ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
বাংলাদেশের জনগণ কারো প্রভুত্ব স্বীকার করবে না : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ মঞ্চে ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১২:০৭ এএম

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল সোমবার সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। সমাবেশ মঞ্চের মূল ব্যানারের সঙ্গে ভারতীয় পণ্য বয়কটের তিনটি ফেস্টুন টানানো হয়। এর মধ্যে দুটি লাল কালিতে এবং একটি কালো কালিতে লেখা। প্রথম ফেস্টুনটি লাল কালিতে লেখা ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন। দ্বিতীয় ফেস্টুনটি কালো কালিতে লেখা ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন- ইংরেজিতে- বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট, তৃতীয়টিতে লেখা লাল কালিতে ইংরেজিতে লেখা- বয়কট ইন্ডিয়ান প্রোডাক্ট। সমাবেশ চলাকালে মূলমঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এই প্রতিবাদী ফেস্টুন প্রদর্শন করা হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

উল্লেখ্য গত ২২ মার্চ নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভারতীয় চাদর মাটিতে ফেলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেন। এরপর বিএনপির জোট সঙ্গীরাও রিজভীর ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূিীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভারতের উল্লেখ না করলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কারো প্রভুত্ব স্বীকার করবে না। তিনি বলেন, ফকির আলমগীরের একটা চমৎকার গান আছে, ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে নয়’। আমরা রক্তের দাম দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। আমরা করো দয়ায় স্বাধীন হয়নি। আজকে সেই বোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ান, আন্তর্জাতিক বিশ্ব নিশ্চয়ই সেই বিষয়গুলো দেখবে, অতীতে দেখেছে। আর কোনো দেশ যদি আমাদেরকে মনে করে যে, আমাদের ওপরে প্রভুত্ব করবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করেনি, মোগল আমলেও করেনি, বৃটিশ আমলেও করেনি, পাকিস্তান আমলেও করেনি, এখনো করবে না।

তরুণ সমাজকে জেগে উঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ হয়ে গেছি, হাফিজ (হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম) ভাই আমার চেয়েও বড়। আমরা এখনো লড়ছি, কথা বলছি, লড়ে যাচ্ছি কিন্তু আমরা এখনো বিশ্বাস করি, এই দেশকে পরাধীন করে রাখার ক্ষমতা কারো নেই। এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী রেজিম, শাসকগোষ্ঠি যারা জোর করে, কলা-কৌশল করে, বিভিন্ন নাটক করে ক্ষমতা দখল করে আছে তাদেরকে একদিন চলে যেতেই হবে। সেজন্য বলি, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নামতে হবে, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে না নামলে আপনারা জয়ী হতে পারবেন না। রিকশা শ্রমিক ভাইদের, সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ভাইদের, সমস্ত জায়গা থেকে যেদিন মানুষ উঠে আসবে সেইদিন হবে সত্যিকার অর্থেই সফল গণঅভ্যুত্থান, সফল বিস্ফোরণ, বিজয়।

ব্যাংক একীভূত আরেকটা দুর্নীতির কৌশল মন্তব্য করে অর্থনীতির এই সাবেক শিক্ষক বলেন, তারা (সরকার) বলে যে, দারিদ্র্যের সংখ্যা নাকি কমে এসছে, ১৯%। নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচির আওতায় সরকার যে ভাতা দেয়, দুঃস্থ ভাতা, বিধবা ভাতা, দরিদ্র ভাতা সেটা ৩৮% নিয়ে যায়। পত্রিকায় বলছে, ওখানেও (দরিদ্রভাতা) এরা ভাগ বসায়, তাদের জন্য বরাদ্দের টাকা নিয়ে যায়। এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে, টাকার কোনো হিসাব নেই। ব্যাংকগুলো লোপাট করে দিয়ে এখন ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, ওটা আবার আরেকটা দুর্নীতির ব্যবস্থা তৈরি করছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাবলীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে ছাত্রদলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকেরা ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানি করছে, আপনারা কি করেছেন? উত্তর দিতে পারবেন না। একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করেননি। এই যে মেয়েরা বসে আছে আপনারা প্রতিবাদ করেননি। কোথায় গেলো সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কোথায় গেলো ছাত্ররা যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন করেছে, ’৬৯ এর আন্দোলন করেছে, ৯০ এর আন্দোলন করেছে কোথায় গেছে তারা? আজকে ছাত্রদলের নেতারা এখানে যারা আছেন এভাবে শুধু শ্লোগান দিলে হবে না, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। যারা পুলিশের হুইসেল শুনলে দৌঁড়াবে না, সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শুনলে পালবে না, যারা রাস্তায় অনঢ় হয়ে প্রাণ দেবে, দাঁড়িয়ে থাকবে এই ধরণের মানুষগুলো তৈরি করতে হবে, সেই সাহস বুকে তৈরি করে দাঁড়াতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে বাজি রেখে যুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, সেইভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি জানি আমার বহু ছেলেরা সেইভাবে কষ্ট করছে, তারা কেউ বাড়িতে থাকতে পারে না, তাদের চাকরি নেই, টাকা-পয়সা নেই, তাদের কোনো ভবিষ্যত নেই। তারা লড়াই করছে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। এই গণতন্ত্র ফেরানোর বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে হবে সারাদেশে তরুন সমাজের মধ্যে, সেই সাহস ও বোধ তৈরি করতে হবে যে আমি যা করছি তা আমার দেশের জন্য করছি, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য করছি, দেশমাতৃকাকে রক্ষা করার জন্য করছি।

পাকিস্তানের ইমরান খানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, পাকিস্তানের দিকে তাঁকিয়ে দেখেন। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে কিভাবে তুরণদেরকে, মহিলাদেরকে মাঠে আনতে হয়। আমাদের চেয়ে কম অত্যাচার তাদের উপরে হয়নি, ইমরান খান জেলে চলে গেছে, ৩৪ বছর সাজা হয়েছে, তার ২ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার হয়েছে, জোর করে দল বদল করা হয়েছে। তারপরেও জেলে বসে যখন তার দলের মার্কা নিয়ে গেছে। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচনে যাও। এই সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কারা, এই তরুণেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৫ মার্চের কালো রাতের সন্ধ্যা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ চেষ্টা করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে একটা দফা-রফা করার জন্য। যখন ব্যর্থ হয়েছে, যখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টেসহ জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে তখন আমাদের তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তারা কেউ দেশে থাকেননি, পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। আর মূল নেতাকে পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমপর্ণ করে তিনি পাকিস্তান চলে গেছেন। তারপরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেই উজ্জীবন, সমস্ত মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধ করেছিলো বলেই ১৯৭১ সালে আমরা দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি।

মোবাইল-ল্যাপটপ রেখে ছাত্রদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, একটি দল মুক্তিযুদ্ধের ধারে কাছেও ছিলে না। অথচ তারা দাবি করে, এটি তাদের যুদ্ধ ছিলে। একাত্তরে রণাঙ্গনের এই যোদ্ধা বলেন, যুদ্ধ করেছে সাধারণ মানুষ, কৃতিত্ব নিতে চায় আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রের চেতনা আওয়ামী লীগের মধ্যে কখনও ছিলো না। এখনও নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়। এ সরকার বৈধ নয়। আমাদের কর্তব্য বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।

বিএনপি ক্ষমতায় যেতে আন্দোলন করছে না জানিয়ে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তা ব্যর্থ করেছে আওয়ামী। তাই মোবাইল ল্যাপটপ-রেখে ছাত্র-তরুণ-যুবকদের রাজপথে নেমে আসতে হবে। প্রস্তুত থাকুন বিজয় আমাদের।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।#


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার