ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
বিদেশে যাচ্ছে ১০ কোটি টাকার শাড়ি ই-কমার্স ও সরাসরি ৫০ কোটি টাকার জামদানি বিক্রির টার্গেট

ঈদে চাঙ্গা রূপগঞ্জের জামদানি পল্লী

Daily Inqilab মোঃ খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ

২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম

জামদানি শাড়ি ভালোবাসেনা এমন নারী পাওয়া দুস্কর। জামদানি আজ এদেশের সংস্কৃতির ঐতিহ্য হয়ে দঁড়িয়েছে। এদেশে জামদানি শাড়ির ইতিহাস কয়েকশ বছরের। প্রাচীনকালের মিহি মসলিন কাপড়ের উত্তরাধীকারী হিসেবে জামদানি শাড়ি বাঙ্গালী নারীদের অতি পরিচিত। জামদানির আতুরঘর হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া বিসিক শিল্প নগরীর জামদানি পল্লী। এখানে এ পেশার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫ হাজার তাঁতি। গত কয়েক বছরে করোনাসহ বিভিন্ন কারণে জামদানি শিল্প কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ্য হলেও এবারের ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ঘুরে দাড়াচ্ছে এখানকার জামদানি শিল্প। ঈদকে সামনে রেখে তাঁতিদের যেন দম ফেলার সুযোগ নেই। তবে এবার জামদানি পল্লীতে সরাসরি ক্রেতা থেকে অনলাইনে শাড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে জানান তাঁতিরা। ইকমার্স ও সরাসরি শাড়ি কিনতে আসা ক্রেতাদের সমন্বয়ে এই ঈদে প্রায় ৫০কোটি টাকার শাড়ি বিক্রির টার্গেট রয়েছে রয়েছে ব্যবসায়ীদের। রূপগঞ্জের জামদানি সারাদেশ থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রায় ১০ কোটি টাকার জামদামি ভারত, ভুটান, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশে^র বিভিন্ন স্থানে রপ্তাানি হচ্ছে বলে জানান তাঁতিরা। এতে আয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা।
এদেশের ঐতিহ্য জামদানি শাড়ির বিভিন্ন রকম ডিজাইন হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম, পান্না হাজার, তেরছা, পানসি, ময়ূরপঙ্খী, বটতপাতা, করলা, জাল, বুটিদার, জলপাড়, দুবলী, ডুরিয়া, বলিহার, কটিহার, কলকাপাড়সহ জামদানির ইত্যাদি ডিজাইন বেশ জনপ্রিয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খটখট শব্দে মুখরিত হয়ে রূপগঞ্জের জামদানি পল্লী। আর জোরে জোরে বাজানো হচ্ছে মিউজিক স্পিকার। এসকল স্পিকারে বাজানো হচ্ছে বিভিন্ন রকমের গান। সেই গান শুনতে শুনতে মনে আনন্দে কাজ করছে জামদানি পল্লীর তাতীঁরা। সামনেই ঈদ-উল ফিতর জামদানির পল্লীর প্রায় প্রত্যেকটি ঘরেই চলছে জামদানি শাড়ি তৈরীর কাজ। তাঁতিদের যেন দম ফেলার সুযোগ নেই। নানা রকম ডিজাইনের মাধ্যমে মনের মাধুরি মিশিয়ে তাঁতিরা তৈরী করছে জামদানি শাড়ি। এদিকে, জামদানি পল্লীর ভেতরে জামদানি পল্লীর দোকান গুলোতে পাইকারী ও খুচরা ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। জামদানির পল্লীর ভেতরে প্রায় ৩০টি জামদানির বিক্রি শোরুম রয়েছে। এখানেই পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারা নিজেদের পছন্দমতো বিভিন্ন ধরনের নান্দনিক ডিজাইনের জামদানি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আগে তাঁতিরা শুধুমাত্র জামদানি শাড়ি তৈরী করলেও বতর্মানে জামদানি দিয়ে পাঞ্জাবি, থ্রি-পিছ, টুপিছ ও বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরী করা হয়। এতে করে জামদানির জনপ্রিয়তা দিনদিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে জামদানি পল্লীতে আসা ক্রেতারা হতাশা প্রকাশ করেছে জামদানি পল্লীর পরিবেশ নিয়ে। রাস্তাঘাটের বেহালদশা, ঘিঞ্জি পরিবেশ জামদানি পল্লীর সৌন্দর্য্য অনেকটাই ম্লান করেছে বলে দাবি এখানে আসা ক্রেতাদের।
তাঁতিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুইতিন বছর বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে তাঁতিরা কিছুটা সমস্যার সম্মূখীন হলেও এবছর তাদের জামদানি বিক্রি খুব ভাল হচ্ছে। সরাসরি পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে শাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে তারা দামও ভাল পাচ্ছে। এদিকে সরাসরি ক্রেতার পাশাপাশি তারা ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে জামদানি শাড়ি বিক্রির নতুন বাজার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই দুই মাধ্যম মিলিয়ে তাদের এবারের ঈদে প্রায় ৫০ কোটি টাকার শাড়ি বিক্রির টার্গেট রয়েছে। বর্তমানে পল্লীর তাঁতি ও দোকান মালিকদের সবারই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই পেইজ রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে সেই পেইজের মাধ্যমেই তারা শাড়ি বিক্রি করে চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ই-কমার্সে বেশ সারাও পাচ্ছে তাঁতিরা। জামদানি শাড়ির আধুনিকায়ন ও তাঁতীদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে জামদানি পল্লীতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের পাশাপাশি তারা তাদের তৈরীরকৃত শাড়ি বিক্রি করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ই-কমার্সে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রোফাইল তৈরী ও অথবা পেইজ খুলে নিজেদের তৈরী শাড়ির ছবি আপলোড করে মূল্য লিখে দিচ্ছেন। যাদের পছন্দ হচ্ছে অগ্রীম কিছু টাকা দিয়েশাড়ি হাতের পাওয়ার পর বাকী টাকা দিচ্ছেন। তাঁতিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাড়ির অর্ডার পান। শাড়িগুলো বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে। একেকটি শাড়ি ২ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। জামদানি পল্লীতে প্রায় অর্ধশত তাঁতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে নিজেদের তৈরী জামদারি শাড়ি তৈরী করছে। এছাড়া তাঁতিদের কাছ থেকে জামদানি কিনে অনেক যুবক অনলাইনে বিক্রি করেও বেশ লাভবান হচ্ছে।
পল্লীর বিসমিল্লাহ জামদানি মালিক আসিফ জানান, গত কয়েকবছর জামদানির বাজার খারাপ গেলেও এবছর থেকে জামাদানির বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। জামদানির বাজার চাঙ্গা হওয়ায় তাদের বিক্রিও বেড়েছে বহুগুণ। আগে তাকে শাড়ি বিক্রি করে তাঁতীদের মজুরী দিতে হিমশিম খেতে হলেও বর্তমানে তিনি বেশভালভাবেই তা পারছেন। দোকানের পাশাপাশি বিসমিল্লাহ জামদানি নামে তার সামাজি যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পেইজ রয়েছে। বর্তমানে দোকানে বিক্রি অনেক কমে গেলেও ঈদকে সামনে রেখে অনলাইনে শাড়ি খুব ভাল বিক্রি হচ্ছে। এখন জামদানি পল্লীতে সরাসরি আশার পাশাপাশি অনেকে আবার অনলাইনে শাড়ির ডিজাইন পছন্দ অর্ডার করে দেয়। পরে তিনি কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিয়ে গ্রাহক পন্য বুঝে পেয়ে তারপর টাকা পরিশোধ করেন।
সোহাগ জামদানির মালিক সোহাগ জানান, তার বাবা নজরুল ইসলাম গত ২০ বছর ধরে জামদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। জামদানি পল্লীতে তার বাবার দোকানও রয়েছে। তিনি সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছেন। তিনি চিন্তা করলেন পাইকারদের পাশাপাশি তিনি যদি অনলাইনে জামদানি শাড়ি বিক্রি চিন্তা করলেন। যেই ভাবনা সেই কাজ তিনি সামাজিক গত বছর সোহাগ জামদানি নামে এক পেইজ খুললেন। পেইজটিতে নিয়মিত জামদানির শাড়ির ছবি তুলে আপলোড করতে থাকলেন। কয়েক মাস যেতে না যেতেই দোকানের পাশাপাশি অনলাইনেও জামদানি শাড়ি বিক্রি হতে থাকলো অনেক। ঈদকে সামনে রেখেও পেইজে শাড়ি বেশ ভাল বিক্রি হচ্ছে। তার মতো বেশিরভাগই তাঁতিই এখন অনলাইনে জামদানি শাড়ি বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছে।
রূপগঞ্জের জামদানী পল্লী থেকে জামদানি কিনে অনলাইনে বিক্রি করেন সামিরা আক্তার মিতু নামে এক আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। কুসুম ফুল জামদানি নামে তার ফেসবুক পেইজ রয়েছে। লেখাপড়া শেষ করে চাকরীর পাশাপাশি অনলাইনে জামদারী বিক্রি করছেন। এতে সাড়াও পাচ্ছে বেশ। তিনি বলেন, আমি একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরী করছি। জামদানির প্রতি আমার অনেক আগে থেকে দূর্বলতা ছিল। জামদানির বিভিন্ন ডিজাইন আমাকে মূগ্ধ করতো। এ কারণেই অনলাইনে জামদানি ব্যবসা শুরু করি। ঈদকে সামনে রেখে আমার অনলাইনে অনেক ইউনিক ডিজাইনের জামদানীর কালেকশন উঠিয়েছি। যেটি কিনা ক্রেতারাও বেশ পছন্দ করছে।
তবে তাঁত কারিগরদের অভিযোগ, গত কয়েকবছর জামদানির বাজার মন্দার অজুহাতে তাতঁকল মালিকরা শ্রমিকদের মজুরী বাড়ায়নি। তারা মেনে নিয়েছে এ কারণে। কিন্তু এবছর জামদানির বাজার অনেকটাই ভাল। কিন্তুও তারপরও তাঁতকারিগরদের মজুরী তেমন বাড়ানো হয়নি। তারা আগে যে পরিমাণ মজুরী পেত বিক্রি ও শাড়ি দাম বাড়লেও তাদের তাতঁকল মালিকরা তাদের মজুরি বাড়াননি। মজুরি না বাড়ার কারণে অনেক তাতঁ কারিগর পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। নিত্ত্য প্রয়োজনী পন্যে দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে এই মজুরীতে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাই তাদের বেতন না বাড়ালে তাঁত কারিগরের অভাবে এ পেশা বিলীন হয়ে যাবে এক সময়।
এ ব্যাপারে তাতঁকল মালিকদের দাবি, জামদানি বিক্রি বাড়লেও খরচ অনেক বেড়ে গেছে। যেমন সুতার দাম, রক্ষনাবেক্ষণসহ বিভিন্ন খরচ বাড়ার কারণে শাড়ি বিক্রি বেশি হলেও তেমন একটা লাভ হচ্ছে না। তাই কারিগরদের মজুরীও তেমন বাড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা। তারপরও যতটুকু পারা যাচ্ছে মজুরী বাড়ানো হচ্ছে।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার