েছেন গত ১১ অক্টোবর। তার মতে, সংলাপে বসার ক্ষেত্রে সরকারকে আগে ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না। তারপর কিভাবে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা হতে পারে, তা নিয়ে কথা বলা যাবে। অন্যদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিষয়ে আমরা সংলাপের চিন্তা করবো।

আর সংলাপে আইনি কোনো বাধা নেই জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপে বসতে আইনে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু কথা হলো, সংলাপ হতে হলে কিছু আইনি জিনিস, যেগুলো বাস্তবে আছে, সেগুলো মেনে সংলাপে আসতে হয়। সেগুলো না মানলে সংলাপ হয় না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিদেশিরা এসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেন। সেই ফাঁকে কেউ কেউ নির্বাচনের কথা বলেন, সংলাপের কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের পাঁচটি সুপারিশ ‘দিস ইজ ওয়েলকাম’। সব সময় আমরা সংলাপ করে যাচ্ছি বিভিন্ন দলের সঙ্গে। আমাদের সংলাপে কোনো আপত্তি নেই। প্রশ্ন হচ্ছে সত্যিই কি বরফ গলতে শুরু করেছে? দেশি-বিদেশি সবাই উন্মুখ কী হচ্ছে দেশে? সামনে নির্বাচন ইস্যুতে রাজনীতির গতিপথ কোন দিকে যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে প্রশাসনে ভীতি-আতঙ্ক। প্রশাসনের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তারা সরকারের একপক্ষিয় নির্বাচনের পথে মাঠে নামবেন, নাকি আরো অপেক্ষা করে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি দেখবেন তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। আবার প্রশাসনের এক সেক্টর দেখছে অন্য সেক্টর ক্ষমতাসীনদের পক্ষ্যে আগে মাঠে নামেন কিনা। কারণ গত কয়েকদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে বার্তা দেয়া হচ্ছে যে কোনো প্রক্রিয়ায় সংবিধানের বিধান মেনে নির্বাচন করা হবে।

নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নির্বাচনে কে এলো আর কে না এলো সেটার বদলে জনগণ ভোট দিতে এলো কিনা সেটাকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হিসেবে প্রচার করছে। শেখ হাসিনা রাজধানীর কাওলার জনসভায় ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘যে কোনো ভাবেই হোক নির্বাচন হবেই; জনগণ ভোট দিতে যাবে।’ ওই সমাবেশের পর রাতেই (১৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন। আবার গতকাল ১৫ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির বঙ্গভবনে ছুটে যাওয়া কি বার্তা দিচ্ছে? দেশে কি হচ্ছে কেউ বুঝতে পারছেন না। গতকালও আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাইরে এমন চিত্র দেখা গেলেও পর্দার ভিতরে কি ঘটছে কেউ জানে না। তবে সংলাপের ইস্যুতে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে।

বর্তমানে দেশের অর্থনীতি কার্যত বিপর্যয় অবস্থায় পড়ে গেছে। অর্থনীতিবিদদের ভাষায় এতো মেগা প্রকল্প, এতো উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু উন্নয়নগুলোতে জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকায় অর্থনীতি খাদের কিনারে চলে গেছে। ডলার সংকট, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি, সংসার চালাতে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তের হীমসীম অবস্থা, লাখ লাখ পরিবার খাবারের তালিকা সংকুচিত করতে বাধ্য হয়েছে, নি¤œবিত্তরা খাবারের তালিকা থেকে আমিষ, প্রোটিন বাদ দিয়েছে। সিপিডিসহ কয়েকটি গবেষণা সংস্থা প্রায়ই আর্থিক সংকটে দেশের মানুষের চরম দুর্দশার চিত্র তুলে ধরছেন। বড় বড় সুবিধাবাদী এবং সিন্ডিকেটের হোতা, কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতা আনার’ মরণপণ ঘোষণা দিলেও সাধারণ ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। এমনিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভিসানীতি’ ঘোষণায় নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে দেশটি মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। এমনকি বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটতে পারে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জাপানসহ প্রভাবশালী দেশগুলো। এসব নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে উদ্বেগ দৃশ্যমান। এ অবস্থায় সরকারের দেশি-বিদেশি পরামর্শ উপেক্ষা করে দলীয় সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচন করলে দেশের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়বে। রাজনৈতিক এই হিংসা-প্রতিহিংসা নিয়ে যখন সবাই চিন্তিত তখন আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যেকার সংলাপের বার্তা কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে।

দেশের রাজনীতিতে তিন যুগ ধরে নতুন প্রথা চালু হয়েছে। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় থাক আর ক্ষমতার বাইরে থাক একে অপরের শত্রু মনে করে। রাজনৈতিক দুই প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের সামাজিক সৌজন্যতা দেখান না। এমনকি একে অপরকে দেখলে এড়িয়ে চলেন। তবে ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসগুলোর অনুষ্ঠানে তারা একত্রিত হন। প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এলে তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে এবং এক সঙ্গে বসতেও নিরুৎসাহী হন না। গত ১৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া ঢাকা সফরে এলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি এবং গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতারা একসঙ্গে ছুটে যান তার সঙ্গে দেখা করতে। তারাই পাশাপাশি বসে উজরা জেয়া ও ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে বৈঠক করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) গত ৮ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করেন। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন। ফিরে গিয়ে ‘বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে নির্বাচনী বিশুদ্ধতায় উল্লেখযোগ্য বাধা রয়েছে উল্লেখ করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে ৫ দফা সুপারিশ করেন। তাদের সুপারিশগুলো হচ্ছে- এক. নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হতে পারে পরিমিত কথাবার্তা, উন্মুক্ত এবং গঠনমূলক সংলাপ। দুই. মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং নাগরিক সমাজের কথা বলার স্থান নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি সম্মান দেখানো হবে। তিন. অহিংস থাকার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে এবং রাজনৈতিক সহিংসতাকারীদের জবাবদিহিতায় আনতে হবে। চার. সব দলকে অর্থবহ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এর মধ্যে থাকবে স্বাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা। পাঁচ. নাগরিকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সক্রিয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রতিনিধিদের সুপারিশের পর কার্যত রাজনৈতিক দলের মধ্যে নির্বাচন ইস্যুতে সংলাপ প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। এর আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দলের অবস্থান ছিল ‘কেহ কাকে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’ অবস্থা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার স্বভাবসুলভ কথাবার্তায় ঘোষণা দিয়ে বলে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। কেউ বাধা দিতে এলে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি অবরোধ করতে এলে বিএনপিকেই অবরোধ করা হবে।

গত দেড় বছরে প্রায় শতাধিক সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে দেশের বিশিষ্টজন, সুশীল সমাজ, পেশাজীবীরা সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানের পরামর্শ দেন, সুপারিশ করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজ নিজ অবস্থানে ছিল অনড়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা ‘বিএনপির সঙ্গে সংলাপ’ শব্দ শুনলেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠতেন। এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, বিএনপিকে নিয়ে খিস্তি খেউর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। অন্যদিনে বিএনপির মহাসচিব প্রায়ই ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের ‘গণভবনে সংলাপ’ ফলাফল তুলে ধরে মাঠেই ফয়সালা হবে এমন কথাবার্তা বলেন। ফলে দেশের সাধারণ মানুষের চোখের সামনে ভাসতে থাকে আগামীর রাজপথে সংঘাত, সংঘর্ষ এবং রক্তপাতের দৃশ্য। যে দৃশ্য দেখেছিল ২০০৬ সালে রাজপথে।

গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে ইইউ রাষ্ট্রদূতসহ ইইউভুক্ত ১০টি দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের সভাপতি ম-লির সদস্য ফারুক খান বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা বিষয় প্রমাণ হয়েছে যে, তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, যেই সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চাইছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা কী কী করব, সেটাও তারা জানতে চেয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ইস্যুতে সংলাপের তাগিদ দিয়ে ৫ দফা সুপারিশের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিষয়ে আমরা সংলাপের বিষয়ে আমরা চিন্তা করবো। বিএনপি এসব শর্ত দিয়ে বিএনপি আপোষহীন ভূমিকায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শর্ত প্রত্যাহার করলে আলোচনা ও সংলাপ হতে পারে। মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের পাঁচ দফা সুপারিশের করেছে। পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার সময় সংলাপের বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। তারা কোথা থেকে সংলাপের কথা আনলো, তা বুঝতে পারছি না। ওদের (বিদেশি) কথায় ইলেকশন হবে না। ইলেকশন আমাদের নিজস্ব বিষয়। ওরা বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে সুপারিশ করতেই পারে। বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্বাচন কমিশন বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। বিএনপি সবার আগে চায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এসব শর্ত রেখে সংলাপ হতে পারে না।

এর অগে গত ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সরকার মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেই কেবল সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসা যেতে পারে। এছাড়া সরকারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়ে সংলাপ হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার কিভাবে গঠন হবে, সে বিষয়ে যদি সংলাপ হয়, তা নিয়ে সরকারি দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল। সেই সংলাপের ফলাফল কি হয়েছে দেশের মানুষ জানে। অতএব বিএনপি আর কারো ফাঁদে পা দেবে না।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার