কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালিয়ে ফের ধরা মৃত্যুদণ্ডের ৪ আসামি
২৭ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে পৃথক পৃথক হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পরপরই তাদেরকে ফের গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ। এই ঘটনা জানাজানির পর শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। রাজশাহী বিভাগীয় ডিআইজি প্রিজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারের ফাঁসির আসামিদের জন্য নির্ধারিত কনডেম সেল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়। তবে এর ঘণ্টা খানেক পরেই জেলা পুলিশের টিমের কাছে ধরা পড়ে পলাতক কয়েদীরা।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী তার সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন।
পুলিশ সুপার বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু, নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন, বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া এবং বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ। তারা প্রত্যেকেই পৃথক পৃথক হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে চার আসামি বৃটিশ আমলে চুন সুড়কি দিয়ে নির্মিত পুরাতন কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বাইরে বেরিয়ে আসে। এরপর আসামিরা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেওয়াল কারাগারের উঁচু দেওয়াল টপকে বাইরে বের হয়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে কারা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে এই তথ্য জানালে পুলিশের একাধিক টীম শহরে তল্লাশী অভিযান শুরু করে। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়াস্থ চাষী বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশের একটি টিম। জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে গ্রেফতারকৃতদের সনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হলে এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে পরিচয় নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঘটনার পর কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। দীর্ঘদিন এক সঙ্গে থাকার সুবাদে তারা পরিকল্পিত ভাবে পুরনো বিল্ডিংযের ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াল টপকে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাবিধি ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা হবে।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো এবং ঘটনার সাথে কারাগারের কারো যোগসাজোস আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, র্যাব এবং জেলা কারাগারের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম।
রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, ঢাকা থেকে অতিরিক্ত আইজি প্রিজন বগুড়ায় আসবেন। তিনি পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘরের মাঠে আর্সেনালের সহজ জয়
মাহমুদুল্লাহ-রিশাদ নৈপুণ্যে জিতে প্লে অফের বরিশালের এক পা
ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?
রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে জাপান
প্রবাসী উপদেষ্টার আশ্বাসে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের আন্দোলন স্থগিত
মহার্ঘভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা
পুরো বইমেলা মনিটরিং হবে ড্রোনে-ডিএমপি কমিশনার
যানবাহন চালক-পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি
মৃত বাবার রেখে যাওয়া ঋণ পাওনাদার নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে?
খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকশিত হয় -ডিসি তৌফিকুর রহমান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক
জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেটজুড়ে স্বস্তি
৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী
মাদারীপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্কবিষয়ক কর্মশালা
রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর
মাদারীপুরে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
এক বছরে উখিয়া-টেকনাফে ১৯২ জন অপহরণ
‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ দেয়ালে লিখে হত্যার হুমকি