ঢাকার মহাসমাবেশে কী বার্তা দিবেন জানালেন মির্জা ফখরুল
২৪ জুলাই ২০২৩, ০১:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০১:৫৯ পিএম
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ সরকারের উদ্দেশে কী বার্তা দিবেন তা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে তারা এখন আন্দোলনে নেমেছে। জনগণের অধিকার হরণকারী, লুটেরা ও কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ অবৈধ অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগ ও অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ ৩৬ টি রাজনৈতিক দল এক ঢাকায় মহাসমাবেশ আহ্বান করেছে। এটা এখন দেশের জনগণের সমাবেশ। এখান থেকে আমরা বার্তা দিতে চাই- অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই মহাসমাবেশ কিন্তু হঠাৎ করে আসেনি। গত ১৪/১৫ বছর ধরে দেশের সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে ব্যবস্থা দেশের মানুষ মেনে নিয়েছিলো এবং সংবিধানে সেটা অন্তর্ভূক্ত ছিল। কিন্তু সরকার সেটি আদালতকে ব্যবহার করে বাতিল করেছে। বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ে বলা হয়েছে পরবর্তী দুটি নির্বাচন দেশের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটি পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে। আসলে এই সরকার অবৈধ অনির্বাচিত। যার প্রমাণ ২০১৪ সালের বিনাভোটের নির্বাচন। ২০১৮ সালেও তারা নিশিরাতে একতরফাভাবে নির্বাচন করেছে। এভাবে তারা দেশের গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ, অর্থনীতি, মানবাধিকার সবকিছু ধ্বংস করেছে। গুম খুন মানুষ হত্যা এই সরকারের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে ফের গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় চল্লিশ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এভাবে তাদেরকে হয়রানি করছে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তারা ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ সত্যিকার অর্থেই ফ্যাসিস্ট দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে মুক্তি চায়। কিন্তু অবৈধ সরকার ভালোভাবে জানে তারা অবৈধ। তারা টিকে থাকার জন্য মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। তারা আমাদের সাংবিধানিক যে অধিকার কথা বলা ও লেখার হরণ করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের মন্ত্রী এমপিরা যে ভাষায় কথা বলে তা কোনো ভাষা হতে পারে না। তবে জনগণ এবার রুখে দাঁড়াচ্ছে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে। যুগপতের বাইরেও অনেক দল আছে যারা বলছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেজন্যই আমরা ২৭ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের বিষয়ে আমরা ডিএমপি কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। আশা করি মঙ্গলবারের মধ্যে ভেন্যুর বিষয়টি জানাতে পারবো এবং কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলবো- আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। এখানে আপনাদেরও সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। কারণ আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। অথচ যুবলীগ তাদের কর্মসুচি পিছিয়ে ২৭ জুলাই পুনরায় ঘোষণা করেছে। আমরা পরিষ্কার করে বলছি- কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মো. আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শামসুর রাহমান শিমুল বিশ্বাস, এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাক মিয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরফত আলী সপু, বেনজীর আহমেদ টিটো, আবদুল খালেক, মো. মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, ওলামা দলের শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, গাজীপুর জেলার সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা জেলার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মানিকগঞ্জ জেলার সভাপতি আফরোজা খানম রীতাসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। এরআগে নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে যৌথসভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী