রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের ২ কর্মকর্তার সঙ্গে উপদেষ্টার বৈঠক
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম | আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এসব বৈঠকে চলমান রোহিঙ্গা সংকট ও বৈশ্বিক অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বাসস জানিয়েছে।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সঙ্গে বৈঠকে তৌহিদ হোসেন দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাসস লিখেছে, ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় বৈঠকে।
একই দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
উপদেষ্টা তৌহিদ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে- এমন একটি টেকসই সমাধান খোঁজার আহ্বান জানান।
বাসস জানিয়েছে, এই বৈঠকেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল রোহিঙ্গা সংকট। উভয় পক্ষই বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা, মঙ্গল এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন।
গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন পোপ। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা ঢলের শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট।
এরপর কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।
বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার ও উখিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঁশ আর প্লাস্টিকের খুপড়ি ঘরে বসবাস শুরু করে রোহিঙ্গারা। উখিয়ার কুতুপালং পরিণত হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৭ সালের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। ওই বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা চলার এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের প্রতিশ্রুতিতে রোহিঙ্গারা আস্থা রাখতে না পারায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যায়।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দুর্বল ব্যাংককে ধার দেওয়া টাকা চাইলে তিন দিনের মধ্যে ফেরত পাবে সবল ব্যাংক
'আদর্শবান মানুষ হতে হলে হৃদয়ে ইসলামের আলো জ্বালাতে হবে' -ড. সৈয়দ সরওয়ার সিদ্দিকী
সম্প্রীতি বজায় রাখতে ইমামগণকে ভূমিকা পালনের আহবান কেএমপি কমিশনারের
অনন্ত গার্মেন্টস, স্পোর্টসওয়্যারের ১২০ শ্রমিক সাময়িক বরখাস্ত
ইসলামী ব্যাংকের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ তদন্তের নির্দেশ
এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও গঠন হবে কমিশন
দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু
গাজীপুরে এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ
সাংবাদিক তুরাব হত্যা, আসামি ইন্সপেক্টর মঈনকে ছেড়ে দেওয়ায় সিলেটের সাংবাদিকদের ক্ষোভ
বিতর্কের মুখেই যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড, বর্ণবাদের অভিযোগ
দুর্গাপূজা প্রতিটি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
বেনাপোলে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ, পাচারকারি আটক
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে প্রভোস্টসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফ্যাঁসিবাদের সাথে লড়াই করে বাঁচতে হবে -বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ
রুহুল আমিন গাজী ছিলেন সংবাদপত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র
আইনি সেবাগ্রহীতাদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের হেল্পলাইন চালু
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট
নওফেলনামা : যেভাবে প্রিমিয়ার বিশ^বিদ্যালয় দখল
বিএফআইইউ সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
শাবিতে ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর ও প্রভোস্টসহ মোট ৮টি নিয়োগ