আরো একটি ভূয়া নির্বাচনের নীল নকশার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নৃশংস তা-ব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জিয়া পরিষদ। সংগঠনের চেয়ারম্যান বিএনপি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ, পুলিশ লীগ আগ্রাসী ও নৃশংস হামলা চালিয়ে আরো একটি নীল নকশার নির্বাচন বাস্তবায়নে অগ্রসর হচ্ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে বিনা উস্কানিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ মহড়ায় মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে।

তারা বলেন, মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের উপস্থিতিতে পুলিশের জন্য রিকুইজিশনকৃত বাসে ডিবির পোশাক পরিহিত লোক বাসে আগুন ধরিয়ে হোন্ডায় করে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন সেই বাসের ড্রাইভার। দেশি-বিদেশি সকল গণমাধ্যম তা ফলাও করে প্রকাশ করেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, মহাসমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ কোনো নেতাই উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেননি। সকল বক্তাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মহাসমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

তারা আরো বলেন, দেশের মানুষ ও আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ কতৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট এই সরকারকে অংশগ্রহণ মুলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহবান জানালেও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধস পরাজয় নিশ্চিত উপলব্ধি করে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আহত করেছে, লাঠি চার্জ করে যুবদলের কর্মী শামিমকে হত্যা করেছে।

জিয়া পরিষদের নেতারা বলেন, একটি শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে নিরীহ মানুষের ওপর টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে সহিংসতার যে নজির স্থাপন করেছে তার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,সংবাদপত্র, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ইতোমধ্যেই এই অপকর্মের জন্য সরকারের পেটোয়া বাহিনী ও পুলিশকে অভিযুক্ত করেছেন। নেতৃবৃন্দ গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই চ্যালেন্জিং সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী বিরোধী সকল দল-মত শক্তিকে সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকার আহবান জানান।

বিবৃতিতে জিয়া পরিষদ তথাকথিত অসত্য মিথ্যা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান। অবিলম্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগ্ম মহাসচিব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।###