গুজরাটে খুঁটিতে বেঁধে ৫ মুসলিমকে মারধর
১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
গুজরাট হাইকোর্টকে গতকাল জানানো হয়েছে যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাঁচ ব্যক্তি, যাদের খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল, তারা দোষী সাব্যস্ত হওয়া চার পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। বিচারপতি এএস সুপেহিয়া এবং গীতা গোপীর ডিভিশন বেঞ্চ গত শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগকারীদের কাছ থেকে যথাযথ নির্দেশনা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, আর পুলিশ সদস্যরা আদালতকে তাদের শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
পুলিশ সদস্যদের আইনজীবী প্রকাশ জানি আদালতে জানিয়েছেন যে, তারা এ বিষয়ে কিছু অভিযোগকারী এবং তাদের আইনজীবী আই এইচ সৈয়দের সাথে ‘খুব নিবিড়, গঠনমূলক’ বৈঠক করেছেন।
তবে, তাদের আইনজীবীর পক্ষ থেকে সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি বলেন যে, অভিযোগকারীরা তাদের আত্মীয়স্বজন এবং সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে দেখা করার পরে ক্ষতিপূরণ গ্রহণ করে ‘সমস্যা সমাধান না করার’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালত বলেছে যে, পক্ষগুলো একটি মীমাংসার মধ্যে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অভিযোগকারীরা আপস করার ইচ্ছা পোষণ করেননি, তাই তিনি বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন।
গত শুনানিতে, আদালত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আইনে দোষী সাব্যস্ত করার পরে ডিকে বসু বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মামলায় গ্রেফতারের আগে যথাযথ পদ্ধতি মেনে চলার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা লঙ্ঘনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল।
উল্লেখ্য যে, গুজরাট রাজ্যের খেদা জেলায় গত বছরের ৪ অক্টোবর হিন্দু উৎসব চলাকালে একটি ‘গরবা’ অনুষ্ঠান স্থানীয় একটি মসজিদের কাছে আয়োজন করায় মুসলমান লোকজন আপত্তি জানিয়েছিলেন। নৃত্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু সদস্য ঢিল ছুঁড়লে গ্রামবাসী ও পুলিশ আহত হয়। এ নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা তৈরি হয়। উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে মুসলিম ব্যক্তিরা রাতে ‘গরবা’ নাচ চলাকালে পাথর ছুঁড়লে কমপক্ষে সাতজন হিন্দু আহত হন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ পোশাকের পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের খুঁটির সাথে বেঁধে লাঠি দিয়ে ব্যাপক পিটুনি দেয়। এসময় আশেপাশের মানুষ উল্লসিত হয়ে ভিডিও ধারণ করে। এর পরই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত পাঁচজন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং দাবি করে যে, এ আইনের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মীরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে আদালত অবমাননা করেছে। আদালত বলেছে যে, তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল এবং আবেদনকারীদের খুঁটিতে বেঁধে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করেছিল। মামলার বিবরণ অনুসারে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার পর অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ পর্যন্ত আইন লঙ্ঘনকারী ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত বলেছে যে, পক্ষগুলো একটি মীমাংসার মধ্যে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং অভিযোগকারীরা আপস করার ইচ্ছা পোষণ করেননি, তাই তিনি বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন। সূত্র : দ্য সিয়াসাত ডেইলি।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার