রাজধানীতে পুলিশ, স্থানীয় নেতা, মাস্তান ঐক্য

ফুটপাথ চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম

রাজধানী ঢাকার ফুটপাথ দখল করে প্রতিদিন পশরা সাজিয়ে বসে হাজার হাজার হকার। সেখানে কেনাকাটায়ও স্বস্তি নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের। ফুটপাথের পণ্য কেনাকাটাও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সব ধরনের কাপড়সহ প্রতিটি পণ্যেরই বাড়তি দাম। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দোকানদারদের প্রতিদিন কয়েক ধাপে চাঁদা গুনতে হয়। চাঁদার টাকা দিতেই তারা দিশেহারা। আর এ চাঁদার টাকা উসুল করতেই পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হন। ফুটপাথ থেকে আদায় করা চাঁদার লাখ লাখ টাকা চলে যায় পুলিশ, স্থানীয় মাস্তান, রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে। হকারদের মতে, প্রতিদিন রাজধানী ঢাকার ফুটপাথে কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা স্থানীয় থানা ও ফাঁড়ি, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের লাইনম্যান, হকার নেতারা নিয়মিত প্রতিটি দোকান থেকে টাকা তোলেন। মাঝে মাঝে হকার উচ্ছেদ করলেও ফুটপাথের দোকানে চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে পুলিশ, স্থানীয় নেতা, হকার নেতারা একে অপরের পরিপূরকের ভূমিকা পালন করে থাকেন।

জানতে চাইলে ফুটপাথে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে ডিএমপি’র (ঢাকা মহানগর পুলিশ) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ফুটপাথে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে ডিএমপি’র সব উপ-কমিশনারের কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে। যেকোনো মূল্যে চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হকার্স সংগঠনগুলো বলছে, রাজধানীতে প্রায় দুই লাখ হকারের ওপর চাঁদাবাজি করেন অন্তত দু’শতাধিক লাইনম্যান। এরাই ফুটপাথ নিয়ন্ত্রণ করেন। ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা এদের প্রধান শক্তি। ঈদকে সামনে রেখে ফুটপাথে চাঁদাবাজি যেমন বেড়েছে তেমনি নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটছে। এলাকাভিত্তিক মার্কেটগুলোর সামনের ফুটপাথগুলোতে চাঁদাবাজি চলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়োজিত ক্যাডারদের মাধ্যমে। রাজধানীর ফুটপাথ চাঁদাবাজির এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে অনুসন্ধানে।

বাংলাদেশ হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, প্রতিদিন হকারদের কাছ থেকে পুলিশের নামে অবৈধভাবে যে পরিমাণ চাঁদা তোলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় বৈধভাবে এ পরিমাণ টাকা তোলা হলে বছর শেষে সকল হকারকে পুনর্বাসন করা সম্ভব হতো।

ডিএমপির তেজগাঁও জোনের ডিসি অফিসের পশ্চিম পাশে বাবর রোডের শ্যামলী শিশু পার্ক মাঠ। এ পার্কের চারপাশের ফুটপাথে খাবারের দোকানসহ বসানো হয়েছে প্রায় দেড়শ’ দোকান। শিশুদের জন্য পার্ক হলেও সুষ্ঠু পরিবেশ নেই সেখানে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাস্ট্রনের হয়ে তারই ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সালাউদ্দিন দৈনিক দেড়শ’ টাকা করে চাঁদা নেয়। একই কাউন্সিলরের পিএস রায়হান আওরঙ্গজেব রোডের কাঁচাবাজার থেকে, খিলজি রোড থেকে রুস্তুম, লালমাটিয়া আবাসিক এলাকার বয়েজ স্কুল সংলগ্ন মাঠে বিশাল বাজার বসিয়ে চাঁদা তোলে। সব মিলিয়ে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নামে মাসে ৩০ লাখ টাকার বেশি চাঁদা তোলা হয়।

কয়েক মাস আগে পুড়ে যাওয়া মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন কাঁচাবাজারের চারদিকে বসানো হয়েছে কয়েকশ’ দোকান। গতকাল বুধবার সেখানকার অনেক ব্যবসায়ী জানান, দৈনিক ৮শ’ টাকা চাঁদা দিতে হয় গার্মেন্টসের মালামাল যারা বিক্রি করে। সেখানে পজিশন অনুযায়ী দৈনিক টাকা দিতে হয়। ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিমউল্লাহ সলুর লোকজন এখানে চাঁদা তোলেন। কয়েক লাখ টাকা চাঁদা ওঠে প্রতি মাসে। টাউন হল মার্কেটের আশপাশের ফুটপাথ একচেটিয়াভাবে দখলে রেখেছেন ৩১ নম্বর কাউন্সিলর সেন্টু। স্থানীয়রা বলেন, তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস রাখেন না ব্যবসায়ীরা।

মোহাম্মদপুর রিং রোড প্রধান সড়ক ও ফুটপাথের একাংশ দখল সড়ক ভাড়া দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহরুখ জাহান পাপ্পু। তিনি ১০০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি। প্রিন্স বাজার থেকে শুরু করে শিয়া মসজিদ পর্যন্ত সড়কটি দখল করেন। পাপ্পুর নির্দেশে লাইনম্যান রাসেল প্রতি দোকান থেকে ভাড়া তোলেন, যা লাইন থেকে দৈনিক ভাড়া বাবদ ৯০ হাজার টাকা তোলা হয়। সে হিসেবে প্রতি মাসে দোকানগুলো থেকে ভাড়া বাবদ ২৭ লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়।

আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর ও ইস্কাটন এলাকার ফুটপাথ ও সড়কগুলোর অধিকাংশই স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের দখলে। এছাড়াও কিছু দোকান আওয়ামী লীগের নেতাদেরও রয়েছে।
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল থেকে আরামবাগ পীরজঙ্গি মাজার পর্যন্ত হকারপ্রতি চাঁদার অংক ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মুনসুরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এক সময়ের পুলিশের সোর্স সাইফুল মোল্লা আইডিয়ালের ফুটপাথ নিয়ন্ত্রণ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উত্তর পাশের বিশাল ফুটপাথে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান হিরোঞ্চি হারুন। তিনি সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাইদের লোক হিসেবে পরিচিত।

সোনালী ব্যাংকের সামনের সড়ক রয়েছে লাইনম্যান মকবুলের নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জীবন বীমার মাঝের সড়কে চাঁদাবাজি করেন লাইনম্যান আজাদ। বায়তুল মোকাররমের পূর্ব পাশের গেট থেকে ভিআইপি রোড পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে দুলাল। মূলত পল্টনের চাঁদা ওঠে বেশ কয়েটি হকার্স সংগঠনের ব্যানারে। জিপিওর দক্ষিণ পাশের ফুটপাথে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান সালাম। গুলিস্তান ইত্যাদি হোটেলের সামনে থেকে আওয়ামী লীগ অফিস পর্যন্ত দীর্ঘ ফুটপাথে চাঁদাবাজি করেন জুয়াড়ি সালাম। বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে খলিল ওরফে মোটকা খলিল, পশ্চিম পাশে কোটন এবং স্বর্ণ মার্কেটের সামনে চাঁদা তোলেন হারুন।

ঢাকা ট্রেড সেন্টারের পশ্চিম পাশ হয়ে হানিফ ফ্লাইওভার পর্যন্ত ফুটপাথে চাঁদা তোলেন বিমল, যুবলীগের হান্নান। এছাড়া হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে জুতাপট্টিতে চাঁদা তোলেন সালেক, রজ্জব ও লম্বা বাবুল।
এদিকে রেলওয়ে মার্কেটের সামনের ফুটপাথ দখলে রেখেছেন লাইনম্যান লিপু ও সুলতান। এছাড়া বঙ্গভবন পার্ক থেকে সার্জেন্ট আহাদ বক্স পর্যন্ত এলাকায় চাঁদা তোলেন হারুন।
রমনা ভবনের আশপাশের এলাকায় চাঁদা তোলেন আক্তার ও জাহাঙ্গীর। একাধিকবার জেল খাটেন জাহাঙ্গীর। এছাড়া সূত্রাপুর থানা এলাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে কলতাবাজার পর্যন্ত ফুটপাথে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান ফিরোজ। স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের সঙ্গে সখ্য রয়েছে তার।

যাত্রাবাড়ী এলাকার ফুটপাথে চাঁদাবাজ হিসেবে পুলিশের তালিকাভুক্ত সোনা মিয়া ও তোরাব আলী। এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ফুটপাথে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে। মিরপুর-১ নম্বর এলাকার লাইনম্যান নয়ন, সুরুজ, মিলন, জাহিদ, বুলেট ও বাবুল। চাঁদাবাজদের শেল্টার দেন স্থানীয় প্রভাবশালী কবির। এছাড়া মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকার ফুটপাথে চাঁদা তোলেন লাইনম্যান মোরসালিন ও জাফর।

ঈদকে সামনে রেখে উত্তরায় চাঁদাবাজরা আরো বেপরোয়া। মিরাজের নেতৃত্বে উত্তরা খালপাড় মোড় ও উত্তরা পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাথে চাঁদাবাজি চলে। উত্তরা বিএনএস সেন্টার হাউজ বিল্ডিং হয়ে আধুনিক মেডিক্যাল এলাকায় ইউসুফ, আজমপুর রাজলক্ষ্মী জসিম উদ্দিন এলাকায় রাসেল, বিমানবন্দর রেলস্টেশনের পার্কিং এলাকা দখল করে চাঁদাবাজি করছেন রেলওয়ে পুলিশের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা। উত্তরা ১৮ নং সেক্টর দিয়াবাড়ীর বৌবাজার থানা পুলিশ ম্যানেজ করে অবৈধ মেলা বসিয়ে চাঁদাবাজি করছেন ফুড রুস্তুম। এছাড়াও বিমানবন্দর মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজগুলোর উপরে-নিচে প্রতিদিন বাজার বসিয়ে চাঁদাবাজি করছেন কিছু নামধারী নেতা। উত্তরা আজমপুর রাজউক মার্কেট, আমির কমপ্লেক্স, রাজলক্ষ্মী ও আলাউদ্দিন টাওয়ারের আশপাশের অভ্যন্তরীণ সড়কের ফুটপাথ দখল করে জুতা, কাপড়, শপিংব্যাগসহ বিভিন্ন প্রসাধনীর দোকান সাজিয়ে পথচারীদের পথ আটকে রেখেছে। অপরদিকে বিমানবন্দর হাজী ক্যাম্পের আশপাশের ফুটপাথ ও অটোরিকশা জিম্মি করে শুক্কুর নামে একজন চাঁদাবাজি করেন। আজমপুর রেললাইন পার হয়ে যাওয়া প্রতিটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে লাইনম্যানের মাধ্যমে কাউছার ১৫০ টাকা করে চাঁদা তুলছেন। এই টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গত ২৪ মার্চ উত্তরার ১২ নং খালপাড় কাঁচাবাজারে ফল বিক্রেতা রাসেলকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন ডালিম নামক এক চাঁদবাজ।

উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চাঁদাবাজদের বিষয়ে তাদের জিরো টলারেন্স, এদের সাথে আপোষ নেই। চাঁদাবাজির খবর পাওয়ার সাথে সাথে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনছেন তারা।

যাত্রাবাড়ূ দোলাইরপাড় সড়কে রহমান ম্যানশন, ছামাদ সুপার মার্কেট ও কাজী টাওয়ারের সামনে ফুটপাথ ও মূল সড়কের উপর অবৈধভাবে ২ শতাধিক দোকান থেকে ৫/৬শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। এ টাকা ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাটের পকেটে যায়। শহীদ ফারুক সড়কে ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমেদের নেতৃত্বে ২ শতাধিক দোকান থেকে ২/৩শ’ টাকা আদায় করা হয়। এ টাকা আদায় করেন লাইনম্যান তুহিন। মাওয়া সড়কে ইলিশ কাউন্টার থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বাস কাউন্টার ও ফুটপাথের দোকান থেকে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন জমিদার আল আমিন।

শেখ রাসেল পার্কের সামনে ফূটপাথ ও মূল সড়কের উপর ৩ শতাধিক দোকান থেকে দৈনিক ৬ থেকে ৭শ’ টাকা করে চাঁদার টাকা যায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা উজ্জল, জুয়েল ও শাহাদাতের পকেটে।
শনিরআখড়া আন্ডারপাসের উত্তর পাশে মৃধাবাড়ী সড়কে ২ শতাধিক অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে ১২০ টাকা হারে টাকা নেন ৬২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের গোবিন্দপুর ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কিরণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে অর্ধশতাধিক দোকান থেকে দৈনিক ৫/৬শ’ টাকা করে চাঁদা নেন বাদশা মিয়ার ছেলে মাহবুব।

কদমতলী থানা এলাকায় শনিরআখড়া আবেদীন ভবন থেকে ব্যাংক এশিয়া পর্যন্ত শতাধিক দোকানের টাকা নেন জীবন দাস ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া রাসেল। বর্ণমালা আদর্শ স্কুল রোডে প্রায় ৫০ দোকান থেকে ২শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা করে চাঁদা নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

এদিকে গত ২২ মার্চ হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগ। এ সময় বেশ কয়েকটি সড়ক থেকে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সরেজমিন দেখা যায়, ১০ নম্বর গোল চত্বরের পূর্ব পাশে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচ থেকে বসতে শুরু করেছে হকাররা। মিরপুর-১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সের সামনে দু’পাশের ফুটপাথ দখল করে বসেছেন হকাররা।

চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হকার্স লীগ ও হকার্স ফেডারেশনের সভাপতি এম এ কাশেম বলেন, ফুটপাথ মানেই টাকার খেলা। ফলে যেখানেই হকার, সেখানেই আছে লাইনম্যান-চাঁদাবাজ। পুলিশ না চাইলে ফুটপাথে চাঁদাবাজি কখনই বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, হকারদের বৈধতা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না।

বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহ্বায়ক এস এম জাকারিয়া হানিফ ইনকিলাবকে বলেন, হকার্স সমিতির নামে কিছু অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি হচ্ছে। এজন্য আদালত অর্ধডজন হকার সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, সত্যি কথা বলতে কি পুলিশের ইন্ধনে ু সরকারি দলের কিছু নেতা-কর্মী ফুটপাথের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। তিনি হকারদের সমস্যা ও পুনর্বাসন প্রসঙ্গে দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন, ঈদের পর কাউন্সিল করবেন। এরপর হকারদের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
ফুটপাথে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চাঁদাবাজি করলে পুলিশ বলে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বাবর আজমের ব্যাটিংয়ের পর শাহিন আফ্রিদির বোলিং নৈপুণ্যে সমতায় সিরিজ শেষ পাকিস্তানের

বাবর আজমের ব্যাটিংয়ের পর শাহিন আফ্রিদির বোলিং নৈপুণ্যে সমতায় সিরিজ শেষ পাকিস্তানের

বার্নলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের ড্র

বার্নলির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ইউনাইটেডের ড্র

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’র প্রথম পর্বেই ১ কোটির বেশি বিনিয়োগ

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’র প্রথম পর্বেই ১ কোটির বেশি বিনিয়োগ

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের

থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ

আরও কমলো স্বর্ণের দাম

আরও কমলো স্বর্ণের দাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা শেষে হামলায় যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা শেষে হামলায় যুবক নিহত

টিভিতে দেখুন

টিভিতে দেখুন

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির লড়াইয়ে হারানো গৌরবের খোঁজে

বিশ্বকাপ প্রস্তুতির লড়াইয়ে হারানো গৌরবের খোঁজে

বন্যার পর এবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো দুবাই

বন্যার পর এবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো দুবাই

স্কোয়াশে শাহাদাত চাঁদনী চ্যাম্পিয়ন

স্কোয়াশে শাহাদাত চাঁদনী চ্যাম্পিয়ন

পাক-ভারত রোমাঞ্চের অপেক্ষায় যুবরাজও

পাক-ভারত রোমাঞ্চের অপেক্ষায় যুবরাজও

ফের জামালকে হারালো বসুন্ধরা

ফের জামালকে হারালো বসুন্ধরা

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বিসিবির লেগ স্পিনার হান্ট

বিসিবির লেগ স্পিনার হান্ট

নারী লিগের সময় বদলে গেলে

নারী লিগের সময় বদলে গেলে

বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা

বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা

২৬১ রানও মামুলি আইপিএলে!

২৬১ রানও মামুলি আইপিএলে!