ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

গ্রেপ্তার এড়াতে যেভাবে পালিয়ে ছিল যুদ্ধাপরাধী আব্দুল জলিল

Daily Inqilab নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জুন ২০২৩, ১২:২৯ পিএম | আপডেট: ২৩ জুন ২০২৩, ১২:২৯ পিএম

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক যুদ্ধাপরাধী মো. আব্দুল জলিল গাজীকে (৭১) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাব বলছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে সে নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করে পলাতক জীবনযাপন করতে থাকে। এসময় পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সে অন্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। আত্মগোপনে থাকাকালীন সে ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার করে নিজের পরিচয় প্রদান করত।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আইনুছবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩।
শুক্রবার (৩৩ জুন) দুপুরে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান। 
র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং মামলার সূত্রে জানা যায় যে, তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। উক্ত আসামী এবং অন্যান্য রাজাকারদের সাথে যোগসাজসে এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতেন। 

র‍্যাব কর্মকর্তা আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর গ্রামে পাকিস্থানীর হানাদার বাহিনী আব্দুল জলিল গাজীসহ কিছু রাজাকারের সহায়তায় ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং তার নেতৃত্বে কতিপয় রাজাকার গ্রামের সাধারণ মানুষদেরকে ধরে নিয়ে পাকাস্থানী আর্মি’দের বাংকার, বন্দিশালা, টর্চারসেল তৈরীর কাজে জোরপূর্বক বাধ্য করতো। এরই প্রেক্ষিতে আন্তার্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্রুনাল-১ এ মামলা করা হয়। 

তিনি বলেন, আন্তার্জতিক অপরাধ ট্রাইব্রুনাল ১৯৭১ সালে মহান মক্তিযুদ্ধের সময় তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। উক্ত মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্রুনাল আদালতে হাজিরা না দেয়ায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পরপরই আত্মগোপনের জন্য তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণখান থানার আইনুছবাগ এলাকায় চলে আসে। 

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার এড়াতে সে নিয়মিত স্থান পরিবর্তন করে পলাতক জীবনযাপন করতে থাকে। এসময় পরিবারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সে অন্যের মোবাইল ফোন ব্যবহার করত। আত্মগোপনে থাকাকালীন সে ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে ছদ্মনাম ব্যবহার করে নিজের পরিচয় প্রদান করত।
 আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। 


বিভাগ : জাতীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার