‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উক্তি সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী খুৎবা-পূর্ব বয়ান
১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক গতকাল জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মেহেরবানি করে আমাদেরকে হায়াত দান করেছেন। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালা আমাদের হায়াত আর মউতের একমাত্র মালিক। কারো মৃত্যু আসতে পারে না আল্লাহর হুকুম ব্যতীত। (মৃত্যুর জন্য) নির্ধারিত সময় লেখা হয়ে গেছে। যখন কারো মৃত্যুকাল উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন না এক মুহূর্ত পেছনে থাকতে পারবে, না এগিয়ে যেতে পারবে।
এরপর তিনি বলেন, কম বয়সে কারো মৃত্যু হলে ‘অকাল মৃত্যু’ শব্দটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এই কথাটা এড়িয়ে চলা কর্তব্য। কারণ প্রত্যেক প্রাণীর জন্য ‘মৃত্যু’ যেমন অনিবার্য তেমনি তার দিন-ক্ষণও নির্ধারিত। সেই নির্ধারিত সময়েই তার মৃত্যু হবে। এতে সামান্য এদিক-সেদিক হবে না। খতিব তাকওয়া অর্জনের বিষয়ে বলেন, কোরআনুল কারীমে মুমিনের যেসব বিষয়ের প্রতি বেশি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে তার মধ্যে তাকওয়া অন্যতম। কারণ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি মুমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্য অর্জন ছাড়া দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিন কখনো সফলতা লাভ করতে পারে না। আল্লাহর কাছে একমাত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। অন্য মতাদর্শ অনুসরণ করে কখনো মুক্তি পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এহেন উক্তি বা বক্তব্য দেয়া সম্পূর্ণ ইসলাম ও যুক্তিবিরোধী। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মানুসারীরাও এ ধরনের বক্তব্য স্বীকার করে না। তিনি বলেন, এটা সকলেরই স্মরণ রাখা দরকারÑ ঈদ অথবা পূজা জাতীয় কিংবা সামাজিক কোনো রীতি-অনুষ্ঠান নয়, এটা একেবারেই ধর্মীয় উৎসব। ধর্মীয় যে কোনো আয়োজন-উৎসবে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বিরই স্বাতন্ত্র্যবোধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, একটি বিষয় মুসলমানদের জেনে রাখা জরুরি, অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফভিত্তিক নাগরিক আচরণ ও সম্প্রীতিপূর্ণ মনোভাব রাখা ইসলামের শিক্ষা। অমুসলিমদেরকে সব ধরনের সামাজিক ও মানবিক সহযোগিতা করা যাবে। এতে ইসলাম কোনোরূপ বাধা দেয় না। কিন্তু তাদের ধর্মীয় উপাসনা, পূজা বা আরাধনায় যে কোনোরূপে অংশ নেয়া মুসলমানের জন্য অবশ্যই হারাম। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক আচরণের প্রশ্নে ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের সাথে বিদ্বেষ পোষণ না করে বরং সহনশীল ও সহিষ্ণু আচরণ করবে। মুসলিম দেশে ভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনগণ অবশ্যই নাগরিক ও সামাজিক সকল সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বলেন, লা ইকরাহা ফিদ্দীন- ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই। আল্লাহর দেয়া দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা হচ্ছে ইসলাম। আর এই জীবন ব্যবস্থা আল্লাহ ওহী নাযিল করে নবী-রাসূলের মাধ্যমে মানব জাতিকে প্রদান করেছেন। যাতে মানুষ শয়তান দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বিপথগামী হতে না পারে, অশান্তি ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে, পৃথিবীতে ফিৎ্না-ফাসাদ সৃষ্টি করতে না পারে।
রাজধানীর মহাখালীস্থ ঐতিহ্যবাহী মসজিদে গাউছুল আজমে জুমার পূর্ব আলোচনায় খতিব প্রিন্সিপাল মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ এসব কথা বলেন, ধীরে ধীরে রাসূলে আকরাম (সা.)-এর বাণীসমূহ স্পষ্ট হচ্ছে। কিয়ামত পূর্বে যে সব ঘটনা সংঘটিত হবে বলে তিনি প্রায় পনেরশত বছর আগে বলে গেছেন, তা প্রকাশ পাচ্ছে। জালিমদের কবল থেকে আল্লাহ কর্তৃক ঘোষিত পবিত্র ভূখণ্ডসমূহ মুক্ত হচ্ছে। ইয়াহুদি খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সোনালি ইতিহাস-ঐতিহ্য বিকৃতি করে ইসলাম ধর্মালম্বিদের ঈমান-আকিদা বিনষ্টের অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল এবং আছে, ভবিষ্যতেও এর ধারা অব্যাহত থাকবে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য নিজিদের ইতিহাস গবেষণা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন করে তা থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে, সিরিয়ার গণঅভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে খতিব পবিত্র কোরআনের উদ্ধতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা আ’রাফের ১৩৭ নং আয়াতে ইরশাদ করেন, আর আমি দুর্বল মনে করা কওমকে পৃথিবীর বরকতময় পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের ওয়ারিশ করি। বনী ইসরাঈলের সবরের কারণে রবের উত্তম ওয়াদা পূরণ হলো। আর ফেরাউন ও তার কওমের বানানো সব শিল্প এবং উঁচু প্রাসাদ ধ্বংস করি। এ আয়াতে শাম অঞ্চলের দিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিরিয়া, জর্ডান, ফিলিস্তিন, লেবানন এবং এর আশপাশের দেশসমূহ শাম অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। হযরত নূহ (আঃ)-এর এক সন্তানের নাম ছিল শাম, তিনি এই অঞ্চলে বংশ বিস্তার করেন এবং তাঁর কওম নিয়ে বসবাস করতেন বিধায় তাঁর নামানুসারে এ অঞ্চলকে শাম নামে চিহ্নিত করা হতো। আর সেজন্যই স্বয়ং রাব্বুল আলামীন ধীরে ধীরে এ অঞ্চলকে পরিশুদ্ধ করছেন। সিরিয়ার জালিম সরকারের পতন সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। সদ্য পালাতক সিরিয়ার রাজনৈতিক নেতা সেখানকার সাধারণ জনগণকে কোঁণঠাসা করে রেখেছিল, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছিল না কারোরই, মিডিয়াসমূহ নিজ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিরোধী দলীয় শক্তিতে দমন নিপীড়ন করতেন একই সাথে সেখানকার সেনাবাহিনীকে কব্জায় রেখে নীতি-নৈতিকতার তোয়ক্কা না করে ইচ্ছে মতো দেশ চালিয়ে আসছিল এই জালিম শাসক। এ যেন গত ১৭ বছরের বাংলাদেশের সাথে একই সূত্রে গাঁথা একটি ভূখণ্ড। এসব শাসকগণ ক্ষমতা ও দাম্ভিকতার মোহে আল্লাহকে ভুলতে বসেছিল। মহাপরাক্রমশালীর ক্ষমতা ও পরিকল্পনার নিকট জালিম শাসকদের সব শক্তিই যে অসহায় তার আর একটি দৃষ্টান্ত অবলোকন করলো পুরো বিশ্ববাসী। দখলদার ও চির অভিশপ্ত ইসরাইলের নিকৃষ্ট ইয়াহুদি জাতির পতন সন্নিকটে। নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ) ওয়াদা করেছেন ইয়াহুদিরা ধ্বংস হবে, যা তিনি অবশ্যই বাস্তবায়ন করবেন। তারই সূচনা সিরিয়ার এ স্বাধীনতা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। (আমীন)
মীরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুর মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেন, জীবনের বিনিময়ে হলেও ছাত্র-জনতার বিজয় সমুন্নত রাখতে হবে। জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমের এই বিজয়কে যেন আর কোন অপশক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নস্যাৎ করতে না পারে সদা জাগ্রত থাকতে হবে। ইসলাম প্রিয় দেশ প্রেমিক তাওহিদী জনতাকে প্রয়োজনে আবার রাজপথে ময়দানে নামতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে কোনো পরাশক্তির রক্ত চক্ষুকে তোয়াক্কা করা যাবে না। নিজেদের শক্তি সঞ্চয়ে প্রাণপন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মহান আল্লাহর বিধান পালনে নিজেকে অধিক মনোযোগী হওয়ার পরিচয় দিতে হবে। কারণ মুমিনের বিজয় মহান আল্লাহর দান। বিজয়ের আনন্দে প্রকৃত বিজয় দানকারী আল্লাহকে কিছুতেই ভুলে যাওয়া যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রে তার অনুগত হওয়ার মাধ্যমে তাকে স্মরণ করে যেতে হবে। গান-বাজনা, অশ্লীলতা বেহায়াপনা, অন্যায়-অত্যাচার, জেনা ব্যভিচারসহ যাবতীয় গুনাহের কাজ হতে বিরত থেকে নেক আমলের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করতে হবে। বিজয় পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারীমে স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয়ের আগমন ঘটবে এবং তোমরা দেখবে মানুষ দলে দলে ইসলামের ছায়াতলে আসছে। তখন তোমরা তোমাদের রবের তাসবিহ পড় আর তাঁর গুণগান বর্ণনা করো এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি তাওবা কবুল করেন। (সূরা, নসর)। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দেশের এই বিজয় সুসংহত করার লক্ষ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে তাঁর ইবাদত ও হুকুম আহকাম পালন করার তৌফিক দান করেন। (আমিন)
গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর সরকার বাড়ী ঈদগাহ মসজিদুল আকসার খতিব মাওলানা রিয়াদুল ইসলাম মল্লিক জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেন, মানবসমাজে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী অন্যায় ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপকে ইসলাম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে এবং পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর এতে তোমরা বিপর্যয় ঘটাবে না।’ (সূরা আল-আরাফ, আয়াত : ৫৬) বিভিন্ন দল-মতের কলহ-বিবাদ ও ফিতনা-ফ্যাসাদ, সামাজিক অনাচার, জুলুম-নির্যাতন, দমন-নিপীড়ন ও অন্যায়-অত্যাচারের অন্যতম কারণ। অনেক সময় সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতি-গোত্রে তুমুল ঝগড়া-বিবাদ ঘটে এবং বড় আকারের সামাজিক বিশৃঙ্খলায় রূপ ধারণ করে মানবসমাজে অহেতুক হত্যাযজ্ঞের মতো মহাপাপ সংঘটিত হয়ে থাকে। তাই পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ফিতনা হত্যা অপেক্ষা গুরুতর।’ (সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৯১) রাসূলুল্লাহ (সা.) মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘তোমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি অন্বেষণ করবে না, গুপ্তচরবৃত্তি করবে না, পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করবে না, পরস্পরের সঙ্গে হিংসা-বিদ্বেষ করবে না, পরস্পরকে ঘৃণা করবে না এবং পরস্পরের ক্ষতিসাধন করার জন্য পেছনে লাগবে না। আর তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে যাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) সমাজে মিথ্যা দোষারোপ ও তর্ক-বিতর্ক জনজীবনে দুঃখ-কষ্ট বয়ে আনে এবং মানুষের গোপন রহস্য বা দোষ-ত্রুটি ফাঁস করে দেয়। ফিতনা-ফ্যাসাদের বিরুদ্ধাচরণ করে নবী করিম (সা.) বলেছেন ‘তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হবে না।’ (তিরমিজি)। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘মুমিনদের দুই দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে। অতঃপর তাদের একদল অন্যদলকে আক্রমণ করলে তোমরা আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। যদি তারা ফিরে আসে, তবে তাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে ফয়সালা করে দেবে এবং সুবিচার করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আল-হুজুরাত, আয়াত : ৯)। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে আগুন: সংগ্রহ করা হলো সিসিটিভি ভিডিও
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা
টেস্ট ক্যারিয়ারের রেকর্ডময় ৩৪তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন স্মিথ
জাহাজে ৭ খুন : লাগাতার কর্মবিরতিতে পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকেরা
লেস্টার সিটিকে হারিয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে লিভারপুল
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান