ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
বাস মালিক-শ্রমিকদের ‘বেশি ভাড়া’ সিণ্ডিকেট ট্রেন ও লঞ্চে যাত্রীরা হয়রানি না হলেও দূরপাল্লার বাসগুলোতে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় : ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসা যাত্রীদের ভিড় ছিল উড়োজাহাজে

ঢাকায় ফিরছেন মানুষ নির্বিঘ্নে

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৯ এএম

সরকারি ছুটি শেষ হয়ে গেছে। কর্মস্থলে যোগদান করতে দূর পাল্লার বাসের টিকেটের অতিরিক্ত দামের ভোগান্তির ছাড়া নির্বিঘ্ন ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ঈদের দীর্ঘ ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গতকাল থেকে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ, ট্রাক ছাড়াও মানুষ ঢাকায় ফিরছেন মাইক্রোবাসে করে। তবে, ঢাকায় যে পরিমাণ মানুষ ফিরছে তার চেয়েও বেশি মানুষ ঢাকা থেকে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।
বৃষ্টি ছাড়া এ ঈদে কোনো ভোগান্তি ছিল না কর্মস্থলগামীদের। বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে টিকিট পেতে। মহাসড়কেও ছিল না যানজট। রেলে যাঁরা ফিরেছেন তারাও ছিলেন স্বস্তিতে। ট্রেনের টিকেট অনলাইনে হওয়ায় সাধারণ মানুষের ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ কার্যত বন্ধ হওয়ার উপক্রম হযেছে। ট্রেনেও ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। আর লঞ্চে ঢাকা ফেরত মানুষের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতোই।
রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাশহরগুলো থেকে ঢাকায় ফিরতে ঈদ পরবর্তী বাস, ট্রেনের টিকেট সহজেই পাওয়া যাচ্ছে না। বিামনের টিকেটের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। যাত্রীদের অভিযোগ বাস মালিক ও পরিবহণ শ্রমিকদের যোগসাজসে কালোবাজারিদের হাতে চলে গেছে এসব টিকিট। আর এ কারণেই বাস টার্মিনাল ও স্ট্যান্ডের কাউন্টারগুলোতে চলছে অগ্রিম টিকিটের হাহাকার। ঈদ পরবর্তী কাঙিক্ষত টিকিট পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণদের। অথচ কালোবাজারিদের হাতে বাড়তি দাম ধরিয়ে দিলেই পাওয়া যাচ্ছে টিকিট।
রংপুরের কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড ও রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে বাসের মতো ট্রেন ও বিমানের টিকিটও সহসাই মিলছে না। অনলাইনেও পাওয়া যাচ্ছে না সঠিক তথ্য। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে ঢাকাগামী হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কামারপাড়া ঢাকা স্ট্যান্ডের বিভিন্ন কাউন্টারে টিকিট না পাওয়ায় হতাশা বিরাজ করছে অনেকের মধ্যেই। ঈদ উদযাপন শেষে নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে সংশয়। কর্তৃপক্ষের দাবি ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে টানা এক সপ্তাহের টিকেট আগাম বিক্রি হওয়ায় এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
‘টিকিট নেই, টিকিট আছে’ এমন নাটকের কবলে পড়া সাধারণ যাত্রীরা জানান, কাউন্টারগুলোতে টিকিট না পাওয়া গেলেও এর ঠিক বাইরেই বেশি দামে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় একটি কালোবাজারি চক্রসহ বাস মালিক ও শ্রমিকরা।
কামারপাড়া কোচ স্ট্যান্ডে এনা পরিবহন কাউন্টারের পাশে কথা হয় মিঠাপুকুর শঠিবাড়ির এলাকা থেকে আসা সেলিম মিয়ার সঙ্গে। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক কালোবাজারি টিকিট বিক্রেতার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন রবিউল ইসলাম ও মেহেরুন রুনি নামে দুজন যাত্রী। তারা দু’জনই ঈদের ৬ষ্ঠ দিনে ঢাকায় ফেরার জন্য টিকিট নিতে এসেছিলেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে হতাশায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখানে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত রবিউল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার আগে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে না পারলে হয়ত চাকরি হারাতে হবে। অন্যদিকে সেলিম মিয়া অভিযোগ করেন, প্রতিবারই কালোবাজারিদের ছাড়া টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে পারেননি। এবারও হয়ত সেই একই অবস্থা হবে। এ সময় তিনি কালোবাজারিদের টিকিট ব্যবসা বন্ধসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যদিকে নাজমুল হাসান ও নূর হোসেন নামে দুজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী জানান, তারা দু’জন তিন হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে এসি বাসের ২টি টিকিট নিয়েছেন।
এনা পরিবহনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের আগেই ঈদ পরবর্তী যাত্রার আট-দশ দিনের টিকিট বিক্রি হয়েছে গেছে। অনেকেই সিট বুকিং দিয়ে রেখেছেন। এ কারণে তারা যাত্রীদের কাক্সিক্ষত সিটের টিকিট দিতে পারছেন না। বিশেষ করে এক সপ্তাহের কোনো টিকিট তাদের হাতে নেই বলেও জানান সেখানে কাউন্টারে থাকা লোকজন। তবে বাইরের চিত্র আলাদা। কাউন্টারে টিকিট না মিললেও বাইরে কালোবাজারিসহ ওই কাউন্টারের কলার বয়দের বাড়তি টাকা দিলেই মিলছে টিকিট। এ চিত্র শুধু এনা পরিবহনে নয়, কামারপাড়া কোচ স্ট্যান্ডের প্রতিটি কাউন্টারে টিকিট নিয়ে এমন লুকোচুরি চলছে। যা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই।
অন্যদিকে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও বাহির মুখ মর্ডান মোড়ে দেখা গেছে, কর্মজীবী মানুষের কর্মস্থলে ফিরতে উপচে পড়া ভিড়। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের মানুষ মর্ডান মোড় হয়েই তাদের কর্মস্থলে ফিরছেন। রংপুরসহ বাইরের জেলা থেকে এসে অনেকেই কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য মর্ডান মোড়ে জমায়েত হচ্ছেন বাসের জন্য। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে বাস থাকার পরেও ফিরতি যাত্রায় বাসের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা অভিযোগ করে বলেন, রংপুর থেকে ঢাকার ভাড়া বাস ভেদে ৭ থেকে ৮ শত টাকা হলেও ঈদ উপলক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে বাসের টিকিটের মতো আগুন লেগেছে ট্রেনের টিকিটেও। রংপুর এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনেরও টিকিট মিলছে না। শুধু তাই নয়, শিডিউল বিপর্যয় নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে যাত্রীদের। যেন ঈদের আগে পরে যাত্রী সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে রেলওয়ে বিভাগ।
রংপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানেও খোঁজ নেই ঈদ পরবর্তী ৭ দিনের টিকিটের। সাধারণ যাত্রীরা ধরনা দিয়ে টিকিট না পেলেও সামান্য হায় হ্যালোতে টিকিট পাচ্ছে প্রভাবশালী নামিদামি মানুষেরা।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বাসের টিকিটের মতো ট্রেনের টিকিটও কালোবাজারে পাওয়া যাচ্ছে। ট্রেনের যাত্রীরা বলছেন, টিকিট নিয়ে সব জায়গাতেই এখন বাণিজ্যের মহোৎসব শুরু হয়েছে। অথচ এ বিষয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
ট্রেনের চিত্র : ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সোমবার সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রী নিয়ে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ট্রেন। স্বস্তিতে ঢাকা ফিরতে পেরে খুশি যাত্রীরা। তারা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সময় ট্রেনে উঠতে যে ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, ফেরার সময় তা হয়নি। সবাই শৃংখলার সঙ্গেই ট্রেনে উঠেছেন। ট্রেনের কোনো বগিতেই আসনের বাইরে কোনো যাত্রী উঠেনি। তবে ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও আধুনিকায়ন করা জরুরি।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চগড় থেকে একতা এক্সপ্রেস ঠিক ১০টায় কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেন স্টেশনে থামার পরপরই যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটতে থাকেন। অনেকের মালামাল কুলিদের বহন করতে দেখা গেছে। আবার একইভাবে অনেককে ঢাকা ছাড়তে স্টেশনের প্লাটফর্মে ঢুকতে দেখা গেছে।
পঞ্চগড়ের একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন ঢাকার বাংলা বাজারের বাসিন্দা ইফতেখার আলম। বাংলা বাজারে তার বইয়ের ব্যবসা রয়েছে। আলাপকালে ইফতেখার বলেন, ‘বাবা-মার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামে গিয়েছিলাম। কিন্তু যাওয়ার সময় ট্রেনে উঠতেই ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ট্রেনে উঠে দেখি আমার আসনে আরেকজন বসে ছিল। তাকে উঠিয়ে আমি বসলেও পুরো যাত্রা পথ তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবে আজ ফেরার পথে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
একই ট্রেনের যাত্রী মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছিলেন। আলাপকালে পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী ইমতিয়াজ বলেন, অফিসের কাজে দুইবার ইউরোপের কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তাদের ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে আমরা অন্তত কয়েকশ বছর পিছিয়ে আছি। প্রতি বছর ঈদ যাত্রার সময় নাগরিকদের যে ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হয়, তা মনে হয় পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। অথচ দেশে নিরাপদ যাতায়াতে ট্রেনই আমাদের সবার পছন্দ।
এদিকে, ঈদের চার দিন পরও ঘরমুখো যাত্রীর ভিড় রয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশনে। অধিকাংশ যাত্রী ঈদ পরবর্তী সময়ে আত্মীয় স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনে উঠতে প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছেন অনেকে। সকাল ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস, সোয়া ১০টায় একতা এক্সপ্রেস নিজ গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। সোয়া ১১টায় জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এখন পরিবার নিয়ে রওয়ানা দিয়েছি
স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন যথা সময়ে কমলাপুরে পৌঁছায়। আবার যাত্রী নিয়ে নিজ গন্তব্যে ছেড়ে যায়।
নৌপথের চিত্র : ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শেষে দক্ষিণাঞ্চল থেকে লঞ্চযোগে রাজধানী ঢাকায় ফেরার চিরায়ত যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার সদরঘাটে দেখা গেছে প্রচণ্ড ভিড়।
ঈদ ও বৈশাখের দীর্ঘ ৬ দিনের ছুটি শেষে আজ প্রথম কর্মদিবস। সে হিসেবে রাজধানীতে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সবকিছু মিলিয়ে রাজধানী এখনো অনেকটাই ফাঁকা ও যানজটমুক্ত বলা যায়। সোমবার রাজধানীর সদরঘাট ঘুরে এবং বাংলাদেশ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে দেখা যায়, ৮টা পর্যন্ত সদরঘাটে ৭৮টি লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকায় এসেছে। ঘরে ফেরা মানুষের চাপ সামলাতে প্রায় সকল লঞ্চ যাত্রী রেখে ফের যাত্রী আনতে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিটিএর বাদিং সারেং আলমগীর হোসেন বলেন, খুব সকাল থেকে এ পর্যন্ত ৭৮টি লঞ্চ ঢাকায় এসেছে। যেখানে গতকাল একই সময়ে ৯১টি লঞ্চ রাজধানীতে এসেছিল। আজকে আসা প্রায় সকল লঞ্চ ঢাকায় যাত্রী রেখে দ্রুত টার্মিনাল ত্যাগ করেছে। লঞ্চগুলো হলো- এম.ভি. সুন্দরবন-১৬, মানামী, অ্যাডভেঞ্জার -১ ও ৯, সুন্দরবন-১০ ও ১৪, প্রিন্স আওলাদ, কুয়াকাটা-২, প্রিন্স রাসেল ৫, শুভরাজ-৯, সম্রাট ও প্রিন্স কামাল ইত্যাদি। বেশ কয়েকটি স্পেশাল সার্ভিস বরিশাল থেকে ঢাকা এসেছে। তিনি বলেন, লম্বা ছুটি ছিল, এ কারণে মানুষ ধাপে ধাপে ফিরছে। গত দুদিনের তুলনায় রাজধানীতে ফেরা মানুষের চাপ আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে রাজধানী অধিকাংশ মানুষ কাজের টানে ফিরে আসবে।
বিআইডব্লিটিএ সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৪০টি নৌরুটে সরাসরি দিন ও রাত্রিকালীন সার্ভিস মিলিয়ে শতাধিক লঞ্চ ঢাকাণ্ডবরিশাল-ঝালকাঠি-পটুয়াখালী-বরগুনা-ভোলা রুটে সরাসরি যাতায়াত করছে। তবে বিশেষ লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে চলাচল করে। সাধারণ সময়ে লঞ্চগুলো বাই রোটেশন তালিকা অনুসারে চলাচল করে বলে জানা গেছে।
উড়োজাহাজ : ঈদে আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। ঈদে যেমন মানুষ আকাশ পথে গ্রামে ফিরেছেন তেমনি পরিবারের সংঙ্গে ঈদ করে আকাশ পথে ঢাকা ফিরছেন। ঈদ যাত্রা স্বাভাবিক করতে এয়ারলাইন্সগুলো অভ্যন্তরীণ রুটে ১৮টি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ফল সরুপ কোন ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই বিমানের ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়েছে। যাত্রীরা সুবিধামতো ঘরে আকাশ পথে ঘরে ফিরেছেন আবার কর্মস্থলে ফিরে আসছেন। বিশেষ করে এবার ঈদে সৈয়দপুর, যশোর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছে জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, এবার আকাশ পথে ঈদ যাত্রা স্বাভাবিক ছিল। অতিরিক্ত চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুর, যশোর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটে যাওয়া-আসা জন্য অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। এখন যাত্রীরা ঢাকায় ফিরে আসছেন।


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার